আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
244 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (22 points)

ধরুন কেউ একজন আমার সম্পত্তি দখল করল । 

এখন সে আমার আত্মীয় হতে পারে বা বাইরের কেউ?

কিন্তু সে নামাজ পড়ে বা ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলো মেনে চলে। 

এখন তার সাথে যদি আমি ঝগড়া করি বা সম্পর্ক নষ্ট করি তাহলে আমি জাহান্নামি হব যদি সে আমার আত্মীয় হয়। 

 

আল্লাহ বলেছেন কেউ বান্দার হক মেরে খেলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন না। এবং যে হোক মেরে খেয়েছে তার সমস্থ আমল মজলুম ব্যক্তির কাছে চলে যাবে কেয়ামতের দিন। 

এখন যেহেতু সে অবৈধ ভাবে আমার সম্পদ দখল করছে। এবং সে নামাজ পড়ে। 

আমি কি কেয়ামতের দিন তার সকল আমল আমার নামে হয়ে যাবে এই আশায় তাকে আমার সম্পত্তি

দখল করতে দিতে পারি। 

 

এই খানে কছু বিষয় 

  1. আমি প্রতিবাদ করছি না করলে তার সাথে আমার সম্পর্ক খারাপ হবে। আত্মীয় এর সাথে সম্পর্ক নস্ট কারি জাহান্নামে যাবে। এই কারনে।
  2. কেয়ামতের দিন কেউ কাউকে চিনবে না। তখন নেকি টাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তখন সে জাহান্নামে গেল না জান্নাতে গেল আমার চিন্তা করার সময় থাকবে না। তাই দুনিয়াবি কিছুর বিনিময়ে কিছু নেকি পাওয়া গেলে আমার উপকার হবে। এই কারনে প্রতিবাদ করব না তাকে দখল করতে দিব। 
  3. আর একটা কারন তা হল যেহেতু আল্লাহ বলছেন তাকে শাস্তি দিবেন। তাই আমি জামেলায় না ঝড়িয়ে আল্লাহর উপরে ছেড়ে দিলাম। এবং সে জাহান্নবে গেলে আমি খুশিই হব যেহেতু সে আমাকে দুনিয়াতে কষ্ট দিচ্ছে । সেই কষ্ট থেকে তাকে দখল করতে দেওয়া। 
 
আমি জানতে চাচ্ছি এভাবে চিন্তা করা বা কাজ করা ঠিক? 

1 Answer

0 votes
by (676,480 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। 

সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

বান্দার হক মাফ হয়না, জানুনঃ 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي قَالَ: سَمِعتُ رَسُولَ الله ﷺ يَقُولُ مَنْ رَأى مِنْكُمْ مُنْكَراً فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أضْعَفُ الإيمَانِ رواه مسلم

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান।

(আহমাদ ১১০৭৪, মুসলিম ১৮৬, আসহাবে সুনান)
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত চিন্তা করা ঠিক আছে।
সমস্যা নেই।
,
তবে শক্তি থাকলে কিছুটা হলেও প্রতিবাদ করা দরকার,যাতে উক্ত হাদীসের উপর আমল হয়,আর সেও যেনো এটা না বুঝে যে এই সম্পদ তারই বা এহেন কাজে আপনি সন্তুষ্ট।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...