আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ।
২০২৪ সালের ৮ই মার্চ আমার বিয়ে হয়। আমার স্বামী আমাকে প্রস্তাব দেওয়ার আগে পরে ওই একই সময়ে বেশ কিছু প্রস্তাব আসে। কিন্তু আমি আমার হাজবেন্ড এর প্রস্তাবকে কবুল করি, যদিও তিনি ডিভোর্সি ও তিনটা বাচ্চা ছিল। আমার পূর্বে কোথাও বিয়ে হয়নি, এবং বিয়ের সময় বয়স ছিলো ২৩ বছর ৪ মাস।
ওনার প্রস্তাব গ্রহণের মূল কারণ ছিলো:
১. তাওহীদ, জিহাদী দৃঢ় চেতনা
২. বয়স, তার বয়স ছিল সাড়ে ২৯, ম্যাচুয়ার মনে হয়েছিল।
৩. ভগ্ন হৃদয়। যেহেতু তার হৃদয় ভেঙেছে, ভেবেছিলাম তিনি আমার হৃদয় ভাঙতেও পছন্দ করবেন না। আমার ব্যাথা অনুভব করবেন। আর আমাকে সুখে রাখবেন।
বিয়ের এক সপ্তাহ পর জানতে পারি ওনার স্ত্রী দুজন ছিলেন মূলত, আমি ভেবেছিলাম একটা। যাইহোক এটা নিয়ে আমি কোনো ঝামেলা করিনি। কিন্তু তারপরের দিন তিনি আমাকে জানান ভবিষ্যতে তিনি আরও বিয়ে করবেন আমি যেন ঝামেলা না করি। এটা নিয়ে আমি তাকে বুঝাতে চেষ্টা করি, তিনি বোঝেননি। তবে এটা বলেছিলেন যে এখনই করবেন না। এবং এর কয়েকমাস পর আব্বুর বাসায় থাকতেও বলেছিলেন কমপক্ষে ১০ বছর পর করবেন। অর্থাৎ আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি যখন দুনিয়ায় থাকবেন না তখন করবেন। এরমাঝে ভালো কাউকে পেয়ে গেলে ভিন্ন বিষয়। সে হিসেবে আমারও একটা স্বস্তি ছিলো যে এখনই তো আর করছে না৷ কিন্তু বিয়ের চারমাসের মাথায় একজন ইদ্দতরত নারীর সাথে বিয়ের বিষয়ে কথা হয়। তাকে তিনি বিয়ে করেননি তবে তার মেসেজ আমার সাথে তিনি শেয়ার করলে আমি নিষেধ করে বলি এটা ফাঁদ হতে পারে।
বিয়ের নয়মাসের মাথায় তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে বিয়ের জন্য মন নরম করতে থাকেন। এটা নিয়ে ঝামেলাও হয়, দুইদিন ঠিকমতো কথা বলে না। অন্যদিকে ওনার বিয়ের কথা চলতেছিল। আমি প্রায় একমাস ধরে অনুরোধ করতে থাকি নানাভাবে, কিন্তু তিনি অটল নিজের বিয়েতে৷ বিয়ে হয়ে গেলেও আমি জানতাম না। যখন দেখলাম তিনি করবেনই, তখন পাত্রী খুঁজতে শুরু করলাম। এর আটদিন পর জানতে পারি বিয়ে করেছেন।
এবার আমার প্যারানরমাল কনকডিশন সম্পর্কে কিছু কথা বলি:
* বিয়ের পর থেকেই সপ্ন দেখতাম আমার ব্রেইন আউট করে একজন হিন্দু জীন আমাকে বিয়ে করে৷ বিয়ের পরই আমার স্বামীর কথা মনে পরে যায়, আর আমি বলতাম স্বামী থাকাবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে বৈধ না। এইরকম সপ্ন আমি বহুবার দেখেছি গত একবছরে, আর প্রতিবার একই লোক থাকে।
* ২৪ সালের আগস্ট থেকে আমার বেশকিছু লক্ষ্মণ প্রকট হতে থাকে। কিন্তু আমার স্বামীর আগের ওয়াইফের এমন সমস্যা থাকায় আমি ভয়ে ওনাকে বিষয়টা জানাই না। সেসময় বাবার বাসায় থাকতাম। কিন্তু আমি কিছুতেই সেখানে টিকতে পারছিলাম না। তাই ওনাকে বলে আলাদা বাসা ভাড়া করি। সেপ্টেম্বর থেকে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে কিন্তু তা ছিল ছোট ছোট। অক্টোবরে বেশি, আমি রুকইয়াহ শুরু করি। নভেম্বরে উনি এসে আমাকে হিজামা করান, রুকইয়াহ করান। রিয়েকশন হিসেবে প্রচুর ঘুম পায়। এরপর ওইদিনই ওনার ছয়বছরের বিবাহিত জীবনে প্রথমবারের মতো একটা সেক্সুয়াল এক্সিডেন্ট হয়।
