আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
433 views
in সাওম (Fasting) by (22 points)
closed by

ক) উস্তাদ ইনহেলার যদি মারাত্মক রোগিদের জন্য ব্যবহার করা হয় তবে কি রোযা ভাঙবে? সাধারন রোগিদের জন্য ব্যবহার করলে তো ভাঙবে। দরসে উস্তাদ বলেছেন যে মারাত্মক রোগিদের জন্য পরিস্থিতি ভিন্ন।  কিন্তু মারাত্মক রোগিদের জন্য রোযা ভাঙবে কিনা বলেন নি পরিষ্কার করে৷

খ)https://ifatwa.info/11221?show=11260#a11260
এইটায় ঘ নং প্রশ্নে বলেছেন বলেছেন, 
যদি অসুস্থতা/সফর থেকে সুস্থ/মুকিম হওয়ার আগেই মারা যায় তবে অসুস্থতার/সফরের জন্য বাদ যাওয়া রোযা /নামায এর ফিদয়া দিতে হবে ।

কিন্তু দরসে উস্তাদ শিট দিয়েছেন তাতে লিখা ফিদয়া লাগে না। দরসেও পড়িয়েছেন ভালোমতই যে ফিদয়া লাগবে না।
বিষয়টা কি ইখতিলাফি? একটু তাহকীক করে জানালে ভালো হয়।

গ)উস্তাদ চোখে ড্রপ দিলে কি রোযা ভাঙে?

ঘ) নির্দিষ্ট নযর বা অনির্দিষ্ট নযর কোনটার রোযার ক্ষেত্রে আগে থেকেই কারন সহ নিয়ত করতে হবে। আর কোনটার ক্ষেত্রে দিনের মধ্যভাগের আগে নিয়ত করলেই হবে।

ঙ)কেউ যদি ফজর থেকেই জাগ্রত অবস্থায় থাকে এবং রমজানের রোযার নিয়ত দুপুরের একটু আগে করে, তাহলে কি রোযা হবে?
কিন্তু কেউ যদি জাগ্রত হয়ে অন্য কাজ করে আর নিয়ত করতে ভুলে যায়, আবার দুপুরের আগে করে তাহলে কি রোযা হবে না?
এসো ফিকহ শিখি বইয়ের ১৩৯ পৃষ্ঠার 3নং পয়েন্ট এ আছে এভাবে হবে না। একটু বই থেকে দেখে নিশ্চিত করে জানালে ভালো হয়। এই ব্যাপারে ইখতিলাফ আছে কি?

চ) তরকারির স্বাদ পরখ করতে গিয়ে কেউ যদি অনিচ্ছায় কিছু খেয়ে ফেলে (ঝোল বা খারাব), কোনক্ষেত্রে রোযার কাফফারা লাগবে? ভাঙবে তা জানি। 

ছ) https://ifatwa.info/11221?show=11260#a11260
এইখানের গ তে বলেছেন যদি কেউ পুরা মাস অসুস্থ থাকে তাহলে কাযা করতে হবে পরে রোযা সব যদি সে মুকাল্লাফ থাকে। কিন্তু দরসে উস্তাদ বলেছেন, কাযা করা লাগবে না। 
এ ব্যাপারেও কি ইখতিলাফ আছে? তাহকিক করে জানাবেন আশা করি।

closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক) ইনহেলার বিষয়টা ফুকাহয়ে কেরামদের নিকট মতবেদপূর্ণ। আর এই মতবেদের কারণ হল, চিকিৎসা শাস্রের মতপার্তক্য। সুতরাং সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ হল, ইনহেলার রোযা অবস্থায় ব্যবহার না করা। যদি ইনহেলার ব্যবহার করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়,তাহলে ইনহেলার ব্যবহার করা হবে এবং সাথে সাথে রোযার কাফফারা আদায় করা হবে। কেনান একদিক দিয়ে চিন্তা করলে ইনহেলার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়। এবং অন্যদিক দিয়ে চিন্তা করলে রোযা ভঙ্গ হয় না। এবং ইনহেলার ছাড়া ঐ ব্যক্তি চলতেও পারবে না। সুতরাং ইনহেলার ব্যবহার করে করে রোযা রাখা হবে এবং সাথে সাথে রোযার ঐ রোযার ফিদয়া দিতে হবে। কাযা এজন্য বলা হচ্ছে না, যে ব্যক্তি ইনহেলার ব্যবহার করেন, উনাকে সর্বাই ইনহেলার ব্যবহার করতে হবে। আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/11319

(খ) উক্ত লিংকে সংযোজন করা হয়েছে। সেখানে দেখে আসতে পারেন।

(গ)চোখে ড্রপ দিলে  রোযা ভঙ্গ হবে না।  উপযুক্ত প্রবেশপথ না তাই।(রমজান আউর জাদীদ মাসাঈল-১৮৫,আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৪৩৯)

(ঘ)নির্দিষ্ট নযর বা অনির্দিষ্ট এর নিয়ত কখন করতে হয়, সে সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/11221

(ঙ) এ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/11221
(চ) তরকারির স্বাদ পরখ করতে গিয়ে কেউ যদি অনিচ্ছায় কিছু খেয়ে ফেলে , তাহলে কাফফারা আসবে না। আর রোযার কথা ভুলে গিয়ে কেউ কিছু খেয়ে পেললে,তার রোযা ভঙ্গ হবে না।
(ছ) যদি কেউ পুরা মাস অসুস্থ থাকে, তাহলে তাকে পরবর্তীতে সব রোযা কাযা করতে হবে যদি সে এ পরিমাণ অসুস্থ থাকে যে, সে শরীয়তের দৃষ্টিতে মুকাল্লাফ থাকে। কিন্তু দরসে উস্তাদ বলেছেন, কাযা করা লাগবে না। দরসে উস্তাদ ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে বলেছেন, যে এত বেশী অসুস্থ যে, সে শরীয়তের বিধি বিধানের মুকাল্লাফ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ কেমন আছেন?  
উস্তাদ উত্তর এর অপেেক্ষাতেে আছি। জাযাকাল্লাহ খাইরান 
by (597,330 points)
জ্বী উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 275 views
0 votes
1 answer 125 views
...