জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তাকদীর বিষয়ে আলোচনা করার অনুমতি নেই। হাদীসে পরিস্কার নিষেধাজ্ঞা এসেছে-
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَذَكَرَ لَهَا شَيْئًا مِنَ الْقَدَرِ، فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ»
হযরত ইয়াহইয়া বনি আব্দুল্লাহ বিন আবী মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হযরত আয়শা রাঃ এর নিকট গেলেন। তখন তিনি তাকদীর বিষয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হযরত আয়শা রাঃ বলেন, আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি তাকদীর বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা না করবে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪}
তাকদীর বিষয়ে প্রশ্ন করা, আলোচনা করা, গবেষণা করা সম্পূর্ণ হারাম। আমাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটিতেই মগ্ন থাকা উচিত। তাকদীর এটি আল্লাহ তাআলার গোপন রহস্য। এ রহস্য সম্পর্কে কোন ফেরেশতা বা কোন নবীও ওয়াকিফহাল নন। তাই এ বিষয়ে আমাদের চিন্তা ফিকির করা নিজের ঈমানের ক্ষতি করা ছাড়া আর কোন ফায়দা নেই। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা ও আলোচনা করা থেকে বিরত থাকা প্রতিটি মুমিনের জন্য আবশ্যক।
আরেক হাদীসে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ نَتَنَازَعُ فِي القَدَرِ فَغَضِبَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ، حَتَّى كَأَنَّمَا فُقِئَ فِي وَجْنَتَيْهِ الرُّمَّانُ، فَقَالَ: أَبِهَذَا أُمِرْتُمْ أَمْ بِهَذَا أُرْسِلْتُ إِلَيْكُمْ؟ إِنَّمَا هَلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حِينَ تَنَازَعُوا فِي هَذَا الأَمْرِ، عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ أَلاَّ تَتَنَازَعُوا فِيهِ.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। একদা রাসূল সাঃ আমাদের কাছে আসলেন এমতাবস্থায় যে, আমরা তাকদীর বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন রাসূল সাঃ প্রচন্ড রেগে গেলেন।রাগে চেহারা আনারের মত রক্তিম বর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেন, তোমরা এ এসব করতে আদিষ্ট হয়েছো? নাকি আমি এসবের জন্য আবির্ভূত হয়েছি? ইতোপূর্বের লোকজন এ বিষয়ে আলোচনা করে ধ্বংস হয়েছে, আমি তোমাদের দৃঢ়তার সাথে বলছি, তোমরা এ বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হয়ো না। {তিরমিজী, হাদীস নং-২১৩৩}
আল্লাহ তাআলা বান্দাকে কোন কাজ করতে বাধ্য করেন না। বরং দুনিয়াতে তাকে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা যেহেতু সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। তাই তিনি আগে লিখে রেখেছেন বান্দা কী করবে? এটাই তাকদীর। আর আল্লাহর এ লিখে রাখা বান্দার কর্মের উপর কোন প্রভাব সৃষ্টি করে না। তাই, বান্দা তার কর্ম অনুপাতে ফল পাবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে আপনি যেই হাদীস উল্লেখ করেছেন,সেটি কোনো হাদীস গ্রন্থে খুজে পাইনি।
এগুলো যেহেতু তাকদীরের বিষয়, তাই এগুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করে নিজের আমল নিয়ে ভাববার পরামর্শ থাকবে।
আপনার জানা সঠিক যে কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে,
এসবই আগে থেকেই তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
সব কিছুই আল্লাহ তায়ালা জানেন।
ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,
وَقَدْ عَلِمَ اللَّهُ تَعَالَى فِيمَا لَمْ يَزَلْ عَدَدَ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ، وَعَدَدَ مَنْ يَدْخُلُ النار، جملة واحدة، فلا يزداد فِي ذَلِكَ الْعَدَدِ وَلَا يُنْقَصُ مِنْهُ, وَكَذَلِكَ أَفْعَالُهُمْ فِيمَا عَلِمَ مِنْهُمْ أَنْ يَفْعَلُوهُ