এরপর থেকে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। আমরা আগে হ্যাপি ছিলাম। সম্পর্ক খারাপের শুরুটা ছিল ওনার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে। আমার মানসিক প্রস্তুতির জন্য উনি আমাকে ভালো করে বুঝাতে পারতেন, কিন্তু উনি বকাঝকা, ব্লক ইত্যাদি পন্থা অবলম্বন করে বিয়ে করেন এবং আমার থেকে লুকিয়ে রাখেন। নভেম্বরের ১৭ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়টা ছিল আমার জন্য ভয়াবহ। এইসময়ে একই সাথে আমি প্যারানরমালি অসুস্থতা ও মানসিক ধাক্কা খাওয়ায় আমার সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। সপ্নে দুইদিন খাওয়ানোর পর শারীরিকভাবে অসুস্থ করে রাখা হয়, যা তখনও আমার বিশ্বাস হতো না যে আমি জাদুর রোগী জীনের রোগী।
ওই ধাক্কাটার পর আমি একটা ট্রমায় চলে যায়, যেখানে মনে হতো শুধু আমি আছি পৃথিবী জুড়ে আর কেউ নেই। কি করছি সেইটা একটু পর গিয়ে মনে থাকতো না। কি করেছি এতদিন সেসবও মনে করতে পারতাম না। খুব জোর করে মনে করতে গেলে মাথা যন্ত্রণা হতো।
জানুয়ারির ১০ তারিখে আমার কনসিভের খবর পাই। সবমিলিয়ে অদ্ভুত সময় পাড় করছিলাম।
উল্লেখ্য, জাদুর মুটামুটি ১৫ টা লক্ষ্মণ, জীনের প্রায় চারভাগের তিনভাগ লক্ষ্মণ, বাচ্চা কনসিভ না করার দুয়েকটা বাদে সব লক্ষ্মণ আমার সাথে মিলে যায়।
কনসিভের পর শ্বশুরবাড়ি আসি। এখানে এসে আমার খারাপ ব্যবহার শুরু হয়, সেন্সলেস হতাম, মরতে যেতাম, ওনাকে পছন্দ হতো না। আমরা তখনও জানি না সমস্যা আছে আমার। পরে শারীরিক সুস্থতার নিয়তে রুকইয়াহ করতে গেলে নোটিশ করি আমার মারাত্মক সমস্যা আছে। আমি সাহস করে আমার হাজবেন্ডকে জানাই। এমনিতে উনি আমাকে সাপোর্ট করতে থাকেন। কিন্তু বেশকিছু বার এম হয়েছে যে আমার জাদুর প্রভাব, জিনের আসর শুরু হয়েছে আর উনি কোনোপ্রকার রুকইয়াহ, তিলাওয়াত চালু না করে আমাকে মারধর করেছেন। এমতাবস্থায় আমার অস্বাভাবিক অবস্থায় আমি ওনার কাছে তালাক চাইতে থাকি। কিন্তু স্বাভাবিক অবস্থায় এগুলো আমার কল্পনার বাইরে। এরপর ওনাকে আমি বলি আমাকে ছেড়ে না যেতে, আমাকে অনেক ভালোবাসতে, আমাকে সাপোর্ট করতে। উনি আমাকে বুঝেন এবং সাপোর্ট করতে থাকেন।
এরপর ২৫শে ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ জানতে পারি আমার গর্ভে বাচ্চা আসেনি, শুধু থলে ছিলো। ডিএনসি করা হয়। আস্তে আস্তে আমি আরও অসুস্থ হতে থাকি। শারীরিক মানসিকভাবে খারাপ কন্ডিশনের মধ্যে যাই। এবং আমাকে ঘুমের মধ্যে, জাগ্রত অবস্থায় আসর করতে থাকে কয়েকবার। প্রতিবার মারতে আসতো জীন। এমন হতো যখন একা থাকতাম। আর যখন হাজবেন্ড থাকতো, তাকে পছন্দ হতো না। উনি জানতেন আমি স্বাভাবিক নেই তারপরও এমন পরিস্থিতিতে আমার উল্টাপাল্টা অনৈতিক কথা, তালাকের দাবিতে রুকইয়াহ শুরু নাা করে আমাকে মারতে লাগলেন। লাস্টবার সূরা বাকারা চালু করে আমাকে শান্ত করেন। কিন্তু ওদিন আমি সবচেয়ে বেশি মাইর খেয়েছি।
এমন পরিস্থিতিতে আমার উল্টাপাল্টা অনৈতিক কথার প্রেক্ষিতে আমার হাজবেন্ড আমাকে ভালোবাসলেও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে বেশি সময় দেন। তাকে বেশি কেয়ার করেন। তার সাথে কলে বেশি কথা বলেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর পালিতে থাকাবস্থায় ওনাকে খুব বেশি ফোনে পাই না, আগের মতো সময় দেন না, হাসিতামাশা করেন না। আমি প্রথম প্রথম ভাবতাম আমার পালিতে আসলে আমাকে অনেক সময় দেবেন হয়তো। কিন্তু আমার পালিতে বসেও তিনি ওনাকে ফোনে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় দেন।
