আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
25 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আমি এখন যেখানে পড়ি ওখানে একজন উস্তায সম্পর্কে একটা বিষয় জানা যায়(যেটা আমার সাথে সম্পর্কি ত)যেটা গায়রতে লাগার মতো ইস্যু।
শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাপারটা খারাপ ছিলো, হারামের লেভেলের ছিলো ( ইস্যুটা বুঝানোর জন্য বলছি)।
এখন ওই উস্তাদ মাঝে মধ্যে দারস নেয়, আবার এই উস্তাদ এর লিখা কিতাব মেইনলি পড়ানো হচ্ছে। আর বেশি ক্লাস নেয় আরেকজন উস্তাদ ওনার সম্পর্কে কোনো খারাপ কিছু জানা যায়নি।
এখন আমি কি এখান থেকে ইলম অর্জন করবো নাকি অন্য কোথাও মুভ করবো।
আর আমার অন্য বোনদেরকে আমি এ বিষয়ে কীভাবে সাবধান করতে পারি,,যেহেতু এই ঘটনা সামান্য কেউ জানে৷ বোনদের কেউ এ বিষয়ে ধারনা নেই,,, কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে সবার সতর্ক হওয়া উচিত,,,
এক্ষেত্রে আমার কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (620,460 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ [٤٩:١٢] 

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। {সূরা হুজুরাত-১২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْغِيبَةُ؟» قَالُوا: اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: «ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ» قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ؟ قَالَ: «إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ، فَقَدِ اغْتَبْتَهُ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ فَقَدْ بَهَتَّهُ»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কি? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ গীবত হল তোমার ভাইয়ের সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা, যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলঃ আমি যা বলেছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থেকে থাকে, তাহলে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ তুমি তার সম্পর্কে যা বলেছ তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৫৮৯, ৭০, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-১১৪৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৭৫৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২৯৩, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪১৭, সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-২১১৬৩}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
হযরত মু'আবিয়া ইবনে হাইদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,

معاوية بن حيدة رضي الله عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ( أَتَرعُونَ عَنْ ذِكْرِ الْفَاجِرِ ! اذْكُرُوهُ بِمَا فِيهِ كَي يَعْرِفَهُ النَّاسُ وَيَحْذَرَهُ النَّاسُ ). 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,তোমরা কি ফাসিকের সমালোচনা থেকে বিরত থাকবে?বরং তোমরা ফাসিকের কৃত অপরাধ নিয়ে সমালোচনা করো,যাতেকরে লোকজন সেই অপরাধ থেকে বিরত থাকে।আস-(সুনানুল কুবরা-বায়হাক্বী-১০/২১০) 

الخامس: أن يكون مجاهرا بفسقه أو بدعته. فيجوز ذكره بما يجاهر به، ويحرم ذكره بغيره من العيوب،

(পাঁচ)প্রকাশ্যে গোনাহ কারী বা বিদআতে অংশগ্রহণ কারীর গীবত করা।সুতরাং সে যা প্রকাশ্যে করবে সেটার গীবত করা জায়েয।তবে এছাড়া তার অন্যান্য দোষ নিয়ে আলোচনা করা জায়েয হবে না।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যারা প্রকাশ্যে কবিরা গুনাহ করে,তারা ফাসেক। চাই পাশাপাশি আল্লাহর ইবাদত করুক বা না করুক।

যেমন কেহ প্রকাশ্যে গান বাজনা করে/শোনে,কেহ প্রকাশ্যে মানুষের সামনে অশ্লীলতা করে,ইত্যাদি। 

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই শিক্ষক যদি প্রকাশ্যে অনেক মানুষের সামনে হারাম কাজ করে,এবং তওবা করে ফিরে না আসে,সেক্ষেত্রে অন্য কোথাও মুভ করতে পারেন।
এবং আপনার ন্যায় অন্যের সাথে এ ধরনের হারাম কাজ হওয়ার আশংকা থাকায় অন্যদেরকেও সতর্ক করতে পারেন।

আর যদি বিষয়টি এমন না হয়,সেক্ষেত্রে অন্য কোথাও মুভ না করলেও আশা করি সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by
reshown ago
যেই গুনাহ বলা হয়েছে তা প্রকাশ্য নয়, তবে তা আমার কাছে শুধু প্রকাশ পেয়েছে,,গোপন গুনাহই বলা যেতে পারে৷ এক্ষেত্রে কি করনীয়,,আর তিনি তাওবা করেছেন কিনা তাও তো জানা সম্ভব না,,, এক্ষেত্রে কি করবো?
আর বোনদেরকে কি পুরো ঘটনা জানিয়ে সতর্ক করবো, না কীভাবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...