ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব।এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া শর্ত নয় এবং এক বৎসর অতিবাহিত হওয়াও শর্ত নয়।যেভাবে সদকাতুল ফিতরের নেসাব ঠিক এভাবে কুবানিরও নেসাব। বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/98885
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার নিকট ৮/৯ ভরি স্বর্ণ রয়েছে, এখন আপনার নিকট নগদ কোনো অর্থ না থাকলেও আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।
(২)
ফরজ গোসলে পরিপূর্ণ ওজু না করে, শুধুমাত্র ৩ বার গড়াগড়াসহ কুলি ও নাকে পানি দিয়ে সমস্ত শরীর ধৌত করে নিলেই ফরয গোসল আদায় হয়ে যাবে। কেননা গোসলের ফরয আদায় হয়ে গেলেই, ফরয গোসল হয়ে
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/229
(৩)
হায়েয থেকে পবিত্রতা হওয়ার মধ্যে ব্যখ্যা রয়েছে।
যদি হায়েয ১০ দিনের মাথায় গিয়ে বন্ধ হয়, তাহলে গোসলের পূর্বে স্বামী সহবাস অনায়াসেই জায়েয হবে। যদিও উত্তম হল, গোসলের পরেই সহবাস করা। কিন্তু যদি ১০ দিনের পূর্বেই হায়েয বন্ধ হয়, যেমন ছয় বা সাত দিনে, এবং উক্ত মহিলার ছয় বা সাত দিনের আদত বা অভ্যাস থাকে, তাহলে রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই সহবাস করা উচিত নয় বরং গোসলের পরই সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত। তবে যদি আদত বা অভ্যাসের দিনের পূর্বেই হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তখন গোসলের পূর্বে সহবাস করা জায়েয হবে না।কেননা আবার রক্তস্রাব জারি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/67478