বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/3135/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
জুমআর দিন বা জুমআর রাতে মৃত্যুবরনকারীদের কবরের আযাব থেকে মুক্ত রাখার কথা হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে।
ঈদের দিন বা ঈদের রাতে মৃতবরন কারীদের
সম্পর্কে হাদীস শরীফে কোনো ফজিলতের কথা উল্লেখ নাই।
তবে সেদিনটি যদি জুমআর দিন হয়, তাহলে সেই দিন মৃত্যু বরণ করলে সেই ফজিলত পাবে।
,
হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ
الْجُمُعَةِ إِلَّا وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ»
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন
মুসলিম জুমু‘আর দিন অথবা জুমু‘আর রাতে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে আল্লাহ
তা‘আলা তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন। (আত্ তিরমিযী ১০৭৪, আহমাদ ৬৫৮২, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৬২. মেশকাত ১৩৬৭।)
,
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু
আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কোনো মুসলমান
জুমআর দিনে কিংবা জুমআর রাতে মৃত্যুবরণ করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা
থেকে নিরাপদ রাখেন। [মুসনাদে আহমাদ (৬৫৪৬), জামে তিরমিযি (১০৭৪),
,
এ হাদিসটির ব্যাখ্যায় এসেছে যে, ফেতনা দ্বারা
কবরের মুনকার-নাকিরের জিজ্ঞাসাবাদ অথবা কবরের আজাবকে বুঝানো হয়েছে।
,
হজরত আবু নুআ’ইম তার হিলয়া’ গ্রন্থে
হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, যাতে কবরের আজাবের
কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরো জানুন - https://ifatwa.info/3135/