ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳَﺄْﻣُﺮُ ﺑِﺎﻟْﻌَﺪْﻝِ ﻭَﺍﻹِﺣْﺴَﺎﻥِ ﻭَﺇِﻳﺘَﺎﺀ ﺫِﻱ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰ ﻭَﻳَﻨْﻬَﻰ ﻋَﻦِ ﺍﻟْﻔَﺤْﺸَﺎﺀ ﻭَﺍﻟْﻤُﻨﻜَﺮِ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻲِ ﻳَﻌِﻈُﻜُﻢْ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗَﺬَﻛَّﺮُﻭﻥَ
আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আত্নীয়-স্বজনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স্মরণ রাখ। (সূরা নাহল-৯০)
আল্লাহ তা'আলা মাযলুমকে যালিমের উপর দুনিয়াতে এমন সাহয্য প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন,যা আল্লাহ তা'আলা তার জন্য লিখে রেখেছেন,এবং যা যুলুম ও সীমালঙ্ঘন সম্বলিত প্রার্থনা হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ : ( ﻟَﺎْ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺍﻟْﺠَﻬْﺮَ ﺑِﺎﻟﺴُّﻮﺀِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺇِﻻَّ ﻣَﻦْ ﻇُﻠِﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺳَﻤِﻴْﻌًﺎ ﻋَﻠِﻴْﻤًﺎ ) ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ 148/ .
আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ। ( সূরা নিসা-১৪৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ খুচিয়ে খুচিয়ে কষ্টদায়ক কথা বললে, ক্ষমা করে দেয়াই উচিত। তবে কেউ যদি আল্লাহর কাছে বিচার প্রার্থী হয়, তাহলে এটাও তার অধিকার। কেউ অতিষ্ট হয়ে কিছু বলে ফেললে, যদি ন্যায় সঙ্গত ও অতিরিক্ত কিছু না বলে, তাহলে সেটা গীবত হবে না। হ্যা, অন্যায় ও অতিরিক্ত বললে, তখন ক্ষমা চাইতে হবে। উক্ত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হলে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।