আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বয়স ২৫ বছর।
আমাকে পারিবারিকভাবে ১৫ বছর বয়সে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো যেটাতে আমি সম্মত ছিলাম না। আমাকে তখন উঠিয়ে দেয়া হয়নি বলে তার সাথে কোন ধরনের ইন্টিমেসি তৈরি হয়নি। এরপর পাঁচ মাস পরে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিলো বিভিন্ন ঝামেলায়।

পরবর্তীতে দ্বিতীয় আরেকটি বিয়ের ঘটনা ঘটে যেটা পাবলিকলি সেভাবে জানানো হয়নি। সেখানে কয়েক মাসের মাথায় ডিভোর্স হয়ে যায়।

এখন আমি যদি বিয়ে করি সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনাটা কিভাবে সামনে আনা উচিত হবে যেহেতু এটা ওভাবে পাবলিক হয়নি? এক্ষেত্রে শারীয়াহ কি বলে?

1 Answer

0 votes
by (656,880 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহিলাকে তার পানিপ্রার্থী বা স্বামী পূর্বে কোনো গোনাহ বা অ্যাফেয়ার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না।যদি নারী কে চাপ প্রয়োগ বা জোড়ালো ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে সে তাওরিয়াহ করতে পারে।তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে।যেমন- স্ত্রী বলবে,আমার কারো সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না।উদ্দেশ্য নিবে,আজকে বা গতকাল কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। অথবা এভাবে বলবে, আমার যে সম্পর্ক ছিলো,তুমি কি তা বিশ্বাস করবে?স্বামীর উচিৎ সে দ্বীনদ্বার, চরিত্রবান কোনো নারী দেখে বিয়ে করবে। যখন সে কাউকে বিয়ে করে নেবে,তখন সে যেন তার স্ত্রীকে অতীত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা না করে,খোজখবর না নেয়।কেননা দোষ গোপন রাখাই  আল্লাহর পছন্দনীয়।যা কারো অতীত জীবনী তালাশের বিরোধী। এতেকরে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যা সংসার নামক প্রশান্তিদায়ক বস্তুকে অগ্নিময় করে তুলে।মানুষকে অস্থির ও পেরেশান করে তুলে। স্বামীর জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে তার স্ত্রীকে ইবাদতে লিপ্ত দেখবে।তার ফরমাবরদার হবে।ঠিক এমনিভাবে স্ত্রী তার স্বামীকে অতীত জীবন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।স্বামী কি ইতিপূর্বে কাউকে ভালবেসেছিলো? অন্য কারো প্রতি তার মন কখনো চলে গিয়েছিলো?সে কি কোনো গোনাহের কাজে কখনো গিয়েছিলো?কেননা এমনসব প্রশ্নে কোনো উপকার নেই।বরং এর দ্বারা অপকারের এমনসব দরজা খুলে যায়,যার সংশোধন কখনো সম্ভবপর হয় না।স্বামী যদি স্ত্রীকে বারংবার জিজ্ঞাসা করে।অথবা এ বিষয়ে স্ত্রীর মূখ থেকে হ্যা/না শুনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যদিকে স্ত্রী নিজেকে বাচানোর অন্য কোনো রাস্তা খুজে না পায়,তাহলে সে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনকে সন্দেহমুক্ত রাখতে তাওরিয়াহ করে কসম করতে পারবে।কিন্তু যদি এমন হয় যে,পূর্বের রিলেশনের কথা স্বামী একদিন জেনে যাবে,এবং রিলেশনটাও এ পর্যায়ের ছিলো,অস্বীকার করে পার পাওয়া যাবে না।এবং এটা যে স্বামী জানবে,এ সম্পর্কে অধিকাংশ ধারণা থাকে।স্বামী ভবিষ্যতে জানলে সংসার বিষময় হয়ে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের পূর্বেই স্বামীকে অবগত করে দেওয়া উচিৎ।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/906

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বিয়ে করাটা গোনাহের কিছু না, তাই আপনি স্বামীর নিকটি দুইটি বিয়ের উল্লেখ করবেন। স্বামীর কাছে বলার পূর্বে নিজ পরিবারকে অবগত করে রাখবেন। হ্যা, দ্বিতীয় বিয়েটা যেহেতু গোপনে হয়েছিলো, তাই এই হারাম রিলেশনকে এড়িয়ে শুধুমাত্র বিয়ের আলোচনা সামনে আনার চেষ্টা করবেন। যদি দেখেন, হারাম রিলেশনের আলোচনা ব্যতিত দ্বিতীয় বিবাহের আলোচনা সম্ভবপর হচ্ছে না, তাহলে তখন দ্বিতীয় বিবাহকে গোপন রাখতে পারবেন। তবে যাতে স্বামী জানতে না পারে, সেদিকে যথেষ্ট মনযোগী থাকবেন। আল্লাহর কাছে হারাম রিলেশনের জন্য তাওবাহ করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
হুজুর এখন ইন্টারনেটের যুগ। প্রাক্তন থেকে প্রকাশ পেতে পারে। বিয়ে পরবর্তীতে স্বামী জেনে গেলে তখন ঐ সংসারে অশান্তিই হবে। আর এটা কি একধরনের প্রতারণা হবে না যদি শুধু এক বিয়ে বলা হয়। যদিও আমি এখানের মূল প্রশ্নকারী না। 
by (656,880 points)
যদি স্বামীর জেনে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকে, তাহলে প্রথম থেকে জানাতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...