আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

আমি আমার কিছু শারীরিক সমস্যা নিয়ে বলতে চাচ্ছি।৷ আমার বয়স ২৩। আমার হাতের তলা ও পায়ের তলা আনেক বেশি গরম হয় বা জ্বলে। এর জন্য আমি এ্যালোপ্যাথিক ঔষধ খাচ্ছি। এ সমস্যাটা আমার বংশ গত। তবে আমার পরিবারে যেসকল মানুষের এ সমস্যাটি ছিলো তাদের তুলনায় আমার একটু বেশি। যখন আমার হাত পা খুব বেশি গরম হয় বা জ্বলে আমার রাগ বৃদ্ধি পায়। কেউ ভালো কথা বললে ও অনেকটা রাগ হয়। নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করি তবুও মাঝে মধ্যে বাবা মা এর ওপর রেগে যায়। তবে আলহামদুলিল্লাহ অধিকাংশ সময় নিজেকে সংযত রাখি।কিন্তু আজ ২/৩ হলো আমার গলার ভেতর ও চোখ জ্বলছে বা গরম হচ্ছে। আর আজ সকালে আামর গলার ভেতর অনেক বেশি খারাপ বোধ হচ্ছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই আমার এই সমস্যার জন্য মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমার নিশ্বাস নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। আজ সকালে গলার ভেতর এতটা গরম মনে হচ্ছিলো যে আমার মনে হচ্ছিলো আমার গলার মধ্যে হয়তো আগুনের লাভা দিয়ে দিছে কেউ। দম আটকে আসছিলো। তারপর পানি খাই প্রায় ১-২ লিটার, তখনও টিক হয়নি। এখন কিচুটা কম। তবে গলার ভেতর অনেক খারাপ লাগছে এখনও।

এখন আমার প্রশ্ন হলো - আমার এমন সমস্যা হওয়ার কারন কি হতে পারে?

১. কালোজাদু বা তুকতাক রিলেটেড কিছু?

২. বদনজর?

৩. নাকি শারীরিক সমস্যা?

 -এখন আমার কি করণীয়?
১. কোনো আলেম এর শরণাপন্ন হবো?
২. রুকাইয়া করবো? কিভাবে করবো?
৩. নাকি মেডিকেল ট্রিটমেন্ট নিবো? এ সমস্যার জন্য কি আদ্যও কোনো মেডিকেল ট্রিটমেন্ট এর ব্যবস্তা আছে?
৪. নাকি এসকল চিন্তা বাদ দিয়ে আল্লাহ তায়া’লা এর ওপর বিশ্বাস রাখবো এবং তারই কাছে সুস্থতা কামনা করবো?


আমি নিয়মিত সকাল সন্ধা এর  আমল, সকাল সন্ধা তিন কুল ও রাতে ঘুমানোর পূর্বে তিন কুল পড়ে গুমায় । আলহামদুলিল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (623,190 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত রোগ গুলির দরুন কোনো আলেম বা রুকইয়াহ কারী নয়,বরং কোনো বিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে মেডিকেল ট্রিটমেন্ট নেয়ার পরামর্শ থাকবে।

রাসুলুল্লাহ সাঃ চিকিৎসা গ্রহন করতে আদেশ করেছেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِهِمُ الطَّيْرُ، فَسَلَّمْتُ ثُمَّ قَعَدْتُ، فَجَاءَ الْأَعْرَابُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَتَدَاوَى؟ فَقَالَ: تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلَّا وَضَعَ لَهُ دَوَاءً، غَيْرَ دَاءٍ وَاحِدٍ الْهَرَمُ

উসামাহ ইবনু শরীক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এস দেখলাম তাঁর সাহাবীদের মাথার উপর যেন পাখী বসে আছে, অর্থাৎ শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আমি সালাম দিয়ে বসলাম। অতঃপর এদিক-সেদিক থেকে কিছু বেদুঈন এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো? তিনি বলেন, তোমরা চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করো; কেননা মহান আল্লাহ একমাত্র বার্ধক্য ছাড়া সকল রোগেরই ঔষধ সৃষ্টি করেছেন।
(আবু দাউদ ৩৮৫৫)

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُعَاذٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ قَالَتِ الأَعْرَابُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نَتَدَاوَى قَالَ " نَعَمْ يَا عِبَادَ اللَّهِ تَدَاوَوْا فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَضَعْ دَاءً إِلاَّ وَضَعَ لَهُ شِفَاءً أَوْ قَالَ دَوَاءً إِلاَّ دَاءً وَاحِدًا " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا هُوَ قَالَ " الْهَرَمُ "

বিশর ইবন মুআয উকাদী বাসরী (রহঃ) ... উসামা ইবন শারীক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, বেদুঈন আরবরা একবার বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি চিকিৎসা করব না? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা করবে, আল্লাহ তা‘আলা এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেননি যার কোন প্রতিষেধক তিনি রাখেন নি। কিন্তু একটি রোগের কোন প্রতিষেধক নেই। তাঁরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, সেটি কি? তিনি বললেন, বার্ধক্য। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৪৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী] তিরমিজি ২০৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...