আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাজ। উস্তাজ আমার সাদা স্রাব কখনোই হলুদ হতো না সাধারণত। আমার এই মাসে হায়েজ শেষ হয় ০৮ তারিখে। শেষ হবার পর থেকে কিছুটা হলুদ স্রাব লক্ষ্য করছি। এমন না যে সব সময়ই হলুদ আসে। মাঝে মধ্যে হলুদ মাঝে মধ্যে সাদা এমন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে
০১- এটা কী ইস্তেহাজা?
০২- ইস্তেহাজা হলে ফরজ নফল নামাজ ও তিলাওয়াতের বিধান কি? কোন নিয়মানুযায়ী করবো?

০৩- হায়েজ কি ০৮ তারিখ হতে ১৫ দিন পর থেকে ধরবো ? যদি আমার তখন ব্লিডিং না হয়ে গত মাসে যেই সময় হায়েজ হয়েছিল সেই সময় ব্লিডিং হয়?

০৪- এমতাবস্থায় আমি কি ফজরের অজু দিয়ে ইশরাক পড়তে পারবো?
০৫- এটা একটু ভিন্ন বিষয়। নফল বা সুন্নত নামাজে সূরাহ মিলাতে ভুলে গেলে কি সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়?

জাযাকুমুল্লাহু খইরান

1 Answer

0 votes
by (657,960 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/78

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ. «الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
হায়েয শেষ হওয়ার পর ১৫ দিন পূর্বে যদি স্রাব আসে, সেটা চায় সাদা হোক বা হলুদ, এটা ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।  এবং ১৫ দিন পর স্রাব আসলেও তখন তিনদিন তিনরাতের পূর্বে বন্ধ হয়ে গেলে, সেটাও ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।

(২) ইস্তেহাজা হলে একটি ওয়াক্তে একই অজু দ্বারা যত ইচ্ছা ফরজ নফল নামাজ ও তিলাওয়াত করা যাবে। 

(৩) হায়েজ ০৮ তারিখ হতে ১৫ দিন পর থেকে ধরবেন।যদি তিনদিন তিনরাত স্থায়ী হয়।

(৪) এমতাবস্থায় ফজরের অজু দিয়ে ইশরাক পড়তে পারবেন না। বরং নতুন অজু করতে হবে।

لما في الفتاوى الهندیة:
"المستحاضة ومن به سلس البول أو استطلاق البطن أو انفلات الريح أو رعاف دائم أو جرح لا يرقأ يتوضئون لوقت كل صلاة ويصلون بذلك الوضوء في الوقت ما شاءوا من الفرائض والنوافل هكذا في البحر الرائق...ويبطل الوضوء عند خروج وقت المفروضة بالحدث السابق. هكذا في الهداية وهو الصحيح."(كتاب الطهارة، فصل في تطهير الأنجاس،ج:1، ص:41، ط: دار الفكر بيروت)

(৫)  নফল বা সুন্নত নামাজে সূরাহ মিলাতে ভুলে গেলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...