আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর, আমি সরাসরি প্রশ্ন নিয়ে কথা বলি তা হচ্ছে :

//হুজুর চাকরি তে কিন্ত মানুষ কম বেশি মিথ্যা কথা বলেই তো যেমন মনে করেন আমি মিথ্যা অযুহাত দিয়ে আজকে কোনদিন অফিস না গেলে বা আগে আগে বাসায় আসলে মিথ্যা কথা বলে এতে কি গুনাহ হবে শুধু চাকরির থেকে পাওয়া বেতন তো আমার জন্য নেওয়া সম্পুর্ন জায়েজি থাকবে ? 

//আর হুজুর আমি যিকির করি ইস্তেগফার করি মনে মনে মানে উচ্চারন করে বা সল্প স্বরে যে করে অইভাবে করিনা আমার ওয়াস ওয়াসার বা ওসিডির সমস্যা আছে তাই আমি মনে মনেই পড়ি most of the time কখনো বা sometime কিছুটা উচ্চারণ করে পড়ি আর উচ্চারন করি পড়িনা কারন যদি যিকির যেইসব বাক্য পড়ে করা হয় ওইসব বাক্য যদি কোন কারনে বা কোন ভাবে আমার উচ্চারন করায় কিছুটা সমস্যা হয় বা আমার কাছে সন্দেহ ও হয় যে উচ্চারন আবার এমন ভাবে তো করলাম যেইটার জন্য আমার কোন সমস্যা যদি হয় বা কোন সমস্যা তো হয়ে গেলো না ইত্যাদি এমন কারনেই আমি মনে মনেই বেশি করি যিকির গুলা তো এইভাবে যে আমি মনে মনে যিকির করি এইটা তো করতে পারবোযদি আমি বলতে নি হয়ত আরো কিছুটা বা অল্প হবে হয়ত বলতে পারবো কি কি চিন্তার বা সন্দেহ ইত্যাদি এর কারনে আমি মনে মনে পড়ি মুলত ওয়াস ওয়াসার সমস্যা এর জন্য ধরে নেন আমি মনে মনে পড়ি আর আপনারা তো জানেনি ওয়াস ওয়াসার সমস্যা বা ওসিডির সমস্যা যাদের তাদের কি কি সমস্যা হয়।

যিকির আমি যেইগুলা পড়ি বেশি তা হচ্ছে যেমন কয়েকটা উল্লেখ করি : আস্তাগফিরুল্লাহ,আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি,লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ আলিয়ুল আযিম, আল্লাহুম্মাগফিরলি,আমানতুবিল্লাহ ইত্যাদি এইসব যিকির করে মনে মনে বেশি। আস্তাগফিরুল্লাহ,লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ এইগুলা আবার কিছুটা বেশি করে পড়ি আমি।

1 Answer

0 votes
ago by (613,830 points)
জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)

https://ifatwa.info/23922/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত দিন গুলোর যদি ছুটি না নেওয়া হয়,তাহলে সেই দিন গুলোর বেতন খরচ করা হোক বা জমিয়ে রাখা হোক,উভয় ছুরতেই কর্তৃপক্ষকে কোনো ভাবে ফিরিয়ে দিবে। 

সেটি অসম্ভব হলে গরিব মিসকিনকে দান করে দিবে।  

আরো জানুনঃ 

https://www.ifatwa.info/23385/

,

উল্লেখ্য যে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম,শর্ত এমন হয় যে কেউ কর্মক্ষেত্রে  অনুপস্থিত থাকলেও পূর্ণ বেতন পাবে,এখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত বেতন নেওয়া যাবে।  

সেই ক্ষেত্রে টাকা দান করে দিতে হবেনা।

(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১৪০)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

  

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারি দ্বীনি ভাই,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার গুনাহ হবে,এবং এভাবে অনুপস্থিত থাকা সময়ের বেতন নেয়া জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ  যে যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম,শর্ত এমন হয় যে কেউ কর্মক্ষেত্রে  অনুপস্থিত থাকলেও পূর্ণ বেতন পাবে,এখানে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত বেতন নেওয়া যাবে।  

(০২) হ্যাঁ, এইভাবে আপনি মনে মনে যিকির করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...