আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (45 points)
edited by
১)ধরুন আমি আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা, জান্নাত চাই

সেই উদ্দেশ্যেই ইবাদাত করি।

এখন আমার একটা মেয়েকে পছন্দ,তার ও আমাকে খুব পছন্দ ।রিলেশনে নাই।কথাও বলি না,দেখাও করি না।শুধু দুইজন আশা করি আমাদের বিয়ে হবে।

আমি ভাবলাম তাকে বিয়ে করব।সেও রাজি হইল।

কিন্তু আমরা কোন সম্পর্কে নাই আর কি।

তাকে বিয়ে করব এই কথা দেওয়ার পর থেকে আমি তার ভালবাসাই মশগুল হয়ে গেছি।

এখন আর মনের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছা অনুভব হচ্ছে না।

তো আমি ভাবলাম যে আমি আল্লাহর প্রতি ভালবাসা অনুভব করছি না কিন্তু ওই মেয়ে কে প্রচন্ড ভালবাসছি এতে শিরক হবে হয়তো। তো যেন মুশরিক না হই,সেজন্য ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও জোর করে আমি আল্লাহ কে ভালবাসার চেষ্টা করতে লাগলাম আর ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা চাইতে থাকলাম।মানে এমন না যে আমি মুনাফিকি করছি।

কিন্তু মনের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালোবাসা পাওয়ার ইচ্ছা আসছেই না।

তাও আমি জোর করে ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও আল্লাহ ভালবাসা,সন্তুষ্টির আশায় ইবাদাত করে যাচ্ছি।

১)আমার কি শিরক হচ্ছে???

২)আমার কি উচিত এভাবেই জোর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসার আশায় ইবাদাত করতে থাকা?

আমি এভাবে করলে কি আমি আল্লাহর ভালবাসা, সন্তুষ্টি, জান্নাত পাব??
নাকি আমার উচিত ওই মেয়ের সাথে বিয়ের কথা বাদ দিয়ে দেওয়া যাতে মনের মধ্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছা জাগে?

৩) উপরের দুইটা অবস্থার মধ্যে কি এটা উত্তম যে আমি ওকে বিয়ের কথা বাদ দিব যেন মনে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার ইচ্ছা জাগে?

নাকি জোর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার আশা করে ইবাদাত করে গেলেও সেটাও উত্তম???

শুধু আগে মনে ইচ্ছা আসত আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাইতে  আর এখন ইচ্ছা না আসা সত্ত্বেও জোর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ভালবাসা পাওয়ার আশা নিয়ে ইবাদাত করছি।

1 Answer

0 votes
by (689,100 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি হারাম রিরেশন পরিত্যাগ করবেন। তারপর নেককার লোকদের সাথে মহব্বত তৈরী করবেন। দেখবেন, তখন নেককাজের প্রতি মহব্বত তৈরী হয়ে গেছে।

বিঃদ্রঃ
যহেতু সরাসরি আপনার প্রশ্নের উত্তর জানা আপনার জন্য জরুরী না, তাই আমরা এমন জবাব দিয়েছি, যা আপনার জন্য কল্যাণকর।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (45 points)
edited by
ধরুন আমার এখন আর্থিক সামর্থ আছে,তাহলে কি তাকে বিয়ে করে নেওয়া উত্তম হবে?
by (689,100 points)
জ্বী, সামর্থ্য থাকলে তাকে বিয়ে করতে পারবেন। এবং বিয়ে করে নেয়াটাই উচিত।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...