আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

–1 vote
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম

কারো কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে কন্টিনিউয়াসলি খোঁচামারা কথা শোনা, পরিস্থিতি অনুযায়ী যখন ন্যায়ের কথা বলতে হয় তখনও কেউ যদি কষ্ট দিয়ে কথা বলে, কষ্ট পাওয়ার ফলে কখনো কখনো নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে রিয়্যাক্ট করে ফেললে, কষ্টে দুঃখে তাদের নিয়েও কিছু বলে ফেললে,  কথাগুলো যদি তারাও শুনতে পারে যেটা শুনলে তাদেরও কষ্ট লাগে, আবার কখনো শুনিয়ে শুনিয়ে বলে ফেললে ( মানে তাদের দেয়া কষ্টের ব্যাপারে কথা বলতে যেয়ে রাগে তাদেরকেও কিছু বলে ফেলা) এমতাবস্থায় এটাও কি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে?

নিজে কাউকে কষ্ট দিতে না চাইলেও, কারো ব্যাপারে কিছু বলতে না চাইলেও সবসময় এরকম আচরণে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে কখনো কখনো ওভার রিয়্যাক্ট হয়ে যায়। এটা যদি গীবত হয় তাহলে তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া সম্ভবপর না হলে কী করণীয়? নিজেকে কন্ট্রোলের চেষ্টা করতে চেয়েও মাঝেমধ্যে ব্যর্থ হয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। খুবই অনুতপ্ত বোধ হয়। কীভাবে এরকম পরিস্থিতি থেকে নিজেকে কীভাবে সবসময় কন্ট্রোল করা যায় এবং করণীয় সম্পর্ক অনুগ্রহ করে জানাবেন। <!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250507_172653_638.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (647,820 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳَﺄْﻣُﺮُ ﺑِﺎﻟْﻌَﺪْﻝِ ﻭَﺍﻹِﺣْﺴَﺎﻥِ ﻭَﺇِﻳﺘَﺎﺀ ﺫِﻱ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰ ﻭَﻳَﻨْﻬَﻰ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻔَﺤْﺸَﺎﺀ ﻭَﺍﻟْﻤُﻨﻜَﺮِ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻲِ ﻳَﻌِﻈُﻜُﻢْ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ
আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। (সূরা নাহল-৯০)

আল্লাহ তা'আলা মাযলুমকে যালিমের উপর দুনিয়াতে এমন সাহয্য প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন,যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে রেখেছেন,এবং যা যুলুম ও সীমালঙ্ঘন সম্বলিত প্রার্থনা হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ 
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। ( সূরা নিসা-১৪৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/19877


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ খুচিয়ে খুচিয়ে কষ্টদায়ক কথা বললে, ক্ষমা করে দেয়াই উচিত। তবে কেউ যদি আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থী হয়, তাহলে এটাও তার অধিকার। কেউ অতিষ্ট হয়ে কিছু বলে ফেললে, যদি ন্যায় সঙ্গত ও অতিরিক্ত কিছু না বলে, তাহলে সেটা গীবত হবে না। হ্যা, অন্যায় ও অতিরিক্ত বললে, তখন ক্ষমা চাইতে হবে। উক্ত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হলে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...