মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۲۴﴾
আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া সব সধবা (অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী) তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমর সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর অর্পণ করবে। মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(সুরা নিসা ২৪)
فتاوی ہندیہ :
"لا يجوز للرجل أن يتزوج زوجة غيره وكذلك المعتدة."
(کتاب النکاح ،القسم السادس المحرمات اللتی یتعلق بہا حق الغیر،ج:۱،ص:۲۸۰،دارالفکر)
সারমর্মঃ-
কোনো পুরুষের জন্য অন্যের বিবাহিতা স্ত্রীকে বিবাহ করা জায়েজ নেই,অনুরুপ ভাবে ইদ্দতপালন রত কোনো স্ত্রীকে বিবাহ করা জায়েজ নেই।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ইদ্দত অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর সেই মহিলার যদি অন্যত্রে বিবাহ বসে, তখন তাকে আর তালাক ব্যতীত ফিরিয়ে নিয়ে আসার কোনো উপায় নেই।
(০২)
এখন ৩ মাস পর (স্ত্রী যদি অন্যত্রে বিবাহ না বসে,সেক্ষেত্রে) যেকোনো সময়ে বিয়ে করে স্ত্রীকে ফেরত নেয়া যাবে।
তা যদি ১-২ বছর পর ও হয় তাও বিয়ে করে ফিরিয়ে নেয়া যাবে।
তারপর আর কোনো তালাক না দিলে সারাজীবন এর জন্য ২ টা তালাক অবশিষ্ট থাকবে।
(০৩)
সেক্ষেত্রে (স্ত্রী যদি অন্যত্রে বিবাহ না বসে,এমতাবস্থায়) ১-২ বছর পর বিয়ে করলে সেই বিয়ে গ্রহনযোগ্য। তাতে স্ত্রী ফিরে আসবে।
তবে এভাবে বিবাহ না পড়িয়ে,পরবর্তীতে বিবাহ পড়িয়ে নিবো,এমন নিয়তে কিছু দিনের জন্য ঘর সংসার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া মারাত্মক গুনাহ।
তাই গোপনে হলেও যেকোনো ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল করে নেয়ার পরামর্শ থাকবে।