আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
34 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম, শায়েখ। আমি এক কঠিন পরিক্ষার মুখোমুখি আছি, দয়া করে সঠিক পরামর্শ দিবেন।

আমার একটি বিয়ের প্রস্তাব আসে, ছেলে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার,তাই আমি প্রস্তাবটা না করে দেই।তবে আমার পরিবারের সবাই রাজি, আমার মামা, বাবা সবাই আমার সাথে রাগ করে আছে। আমি কোনোভাবেই একজন সুদ রিলেটিভ কারো সাথে থাকতে পারব না,আমি সবাইকে জানিয়ে দেই।এরপর থেকে সবাই আমার সাথে তেমন কথা বলে না,বাজে বাজে কথা বলে। আমার মা বিছানায় পড়া,এককথায় প্রায় মৃত্যুসয্যায়(আল্লাহ তাঁকে সুস্থ করুক)।তবুও মা আমার সাথে এটা নিয়ে অনেক রাগারাগি করে। আমি তাদের সবাইকে বুঝানোর সব চেষ্টা করেছি,আমার আর কোনো পথনেই বোঝানোর।এরপর থেকে মা আমার সাথে সব কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে, আমাকে অভিশাপ দিয়েছে আমি কখনো সুখি হবো না,,আমাকে সারাদিনই শুয়ে শুয়ে অভিশাপ দেয়,গালি দেয়,তাদের কথা না শুনায়। আমি মায়ের রাগ ভাঙতে সব চেষ্টা করেছি। কোনো ভাবেই রাগ ভাঙবে না,শুধু আমি যদি ঐ ছেলের সাথে বিয়েতে রাজি হই, তাহলেই রাগ ভাঙবে।সবাই আমাকে নিয়ে অনেক অনেক কটু কথা বলে।আমি শুধু আল্লাহর জন্য এ বিয়েটা না করে দেই,কেউই সুদের শাস্তিটা বুঝতে চাইছে না।আমি অনেক একা হয়ে গেছি।কেউ পাশে নেই। সবাই অনেক কিছু বলছে।আমি আর পারছি না যুদ্ধ করতে,অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমার মায়ের অভিশাপ কি আমার উপর লাগবে? তাদেরকে বুঝানোর সব রাস্তা শেষ,আমার এখন করনীয় কি,বিয়েটা কি করা উচিত,এমন মানুষকে??

২))আমার বাড়িতে মাহরাম,নন মাহরাম এগুলো কেউ তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না।তবে আমি আমার বোন মেনে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু বাইরে মেনে চললেও বাসায় ফুফাতো ভাইরা আসলে তাদের সামনে যেতে হয়, আমি কখনও তাদের সামনে যেতে চাইনা,তারাও বুঝে না,আমার বাবাও বুঝে না,কিছু বললে কটু কথা শুনায়।এ অবস্থায় যখনই তাদের সামনে পরতে হয় তখনই আমি আল্লাহর কাছে মাফ চাই, তাদের সামনে যতটা কম আসার চেষ্টা করি,শুধু মুখ, হাত পা খোলা থাকে,আমার অনেক আনইজি লাগে। এজন্য কি আমারও পাপ হচ্ছে, আমি নিরুপায়।কেউ বুঝে না,আমার করনীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (648,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২,সহীহ মুসলিম-১৪৬৬) বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/18

ব্যাংকের জব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/398

স্বামীর ইনকাম হারাম হলে স্ত্রীর করণীয় কি? 
সে সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/782

সম্মাণিত দ্বীনী বোন!
দ্বীনদার জীবনসঙ্গী-ই জীবনের অনেক বড় পাওয়া।নিজে নিজে পাত্র দেখে বিয়ে করাটা যদিও জায়েয।তবে তা অদ্য কোনো মুসলিম/ মুসলিমার জন্য সমুচিত হবে না।এক্ষেত্রে লজ্জার বিষয়টাও বিবেচ্য।হ্যা পরিবার যেরকম পাত্রর কথা বলছে,সেরকম পাত্রকে বিয়ে করাটাও আবার নাজায়েয হবে না।কেননা শুধুমাত্র ঈমান এবং আক্বিদা-বিশ্বাস বিশুদ্ধ থাকলেই তার সাথে বিয়েনশাদী বৈধ থাবে।যদিও তা উত্তমতার খেলাফ।

আপনারা ফ্যমিলির সদস্যবৃন্দকে বুঝাতে থাকবেন। এবং আল্লাহর কাছে দু'আ করতে থাকবেন।বলা তো যায় না কখন আপনার দু'আ আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যাবে।

হেকমত এবং নরম ভাষায় তাদের বুঝাতে থাকবেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﺍﺩْﻉُ ﺇِﻟِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﺤِﻜْﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻮْﻋِﻈَﺔِ ﺍﻟْﺤَﺴَﻨَﺔِ ﻭَﺟَﺎﺩِﻟْﻬُﻢ ﺑِﺎﻟَّﺘِﻲ ﻫِﻲَ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻤَﻦ ﺿَﻞَّ ﻋَﻦ ﺳَﺒِﻴﻠِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন হেকমত তথা জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও নরমভাবে উপদেশ শুনিয়ে, এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।(সূরা নাহল-১২৫)

আপনার বা আপনার পরিচিত কারো যদি কোনো দ্বীনদার পাত্র সম্পর্কে জানা থাকে তবে সেই পাত্রকে আপনার ফ্যামিলির নিকট পাঠাতে পারেন।বিশেষ করে এমন পরিবারের প্রত্যেক মেয়ের জন্য দ্বীনদার ভাল চাকুরীজীবী কোনো পাত্রকে নিজে নিজে লোকজন লাগিয়ে খুজে বের করে মাতাপিতার সামনে উপস্থাপন করাই উচিৎ।এবং কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দু'আ করা,যাতেকরে চেষ্টাপ্রচেষ্টা কবুল হয়।আল্লাহ অবশ্যই কবুল করবেন। বিস্তারিত-https://www.ifatwa.info/7476


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
reshown by
জাজাকাল্লাহ খাইরন।আর আমার মা যে অনবরত আমাকে অভিশাপ দিয়েই যাচ্ছে, এগুলো কি সত্যি হবে?
আর আমার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর টা পাইনি ওস্তাদ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...