জবাবঃ-
(১)
জাসরাহ বিনতু দিজাজাহ সূত্রে বর্ণিত।
قَالَ: حَدَّثَتْنِي جَسْرَةُ بِنْتُ دَجَاجَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَقُولُ: جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوُجُوهُ بُيُوتِ أَصْحَابِهِ شَارِعَةٌ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: «وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ». ثُمَّ دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَصْنَعِ الْقَوْمُ شَيْئًا رَجَاءَ أَنْ تَنْزِلَ فِيهِمْ رُخْصَةٌ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ بَعْدُ فَقَالَ: «وَجِّهُوا هَذِهِ الْبُيُوتَ عَنِ الْمَسْجِدِ، فَإِنِّي لَا أُحِلُّ الْمَسْجِدَ لِحَائِضٍ وَلَا جُنُبٍ»
তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে দেখলেন, সহাবাদের ঘরের দরজা মসজিদের দিকে ফেরানো। (কেননা তারা মসজিদের ভিতর দিয়েই যাতায়াত করতেন)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় এসে দেখলেন, লোকেরা কিছুই করেননি, এ প্রত্যাশায় যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ব্যাপারে কোন অনুমতি নাযিল হয় কিনা। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে তাদের আবারো বললেনঃ এসব ঘরের দরজা মাসজিদ হতে অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও। কারণ ঋতুবতী মহিলা ও নাপাক ব্যক্তির জন্য মসজিদে যাতায়াত আমি হালাল মনে করি না।[1
(সুনানে আবি-দাউদ-২৩২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েজ নিফাজ বা কোনো নাপাকি শরীরে লেগে থাকাবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা যাবে না। তবে অজু না থাকাবস্থায় মসজিদে প্রবেশ করা জায়েয। যদিও অজুর সাথে প্রবেশ করা মুস্তাহাব।
(২)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৩৩৯
(৩)
যেহেতু মতবিরোধ হুকুমের মধ্যে শীতিলতা নিয়ে আসে, বিধায় বর্তমানে চিংড়ি খাওয়াকে মাকরুহে তাহরীমি বলা যাবে না।বরং মাকরুহে তানযিহি বলতে হবে। তথা শরয়ী অপছন্দনীয়তার সাথে খাওয়া যাবে। চিংড়ির সবকিছুই খাওয়া যাবে। তবে সর্বোপরি এত্থেকে বেছে থাকাই হল তাকওয়া ও সচেতনতার স্পষ্ট দাবী।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-৪৭২
(৪)
بسم الله الرحمن الرحيم
আসলে শব্দটির বানান “মাংশ” লিখা সঠিক নয়। সঠিক বানান হল “মাংস”। আমাদের জানা মতে বাংলা ভাষার কোন অভিধানেই বানানটি “মাংশ” লেখা হয়নি। “মাংস” লেখা হয়েছে।
আসলে বানানের এ ধুম্রজালের মাধ্যমেই বিতর্কটি উস্কে দেয়া হয়েছে যে, মাংশ মানে হল, মায়ের অংশ। [আস্তাগফিরুল্লাহ]
যেহেতু হিন্দুরা গরুকে মা বলে থাকে। তাই গরুর গোস্তকে তারা “মাংশ” তথা মায়ের অংশ বলে পরিচয় দেয়।
এটি একটি প্রচলিত কথা। বাস্তবে এর কোন প্রমাণ আছে বলে আমাদের জানা নেই। যদি উপরোক্ত বিশ্বাসেই গরুর গোস্তকে মাংস বলা হয়ে থাকে, তাহলে খাসি ও মহিষের গোস্তকে কেন মাংস বলা হয়?
বকরী মহিষকেতো হিন্দুরা মা মনে করে না।
তাহলে বুঝা গেল, এখানে ধর্মীয় আবেগের নামে একটি অহেতুক বিষয়কে উস্কে দেয়া হয়েছে। মূলত বিষয়টি এমন নয়।
তাই গরু ও অন্য হালাল পশুর গোস্তকে ‘মাংস’ বলাতে কোন সমস্যা নেই।
তবে, যদি গরুকে মা বলে বিশ্বাস করে মায়ের অংশ মনে করেই গরুর গোস্তকে ‘মাংস’ বলা প্রমাণিত হয়, তাহলে এ শব্দটি অবশ্যই বর্জনীয় হবে।
কিন্তু প্রমাণিত বলে এখনো সঠিক তথ্য উপাত্ত আমরা পাইনি। তবে সতর্কতা স্বরূপ শব্দটি বর্জন করা যেতে পারে। ( আহলে হক মিডিয়া)
(৫)
শা'বানের মধ্যরাত্র( শবে বরাত)এর ফযিলত সম্ভলিত হাদীস বর্ণিত রয়েছে। যেমন আমরা উপরে দেখতে পারলাম। তবে শা'বানের মধ্যরাত্র কে উপলক্ষ্য করে কিছু বিদ'আতের উপদ্রব ও হয়েছে। যেমন সম্মিলিতভাবে বিশেষ কোনো নামায কে জামাতের সাথে আদায় করা,আতশবাতি প্রজ্বলন করা। কিংবা শিরণি-পোলাও ইত্যাদিকে জরুরী মনে করা।এসব বিদ'আত। এগুলোকে অবশ্যই বিসর্জন দিতে হবে।পরিহার করতে হবে। হ্যা সারা রাত্র বা রাতের অধিকাংশ অংশজুড়ে নিজেকে ইবাদত বন্দেগীতে ব্যস্ত রাখা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। এবং ইহা মুস্তাহাবও বটে। শবে বরাতের আলাদা বিশেষ কোনো নামায বা তাসবীহ নেই।তবে এ রাতে রাসূলুল্লাহ সাঃ কবর যিয়ারত করেছেন, তাই বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পৃথক পৃথকভাবে কবর যিয়ারত করা যেতে পারে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-1163
(৬)
মহিলার জন্য জায়েয হবে না। তবে যদি এমন যে পরবর্তীতে বেশ বিশ্রি দেখা যাবে,তাহলে রুখসত থাকবে।
(৭)
িএ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-466
যদি না জানা যায় লিপস্টিক, আইলাইনার, ফাউন্ডেশন বা মেক আপে কোনো হারাম উপাদান আছে কিনা সেসব ব্যবহার কি জায়েজ? আর জানা গেলে কি ব্যবহার না জায়েজ? হারাম উপাদানগুলো কি কি?
নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
উক্ত হাদীসে সন্দেহপূর্ণ তথা যার ব্যাপারে পরিপূর্ণরূপে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না, সে সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে তা থেকে বিরত থাকতে।
তাই এগুলা থেকে যদি বিরত থাকতে পারি তাহলে তো সেটা কতই না উত্তম।আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ।
ওজু থাকলে সাজ নিয়ে নামাজ আদায় করা জায়েজ। সাজল ওজুর কোনো ক্ষতি হয় না।