মহান আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, সর্বমোট কত সংখ্যক লোক জান্নাতে যাবে আর কত সংখ্যক লোক জাহান্নামে যাবে। এ সংখ্যায় কোনো কমবেশী হবে না। অর্থাৎ এ সংখ্যা কমবেও না, বাড়বেও না। অনুরূপভাবে আল্লাহ তা‘আলা মানুষের কাজকর্ম সম্পর্কে পূর্ব হতেই অবহিত।
আল্লাহ এভাবে বিশেষিত যে, তিনি সর্ববিষয়ে আদি থেকেই পূর্ণ অবগত রয়েছেন বর্তমানেও সেভাবে আছেন এবং অনন্তকাল তিনি সর্ববিষয়ে অবগত থাকবেন। সর্ববিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা এমনভাবে অবগত রয়েছেন যে, অতীতে কোনো সময় কোনো জিনিস সম্পর্কেই তিনি অজ্ঞ ছিলেন না। আর তোমার প্রভু কোনো কিছুকে ভুলেও যান না।
আলী বিন আবু তালেব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন,
كُنَّا فِي جَنَازَةٍ فِي بَقِيعِ الْغَرْقَدِ، فَأَتَانَا رسول الله صلى الله عليه وسلم فَقَعَدَ وَقَعَدْنَا حَوْلَهُ، وَمَعَهُ مِخْصَرَةٌ، فَنَكَّسَ فَجَعَلَ يَنْكُتُ بِمِخْصَرَتِهِ، ثُمَّ قَالَ: مَا مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ، إِلاَّ وقد كتب الله مَكَانهَا مِنَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ، وَإِلاَّ قَدْ كُتِبَ: شَقِيَّةً أَوْ سَعِيدَةً. قال فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَفَلا نَتَّكِلُ عَلَى كِتَابِنَا وَنَدَعُ الْعَمَلَ، فَقال مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ السَّعَادَةِ فَسَيَصِيرُ إِلَى عَمَلِ أَهْلِ السَّعَادَةِ، وَ مَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الشَّقَاوَةِ فَسَيَصِيرُ إِلَى عَمَلِ أَهْلِ الشَّقَاوَةِ، ثم قَالَ: اعملوا فكل ميسر لما خلق له أَمَّا أَهْلُ السَّعَادَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ السَّعَادَةِ وَأَمَّا أَهْلُ الشَّقَاوَةِ فَيُيَسَّرُونَ لِعَمَلِ الشَّقَاوَةِ. ثُمَّ قَرَأَ: فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى الآيَةَ. (بخارى : 1362)
‘‘আমরা বাকী গোরস্থানের একটি জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। তখন নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের কাছে আসলেন এবং বসলেন। আমরাও তার চার পাশে বসে গেলাম। তার হাতে ছিল ছোট্ট একটি লাঠি। তিনি নীচের দিকে মাথা ঝুকালেন এবং লাঠি দিয়ে যমীনে আঘাত করতে লাগলেন। অতঃপর তিনি বললেন, এমন কোনো ব্যক্তি নেই, যার ঠিকানা জান্নাত কিংবা জাহান্নামে নির্ধারণ করা হয়নি এবং এও লিখা হয়নি যে, সে সৌভাগ্যবান না হতভাগ্য। জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে আমরা কি নির্ধারিত বিষয়ের উপর নির্ভর করে আমল ছেড়ে দেবনা? নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, আমাদের মধ্যে যারা সৌভাগ্যবান সে তো অবশ্যই সৌভাগ্যবানদের ন্যায় আমল করবে। আর আমাদের মধ্যে যে হতভাগ্য হিসাবে লিখিত তারা অচিরেই হতভাগ্যদের ন্যায় কাজ করবে। অতঃপর নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা আমল করতে থাকো। প্রত্যেক মানুষকে যেই কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার জন্য সেই আমল সহজ করে দেয়া হবে।
অতঃপর নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করলেন,
فَأَمَّا مَنْ أَعْطَى وَاتَّقَى وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى وَأَمَّا مَنْ بَخِلَ وَاسْتَغْنَى وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى
‘‘যে ব্যক্তি দান করে ও তাকওয়ার পথ অনুসরণ করে এবং উত্তম বিষয়কে সত্য মনে করে অচিরেই আমি তার জন্য সহজ পথকে আরো সহজ করে দিব। পক্ষান্তরে যে কার্পণ্য করলো ও বেপরোয়া হলো এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করলো, অচিরেই আমি তার জন্য সুগম করে দিবো কঠিন পরিণামের পথ’’। (সূরা লাইল: ৫-১০)
মুত্তাফাকুন আলাইহি। ছহীহ বুখারী হা/১৩৬২, মুসলিম হা/২৬৪৭।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের আকীদা রাখতে হবে যে ভালো মন্দ,
সবই আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকেই হয়।
কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামে যাবে,
এসবই আগে থেকেই তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আল্লাহ তায়ালাও বান্দার কর্ম সম্পর্কে মহাজ্ঞানি হওয়ার কারনে অনেক আগে থেকেই তার কর্ম সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
আর তাহা লিখে রেখেছেন।
যেমন অলস ছাত্রের অবস্থা দেখে শিক্ষক আগে থেকেই বলে দেয় যে তুমি ফেইল করবে,আর সে ফেইল করে।
এক্ষেত্রে সে নিজেই দোষী,শিক্ষক নয়।
আরেকটি উদাহরণ, যেমন কেহ সুইসাইড করেছে। এটিও তার তাকদীরে লেখা ছিলো।
তার এই সুইসাইড এর জন্য আল্লাহ তায়ালা দায়ী নয়, বান্দাই দায়ী।
মানুষ যে সুইসাইড করবে,সেটি আল্লাহ তায়ালা মহাজ্ঞানি হওয়ার কারনে আগে থেকেই জানেন।
,
আল্লাহ তায়ালা ঠিক করে রেখছেন বিধায় সে সুইসাইড করছে,বিষয়টি এমন নহে।
,
বরং তার মন্দ ও ভালো কাজ উভয়টিরই ইখতিয়ার ছিলো,কিন্তু সে এ মন্দ কাজ করবে বলে আগে থেকে আল্লাহ জানতেন।
,
আল্লাহর জানার কারনেই সে সুইসাইড করছে,বিষয়টি এমন নহে।
,
যেমন মারাত্মক রোগিকে দেখে ডাক্তার বলে দেন যে সে আর এ কদিন বেচে থাকেব।
তো এখানে ডাক্তারের বলার কারনেই সে মারা যায়,বিষয়টি এমন নয়।
,
আল্লাহ তায়ালাও বান্দার কর্ম সম্পর্কে মহাজ্ঞানি হওয়ার কারনে অনেক আগে থেকেই তার কর্ম সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
তবে বান্দাহকে পূর্ণ ইখতিয়ার দিয়েছেন।
সে স্বাধীন ভাবেই চলতে পারবে।
ইচ্ছামত যেকোনো কাজ করতে পারবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বান্দা যে গোনাহের কাজ করে এর জন্য দায়ী বান্দা নিজে। আল্লাহ তাআলা নন। কারণ, গোনাহের কাজ করতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে বাধ্য করেন না। বরং তাকে স্বাধীন করে রাখা হয়েছে। সে ইচ্ছে করলে পূণ্যের কাজ করতে পারে, ইচ্ছে করলেই গোনাহের কাজ করতে পারে।
বাকি আল্লাহ যেহেতু সর্ববিষয়ে জ্ঞাত, তাই বান্দা কী করবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন। এ কারণে আগেই তা তাক্বদীরে লিখে রাখা হয়েছে।
তাক্বদীরে লিখে রাখাটা বান্দার কাজের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব সৃষ্টি করে না। এ কারণে বান্দার কাজের পুরস্কার ও শাস্তি তার নিজেরই কর্মের ফল।
যেমন ধরেন, একজন বাবার দুইজন সন্তান। বাবা দুই সন্তানকে একটি কাজ করতে আদেশ করলেন। বাবা জানেন একজন সন্তান কাজটি করবে। অন্যজন করবে না। কারণ, তিনি সন্তানদের স্বভাব ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানেন। তাই নির্দেশটি দেবার পরই আরেকজনকে বলে দিলেন যে, আমার এ সন্তান কাজটি সুন্দর করে করবে, আর অপর সন্তান কাজটি করবে না।
পরে দেখা গেল বাস্তবেই তা’ই হয়েছে।
তো বাবার আগের মন্তব্যটি সন্তানদের কাজ করা ও না করার উপর কোন প্রভাব সৃষ্টি করেনি। কারণ, তিনি একজনকে কাজ করতে বাধ্য ও অন্যজনকে না করতে বাধ্য করেননি। বরং তিনি সন্তানদের প্রকৃতি ও স্বভাব সম্পর্কে জ্ঞাত হবার কারণে আগেই অনুধাবন করে মন্তব্যটি করেছিলেন। তাই কাজ করা ও না করার যিম্মাদার সন্তান হবে। বাবার আগের করা মন্তব্যটি নয়।
বাবা শুধু নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে এমনটি মন্তব্য আগেই মন্তব্যটি করে রেখেছিলেন।
তেমনি আল্লাহ তাআলা আমাদের স্বভাব প্রকৃতি এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ওয়াকিফহাল। এ কারণেই তিনি আগেই আমাদের তাক্বদীর লিখে রেখেছেন।
সেই লিখে রাখাটা আমাদের কর্মের কোন দায়ভার বহন করে না। কারণ, তিনি আমাদেরকে স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছেন। আমাদের দ্বারা জোরপূর্বক তিনি ভালো কাজ যেমন করান না। তেমনি কাউকে দিয়ে জোরপূর্বক আমাদের গোনাহ করতে বাধ্য করেন না।
বরং আমরা ভালো ও মন্দ কাজ করতে স্বাধীন। তাই মন্দ ও গোনাহের কাজের যিম্মাদার আমরা নিজেই। এর দায়ভারও আমাদের উপরই বর্তাবে। আল্লাহ তাআলাকে বা তাক্বদীরকে এ কারনে দোষারোপ করার সুযোগ নেই।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)