আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (18 points)
আস-সালামু আলাইকুম। রুহ, ক্বলব, অন্তর ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই, জানতে চাই মন খারাপ, হতাশা, ডিপ্রেশন, মনের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়। আমার আগের প্রশ্নে রুহ/ ক্বলব/ অন্তরের যে সমস্যা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে এসব সমস্যা এবং এই রিলেটেড অন্যসব সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জানতে চাই। কিভাবে এগুলো জানবো? কম বাজেটে বই সাজেস্ট করুন। আর আমি মাযহাব নিয়ে সংশয় আছি আর আমি আহলে হাদিস না তাই এমন বই সাজেস্ট করুন যাতে ৪ মাযহাবের নির্দিষ্ট যেটাই মানবো মাযহাব নিয়ে কোনো সমস্যা হবেনা।

আগের প্রশ্ন উত্তরের লিংক-

https://ifatwa.info/100065/

https://ifatwa.info/116491
by (18 points)
কম বাজেটে বই সাজেস্ট করুন যেগুলো অনলাইন এবং অফলাইনে পেতে পারি।

1 Answer

0 votes
by (618,420 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «إنَّ الحَلاَلَ بَيِّنٌ، وَإنَّ الحَرامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبَهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثيرٌ مِنَ النَّاسِ، فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ، اسْتَبْرَأَ لِدِينهِ وَعِرْضِهِ، وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ في الحَرَامِ، كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الحِمَى يُوشِكُ أنْ يَرْتَعَ فِيهِ، ألاَ وَإنَّ لكُلّ مَلِكٍ حِمَىً، ألاَ وَإنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ، ألاَ وَإنَّ فِي الجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَت صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، ألاَ وَهِيَ القَلْبُ » متفقٌ عَلَيْهِ

নু‘মান ইবনে বাশীর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘অবশ্যই হালাল বিবৃত ও স্পষ্ট এবং হারাম বিবৃত ও স্পষ্ট, আর উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দিহান বস্তু; যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব যে ব্যক্তি এই সন্দিহান বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও ইজ্জতকে বাঁচিয়ে নেবে এবং যে ব্যক্তি সন্দিহানে পতিত হবে (সন্দিগ্ধ বস্তু ভক্ষণ করবে), সে হারামে পতিত হবে।

(এর উদাহরণ সেই) রাখালের মত, যে নিষিদ্ধ চারণভূমির আশেপাশে পশু চরায়, তার পক্ষে নিষিদ্ধ সীমানায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শোন! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষিত চারণভূমি থাকে। আর শোন! আল্লাহর সংরক্ষিত চারণভূমি হল তাঁর হারামকৃত বস্তুসমূহ। শোন! দেহের মধ্যে একটি গোশতপিন্ড রয়েছে; যখন তা সুস্থ থাকে, তখন গোটা দেহটাই সুস্থ হয়ে থাকে। আর যখন তা খারাপ হয়ে যায়, তখন গোটা দেহটাই খারাপ হয়ে যায়। শোন! তা হল কলব (হৃৎপিন্ড,অন্তর)।’’

(সহীহুল বুখারী ৫২, ২০৫১, মুসলিম ১৫৯৯, তিরমিযী ১২০৫, নাসায়ী ৪৪৫৩, ৫৭১০, আবূ দাউদ ৩৩২৯, ইবনু মাজাহ ৩৯৮৪, আহমাদ ১৭৮৮৩, ১৭৯০৩, ২৭৬৩৮, ১৭৯৪৫, দারেমী ২৫৩১।)

★এই হাদীসে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে কলব হলো গোশতের টুকরো। 

এখন প্রশ্ন হলো এ বিশেষ ‘মুদগা’ যাকে ‘কলব’ বলা হয়েছে তা শরীরের কোথায় অবস্থিত? এ সম্পর্কে তিনটি মতামত আছে- 

ক. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো রুহ (আত্মা, প্রাণ বা জীবন), কিন্তু এটা সঠিক হতে পারে না। কারণ রুহের কোনো নির্ধারিত আকার নেই এবং শরীরের মধ্যে তার কোন সুনির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থানও নেই। 

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা যদি আপনাকে রুহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে, আপনি বলুন, রুহ আমার রবের নির্দেশ হতে; আর তোমাদের সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।’ (সূরা বনি ইসরাঈল : ৮৫)।

খ. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো নাফছ , কিন্তু এটাও সঠিক হতে পারে না। কেননা নাফছেরও কোনো নির্ধারিত আকার নেই এবং শরীরের মধ্যে তার কোনো সুনির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থানও নেই। 

 গ. কেউ কেউ বলেন, এটা হলো আকল (জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি)।

এটা অনেকটা কাছাকাছি। কিন্তু আমরা জানি জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি স্পর্শযোগ্য বস্তু নয়, আকলেরও কোনো নির্ধারিত আকার নেই, যদিও শরীরের মধ্যে তার নির্দিষ্ট স্থান বা অবস্থান রয়েছে এবং হাদিস শরিফে কলবকে মুদগাহ অর্থাৎ স্পর্শযোগ্য বস্তু বলা হয়েছে, সুতরাং মস্তিষ্ক বা মগজ (গোশতের টুকরো) যেখানে জ্ঞান, বিবেক বা বুদ্ধি থাকে তাকেই কলব বলা শ্রেয়তর হবে। 
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

একদা ইহূদীগণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, 

قل الروح من أمر ربی
‘হে নবী! তুমি বল, রূহ হ’ল আল্লাহর একটি আদেশ’ (ইসরা ১৭/৮৫)। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
রুহ এর প্রকৃতি মানুষের জ্ঞানের বাইরে। এমনকি আম্বিয়ায়ে কেরামও এর প্রকৃতি জানতেন না।
এটি মহান আল্লাহ তায়ালার আদেশ।

রুহ সম্পর্কে আরো জানতে নিচের লিংকে দেয়া বই ক্রয় করে পড়তে পারেনঃ-

★মন খারাপ, হতাশা, ডিপ্রেশন, মনের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে,বেশি বেশি যিকির করতে হবে।
এক্ষেত্রে যিকিরের হালকায় বসলে অনেক ভালো হয়।

আরো জানুনঃ- 

আমাদের দেশে যেহেতু হানাফী মাযহাব ব্যতীত অন্য মাযহাবের অনুসারী সেরকম নেই, তাই অন্য মাযহাবের ফুকাহায়ে কেরামও সেরকম নেই।

তাই চার মাযহাবের মধ্য হতে হানাফি মাযহাব ব্যাতিত অন্য কোন মাযহাব মানতে গেলে সেক্ষেত্রে শরীয়তের যাবতীয় বিষয়বলীর সমাধান নেওয়া আপনার পক্ষে অনেকটাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।

যেহেতু আমাদের দেশে হানাফী মাযহাবের কেরামের আধিক্যতা রয়েছে তাই আপনাকে নির্দিষ্ট মাযহাবের অংশ হিসেবে হানাফি মাজহাব মানার পরামর্শ থাকবে।

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...