জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যেকোনো ব্যক্তি অন্যের কাছে দোয়া চাইতে পারবে। শরিয়তের দৃষ্টিতে এতে কোনো সমস্যা নেই।
তবে সৎ ও নেককার লোকদের কাছে দোয়া চাওয়া উত্তম। কারণ তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবু দারদা (রা.)-এর জামাই সাফওয়ান ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আমি সিরিয়ায় আবুদ্দারদা (রা.)-এর বাড়িতে গেলাম। আমি তাকে বাড়িতে পেলাম না; বরং সেখানে উম্মুদ্দারদা (রা.)-কে পেলাম। তিনি আমাকে বলেন, ‘তুমি কি এই বছর হজে যেতে চাও?’ আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য কল্যাণের দোয়া করো। কেননা নবী (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলিম ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতে দোয়া করলে তা কবুল হয়। তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকেন। যখন সে তার ভাইয়ের কল্যাণের দোয়া করে, তখন নিয়োজিত ফেরেশতা বলে, আমিন! তোমার জন্যও অনুরূপ কল্যাণ বর্ষিত হোক।’ সাফওয়ান (রহ.) বলেন, আমি বাজারে গিয়ে আবু দারদা (রা.)-এর দেখা পেলাম, তিনিও আমাকে এই হাদিস শোনালেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৭৩৩)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
অন্যজনের পক্ষ থেকে হেফাজতের আমল করা যাবে। করলে তা কাজে আসবে,ইনশাআল্লাহ।
(০২)
গীবতের কাফফারাহ্ হলো, গীবতকারী যার গীবত করেছে, তার জন্য মাগফিরাত প্রার্থনা করবে এবং এভাবে বলবে, হে আল্লাহ! আমাকে এবং তাকে ক্ষমা করো।
আরো জানুনঃ-
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দিবেন।
এক্ষেত্রে তার পক্ষ থেকে সদকা করা আবশ্যক নয়। তবে সদকা করলে তাতে কোনো সমস্যা নেই।