***আমার প্রতি ওনার অভিযোগ:
১. আমি ওনাকে মানসিক সুখশান্তি দিই নাই।
২. শারীরিক ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি করে চলেছি ওনার।
৩. অসুস্থতার দোহাই দিয়ে ওনার সাথে যা তা আচরণ করেছি।
*** ওনার অভিযোগের খন্ডন:
১. মানসিক দিক দিয়ে আমরা সুখেই ছিলাম। নয়মাস স্মুদলি সংসার করে এসেছি। শেষের দিকে ওনার চেহারা দেখতে ইচ্ছে করতো না, কিন্তু কোনোমতে নিজেকে কন্ট্রোল করেছি। এরপর যখন শুনি বিয়ে করেছে তখন কষ্টের মুহুর্তে আমার জাদু জীনের সাথে ফাইট ব্যাক করা কঠিন হয়ে যায়। আমি ওনাকে সবটা বলেছি, তারপরও ওনার অভিযোগ ওনার মানসিক শান্তি কেড়ে নিয়েছি।
২. স্ত্রী ইচ্ছে করে কারও ব্যবসা বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি করে না। এটা ঠিক আমার অসুস্থতার পিছনে তিনি টাকা ঢেলেছেন, কিন্তু অসুস্থতা কেউ যেচে আনে না।
৩. এব্যাপারে আমি আমি আল্লাহর কাছে আর্জি জানালাম। জেনে-বুঝে আমার দূর্বলতাকে আমার আখলাক বানানো হচ্ছে জোর করে। তাই এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর কাছে দিয়ে দিলাম।
*** এবার আসি আমার অসহায়ত্বের ব্যাপারে:
১. আমি আমার স্বামীকে খুব ভালোবাসি। তাকে ছাড়া থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়। এটা উনি মাসনা করার আগে থেকেই জানেন। আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হতো। কোনো সময় মিস গেলে মরিয়া হয়ে যেতাম এটা উনি জানেন। কিন্তু এখন দিনের পর পর দিন ঠিকমতো কথা হয় না আমাদের। আমি ওনার জন্য ফজরে অপেক্ষা করি, কিন্তু জানি উনি সময় নিয়ে কথা বলবেন না। জোহরে ১৫ মিনিট মতো কথা বলেন। আসর, মাগরিব, এশাতেও অপেক্ষা করে থাকি। কিন্তু ওনার ইচ্ছেমতো কল দেন, আর ওনার ইচ্ছেতেই কল কাটেন। কারণ প্যারানরমাল অসুস্থতার দোহাই দিয়ে আমি নাকি ওনাকে আঘাত করেছি।
কিন্তু এভাবে সুন্দর যোগাযোগ ছাড়া থাকতে আমার খুব কষ্ট হয়। আমি ওনাকে কতটা মিস করি উনি ফিল করেন না। ওনার কথা, আমার খারাপ আচরণের পরও আমাকে সংসারে রেখে দিয়েছে এটায়ই অনেক। এমন কম কথা নিয়েও আমি অপেক্ষা করে থাকি বাসায় আসলে ওনাকে পাবো, দূর্ভাগ্য যে উনি তখনও দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতি ঝুঁকে থাকেন। এবং ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে তার সাথে কাটান।
ওয়াল্লাহি, আমি হাউমাউ করে কাঁদি। আমার বিয়ের বয়স এক বছর। ওনার সাথে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে খুব ইচ্ছে করে কিন্তু পাত্তা পাই না।
২. আমার অসুস্থতার পিছনে কিছুটা ওনারও অবদান আছে। যখন মানসিক অশান্তি ছিলো না তখন ভালোমতো রুকইয়াহ করতে পারতাম। ফাইট ব্যাক করতে পারতাম। কিন্তু উনার আঘাত আমাকে দূর্বল মুমিনে পরিণত করেছে। আমি শারীরিকভাবে ভগ্ন। টেনশন অসুস্থতা সব মিলিয়ে আমার ওজন কমতে কমতে ৪০ -এ এসে ঠেকেছে। মুটামুটি ভালো প্রকারের দূর্বল। আমি এখন রুকইয়াহ করতেও খুব কষ্টের সম্মুখীন হই। ওনাকে বলেছিও যে রুকইয়াহর বিষয়ে সাপোর্ট লাগবে, আমি একা কন্টিনিউ করতে পারছি না৷ (মারাত্মক রিয়েকশন হয়)
