আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর জীবন বীমা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ছিলাম কিন্তু কেমন তা আমার ব্যাখার স্যাথে মিলেনা।
আমার আব্বু একটা বড় কোম্পানির(ইউনিলিভার কোম্পানি লিমিটেড) মধ্যে জব করত। সেটা কোনো হারাম কোম্পানি না । কোরুনার সময় তিনি মারা যান । তখন তাদের কোম্পানি থেকে আমাদের "group life insurance" নামে একটা বড় অঙ্কের অর্থ দেন । আমি জানি না এই ইন্সুরেন্স কিভাবে কাজ করে। আমি শুনছিলাম এই ইন্সুরেন্স অনেক গুলো এম্পলি মিলে একটা ট্রাস্ট খুলে। তারপর কোনো এমপ্লোয় কোনো সমস্যা হলে সেটা থেকে অর্থ দেন। তবে আমি জানি না এই ইন্সুরেন্স এই রকম ।

আমি একজন ওই কোম্পানি তে কাজ করে এমন একজনের সথে কথা বলে জানলাম যে ।
এই ইন্সুরেন্স তাদের কোম্পানি তাদের মাসিক বেতন থেকে কেটে নেয় এবং যখন প্রয়োজন তখন কোম্পানি তাদের জমাকৃত অর্থের পরিমাণ যত জমে তার চেয়ে দ্বিগুণ করে ওই ব্যক্তি কে দেন । অর্থাৎ জমার দ্বিগুণ।
আমি ভালো করে জানতে পারছি না আমার আমার আব্বুর জমা কত চিল বা ওই ইন্সুরেন্স কিভাবে কাজ করে।
আমি শুনে ছিলাম যে জমা টাকা যদি ব্যবসা করে ওই প্রতিষ্ঠান তাহলে এটি জায়েজ হবে।
আমি শুনছিলাম যে সুদের টাকা অন্যকে দিয়ে দিতে হয় । সেক্ষেত্রে আমার আব্বুর এই ইন্সুরেন্স এর টাকা টা আমরা ব্যবহার করতে পারব কিনা যতক্ষণ আমার ইনকাম করা শুরু করছি অর্থাৎ সাময়িক সময়ের জন্য।
ইন্সুরেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (651,540 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!কত 
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।

দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।

তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।

সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1204

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবার বেতন থেকে যত টাকা কর্তিত হয়ে উক্ত বীমা কম্পানিতে গিয়েছে, সেই টাকা তথা মূলধন তো আপনাদের জন্য হালাল। তবে অতিরিক্ত টাকা এই মূহুর্তে আপনাদের জন্য হালাল হবে না। যদি মূলধন খরচ হয়ে যায়, এবং জীবিকানির্বাহের কোনো ব্যবস্থা আপনাদের না থাকে, তাহলে অতিরিক্ত টাকা আপনারা খরচ করতে পারবেন। নতুবা এই অতিরিক্ত টাকা আপনাদেরকে অবশ্যই সদকাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...