জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যে কোনো মুসলমানকে চাই সে জীবিত হোক বা মৃত হোক নফল ইবাদতের সওয়াব পৌঁছানো যাবে।
এবং সওয়াব পৌছবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবূ রাযীন আল-উকায়লী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,
عَنْ أَبِي رَزِينٍ الْعُقَيْلِيِّ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لاَ يَسْتَطِيعُ الْحَجَّ وَلاَ الْعُمْرَةَ وَلاَ الظَّعْنَ . قَالَ " حُجَّ عَنْ أَبِيكَ وَاعْتَمِرْ "
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা অতি বৃদ্ধ। তিনি হজ্জ, উমরা পালনে এমন কি যান বাহনে চলতে সক্ষম নন। তিনি বলেন তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ উমরা আদায় করে নিবে। ( ইবনু মাজাহ ২৯০৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৩১)
وفي الشامية
"من صام أو صلى أو تصدق وجعل ثوابه لغيره من الأموات والأحياء جاز". (ج2، ص: 243) فقط والله أعلم
কেহ রোজা রাখল অথবা নামাজ পড়লো অথবা সদকা আদায় করল এবং তার সওয়াব সে মৃত ব্যক্তি এবং জীবিত ব্যক্তিদের জন্য প্রদান করল সে ক্ষেত্রে একটি জায়েজ হবে।
আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ.এ সম্পর্কে
বিস্তারিত আলোচনা এভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেনঃ
ﻭﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻪ ﺃﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻟﻪ ﺃﻥ ﻳﺠﻌﻞ ﺛﻮﺍﺏ ﻋﻤﻠﻪ ﻟﻐﻴﺮﻩ ﺻﻼﺓ ﺃﻭ ﺻﻮﻣﺎ ﺃﻭ ﺻﺪﻗﺔ ﺃﻭ ﻗﺮﺍﺀﺓ ﻗﺮﺁﻥ ﺃﻭ ﺫﻛﺮﺍ ﺃﻭ ﻃﻮﺍﻓﺎ ﺃﻭ ﺣﺠﺎ ﺃﻭ ﻋﻤﺮﺓ ﺃﻭ ﻏﻴﺮ ﺫﻟﻚ ﻋﻨﺪ ﺃﺻﺤﺎﺑﻨﺎ ﻟﻠﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
মূলকথা হলঃ
মানুষ তার আমলের সওয়াব অন্যর জন্য দিতে পারবে, সে আমল চাই নামায/রোজা/সদকা/কোরআন তেলাওয়াত/যিকির/তাওয়াফ/হজ্ব/উমরা বা অন্য কিছুই হোকনা কেন। এটা আমাদের উলামাদের কাছে কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।(বাহরুর রায়েক,হজ্ব অধ্যায়;৩/৬৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিজেদের ফরজ হজ আদায় করার উদ্দেশ্যে মক্কায় গিয়ে জীবিত এবং মৃত আম্মা আব্বা এবং নিকটজনদের ইসালে সওয়াবের নিয়তে একাধিক উমরাহ আদায় করা যাবে,একাধিকবার তওয়াফ করা যাবে,অন্যান্য আমল করা যাবে।
এক্ষেত্রে আপনি ১ম ওমরাহ শেষ করে মসজিদে আয়েশায় গিয়ে পুনরায় ওমরার এহরাম বাঁধতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যাদের যাদের জন্য ওমরা করতে চাচ্ছেন সকলের জন্য পৃথক পৃথকভাবে একটি করে ওমরা করতে পারেন।
অথবা একটি ওমরার মধ্যেই সকলের নিয়ত এক সাথে করতে পারেন যে আমি ওমরাহ টি আমার সমস্ত আত্মীয়-স্বজনদের জন্য আদায় করছি, সকল আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ত এক উমরার মধ্যেও করতে পারবেন।
মসজিদে আঈশায় গিয়ে ইহরাম বাধার সময় আপনি নিয়তটি করবেন।
সেক্ষেত্রে সকলের আমলনামায় ওমরাহ করার ছওয়াব পৌঁছে যাবে।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 537)
'' أفاد أنه يفعل ما يفعله الحلال، فيطوف بالبيت ما بدا له ويعتمر قبل الحج،
হজ করার উদ্দেশ্যে এহরাম বেঁধে মসজিদে হারামে আসার পর ওমরা শেষ করে হালাল হলে সেক্ষেত্রে এরপর যত ইচ্ছা সে তাওয়াফ করতে পারবে এবং হজ করার পূর্বে যত ইচ্ছা উমরাহ করতে পারবে।
ইহরামের বিধিনিষেধ,উমরাহ আদায়ের পদ্ধতি ,তওয়াফ করার নিয়ম,সায়ী সংক্রান্ত আলোচনা ,মদিনায় রাসুলুল্লাহ সাঃ এর রওযা যিয়ারাত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
https://ifatwa.info/86723