উনি আমাকে রুকইয়াহ করতে বলেছেন, সমস্যা বুঝেছেন কিন্তু মানসিক সাপোর্টটা পাচ্ছি না। উনি হেলদি দাম্পত্য জীবন কন্টিনিউ করলে আমার জন্য রুকইয়াহ করা সহজ হতো। এটা উনি বুঝেননি, বরং আমাকে বলেন আল্লাহর কুরআনের আয়াত দেখে আমি ভয় পাই কেন আমার ইমান দূর্বল।
ইদানীং বলা শুরু করেছেন আমি অসুস্থতার দোহাই দিয়ে তার উপর কথার জুলুম করেছি।
এইযে পরিস্থিতি, আমি ওনাকে প্রচুর মিস করতেছি, কিন্তু পাচ্ছি না। আমার হাহাকারটা ওনাকে বুঝাতে পারছি না। এর সুযোগে তিনি আমার থেকে দূরত্ব অবলম্বন করে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বেশি সময় কাটান। এদিকে একাকিত্বে একাকিত্বে আমি আরও পাগল হয়ে চলেছি। আমি ওনার থেকে সাপোর্ট, সময় আশা করি, যা দিচ্ছেন না। আমার রিয়েকশনের অবস্থায় মারধর, কান্নার সময় দোষ ধরা এসব আমাকে আরও মানসিকভাবে মেরে ফেলছে।
ওনার কথা, উনি আমার থেকে সাবধান থাকছেন। উনি আমার কাছে শান্তি পাচ্ছেন না তাই দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বেশি সময় কাটান (রাত্রিযাপন না। আমার পালিতে থাকাবস্থায় ওনাকে খুব বেশি সময় দেওয়া, ওনার পালিতে থাকাবস্থায় আমাকে তেমন পাত্তা না দেওয়া)
ওনার তো শান্তি পাওয়ারর জন্য অন্যত্র জায়গা আছে। কিন্তু আমার স্বামীর থেকে যে আমি শান্তি পাচ্ছি না, প্রচুর কষ্ট পাচ্ছি, আমার অবস্থা জেনেও আমার সাথে দুরত্ব সৃষ্টি ইত্যাদি আমার উপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি ওনাকে বারবার বলেছি ওনাকে আমার প্রয়োজন, কিন্তু উনি সেইফ থাকতেছেন। ওনার কথা উনি তো ভরণপোষণ দিচ্ছেন আর সমস্যা কি?
আমার সমস্যা প্যারানরমাল, হাজবেন্ড কর্তৃক আমার প্রতি ভুল বোঝা, সময় ও সুস্থ দাম্পত্য জীবন লিড না করে মানসিক রোগী বানিয়ে ফেলা।
সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় এটা যখন জেনেছি আমার অসুস্থতার সুযোগে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে বেশি এনজয় করেন এবং আমার থেকে সেইফ থাকার জন্য দূরে থাকেন। এটা আমাকে আরও কষ্টে ফেলেছে। তিনি এমনভাবে ঝুঁকেছেন যা আমার ধারণার বাইরে ছিলো। দ্বিতীয়বার বিশ্বাস ভেঙেছে। আমি আমার স্বামীর সাথে সুন্দর সংসার করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি মাহরুম।
আমি কি করবো ওস্তাদ? আমার এই পরিস্থিতি থেকে কিভাবে উত্তরণ পাবো? আপনি বলতে পারেন কিভাবে সম্ভব স্বামীর সঙ্গ ছাড়া সুস্থমতো বাঁচা যেখানে আমার হাজবেন্ডকে খুব করে চাই ও ভালোবাসি, মিস করি? আমি কিভাবে সব কষ্টগুলো আল্লাহর জন্য সহ্য করে যেতে পারি সাপোর্ট ছাড়াই নাসীহাহ করুন। কিভাবে নিজে নিজে রুকইয়াহ কন্টিনিউ করে যাবো। এবং আমাকে এমন আমল দিন যার ফলে দুনিয়ার প্রয়োজনীয় বিষয়ের প্রতিও যেন না ঝুঁকে যাই। জোর করে তো ভালোবাসা আদায় করতে পারবো না, কিন্তু এখন আমার করণীয় কি। বা আমার স্বামীর কি করণীয় হওয়া উচিত ছিলো?
শেষমেশ, আমার স্বামী কি এভাবে দূরে গিয়ে নিজেকে সেইফ করার দ্বারা ঠিক কাজ করছেন? তার কি উচিত ছিল না দূরে না গিয়ে আমার মানসিক সাপোর্ট করা? এভাবে একজনকে মেন্টাল পিস দেওয়া আরেকজনকে মেন্টাল রোগী বানিয়ে দেওয়া আদর্শ কাজ?