আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার আম্মা, আব্বার কাছ থেকে অনেক সময় কোনো প্রয়োজনে ১ হাজারের জায়গায় ২ হাজার বা ৩ হাজারের জায়গায় ৪ হাজার বা অন্য, এমন বলে অনেক সময় টাকা নিতো,বর্তমান মায়েরা যেভাবে নেয় আর কি। আমার মনে হয় এটা এক ধরনের মিথ্যা কথাই।


প্রশ্ন:১।হাজব্যান্ড থেকে স্ত্রীর এভাবে টাকা নেওয়া জায়েজ? টাকা হালাল হবে?
২।এই টাকা থেকে আম্মা আমাকে একটা চেইন কিনে দিছে,আমি এটা নিতে পারবো? হালাল হবে আমার জন্য?
৩।আম্মার কাছে এখনো কিছু টাকা আছে, এই টাকা দিয়ে কোন খাবার আনলে খেতে পারবো? কোন কিছু কিনে দিলে ব্যবহার করতে পারবো?


৪। এত দিন অনেক কিছুই আম্মার এই টাকায় খেয়েছি।যদি এই টাকা হারাম হয় তাহলে আমাকে কি যত টাকা খেয়েছি তা সদাকাহ করতে হবে?


৪ টা প্রশ্নের আলাদা আলাদা উত্তর দিবেন প্লীজ

1 Answer

0 votes
by (623,190 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
কোনো প্রয়োজনে ১ হাজারের জায়গায় ২ হাজার বা ৩ হাজারের জায়গায় ৪ হাজার টাকা এভাবে অতিরিক্ত টাকা নিলে সেক্ষেত্রে সেই টাকা দিয়ে প্রয়োজন পূরনের পর বেঁচে যাওয়া টাকা স্বামীকে ফেরত দিতে হবে।

বেঁচে যাওয়া টাকা স্বামীকে ফেরত না দিয়ে স্বামীর অনুমতি বা মৌন সমর্থন ছাড়া সেই টাকা সে রাখতে পারবেনা।

(০২)
আপনার বাবার অনুমতি নিয়ে তিনি এটি ক্রয় করে থাকলে বা এধরণের কাজে আপনার বাবার মৌন সমর্থন থাকলে সেক্ষেত্রে তাহা আপনি নিতে পারবেন।

অন্যথায় বাবা থেকে অনুমতি নিয়ে নিবেন।
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৩)
আপনার বাবার অনুমতি নিয়ে তিনি সেই খাবার বা কোনো কিছু ক্রয় করে থাকলে বা এধরণের কাজে আপনার বাবার মৌন সমর্থন থাকলে সেক্ষেত্রে তাহা আপনি নিতে পারবেন।

অন্যথায় বাবা থেকে অনুমতি নিয়ে নিবেন।
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা।

(০৪)
আপনার বাবাকে বিষয়টি জানালে আর কোনো সমস্যা হবেনা।

কোনো টাকা সদকাহ করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...