আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১ম প্রশ্ন: আমি একদিন আমার এক বান্ধবীর সাথে ঘুরতে গেছিলাম।জায়গাটা বেশি দূরে ছিলো না। সেই বান্ধবী আবার তার একটা ছেলে ফ্রেন্ডকে ডেকে নিয়ে আসছিলো। কিন্তু বিষয়টা আমার কাছে খারাপ লেগেছিলো। তাই বাসায় এসে আমি আল্লাহর কাছে তওবা করি আর বলি কখনো আর বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে যাব না। এখন আমি যদি আমার অন্য ফ্রেন্ড এর সাথে ঘুরতে যাই তাহলে কি আমি আল্লাহর কাছে মুনাফেক হয়ে যাবো বা গুনাহগার হয়ে যাবো।

2য় প্রশ্ন: আগে জানতাম না যে হায়েজ ভালো হওয়ার পরে ফরজ গোসল করতে হয়। কিন্ত আমি এমনিতে গোসল করার সময় ফরজ গোসলের মতো করে গোসল করতাম। কিন্তু নিয়ত করতাম না। এ রকমভাবেই নামাজ, রোজা করতাম। এখন আমার এই নামাজ রোজা কি হয় নি বা এটা কি কাজা আদায় করা লাগবে।
নাক দিয়ে রক্ত পড়া স্বপ্নে দেখলে কি হয়।

৩য় প্রশ্ন: দোয়ায়ে হাবিবি পড়ার বিধান কি?
নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। মাঝে মাঝে ছুটে যাওয়া কি স্বাভাবিক। আর হঠাৎ করে ছুটে গেলে করণীয় কি।দয়া করে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (648,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি যদি আপনার অন্য ফ্রেন্ড এর সাথে পর্দাসম্মত ভাবে  ঘুরতে যান, তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে মুনাফেক হয়ে যাবেন না বা গুনাহগার হবেন না। শর্ত হল, পর্দাসম্মত ভাবে ফ্রিমিক্সিং পরিবেশকে এড়িয়ে যেতে হবে। তবে নারীদের জন্য সদা সর্বদা ঘরে বসে থাকাই উচিত ও উত্তম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/572

(২) আপনার ফরয গোসল না হওযার কারণে আপনার নামায হয়নি। সুতরাং যথাসম্ভব আপনি ঐ সবগুলো নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন।

(৩)
দোয়ায়ে হাবিবি বরতে কিছু নাই।
নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ার চেষ্টা করার পরও মাঝে মাঝে ছুটে যাওয়াটা স্বাভাবিক। আর হঠাৎ করে ছুটে গেলে আফসোস করবেন  আল্লাহর কাছে আহাজারি করবেন।


(৪)
বান্দা যত গোনাহই করুক না কেন, বান্দা তাওবাহ ইস্তেগফার করে নিলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
قُلْ يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা যুমার-৫৩)

তাওবাহ করলে আল্লাহ সকল প্রকার গোনাহকেও ক্ষমা করে দেন। তাওবাহ করার পর নেক কাজ করলে, আল্লাহ তা'আলা পূর্বে গোনাহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন।
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা ফুরকান-৬৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জ্বী, অবশ্যই তাওবাহ করলে আল্লাহ ক্ষমা করবেন।আপনি নেককার হতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...