আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (1 point)
আমার উপর ২০২৪ সাল এ কুরবানি ওয়াজিব হয়েছিল কিন্তু আমি ভেবেসিলাম হয়নাই কুরবানি ওয়াজিব তাই তখন  কুরবানি দিয়েসিলাম না। এখন কি আমকে এই কুরবানি দিতে হবে? এবং দিলে যেকনো টাইমে দেওয়া যাবে নাকি জিলহজ মাসেই দিতে হবে কোরবানির ঐ সময়ে?

এবং এই কোরবানির ক্ষেত্রে একটা ছাগলের সমমূল্যের টাকা সদকা করে দিব?  নাকি একটা ছাগল ক্রয় করে  কোরবানি করে তা বন্টন   করে দিব গরিবদের মাঝে?

1 Answer

0 votes
by (613,500 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব।কার উপর ওয়াজিব? এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

مِنْهَا الْيَسَارُ وَهُوَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبِ صَدَقَةِ الْفِطْرِ دُونَ مَا يَتَعَلَّقُ بِهِ وُجُوبُ الزَّكَاةِ،

এই পরিমাণ ধনবান ব্যক্তির উপর কুরবানি ওয়াজিব,যে পরিমাণ ধনসম্পত্তি থাকার কারণে কারো উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়।যাকাত ওয়াজিব হওয়ার নেসাব পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হওয়া শর্ত নয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/২৯২, কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩১)

★কুরবানির নেসাব পৃথক।এবং যাকাতের নেসাব পৃথক।কুরবানি ওয়াজিব হলেই যে যাকাত দিতে হবে,বিষয়টা মূলত এমন নয়।বরং যাকাত ওয়াজিব হলেই কুরবানিও ওয়াজিব হবে। কেননা যাকাতের জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত।কিন্তু কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/22897/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার হওয়ার পরও যদি কুরবানির দিন সমূহে তথা জিলহজ্ব মাসের ১০/১১/১২ তারিখে কুরবানির নিয়তে পশু জবাই করা না হয়, তাহলে পরবর্তীতে কুরবানির মূল্য সদকাহ করতে হবে। কুরবানি হিসেবে যেহেতু ধনী গরীব সবার উপর একটা খাসি ওয়াজিব হয়ে থাকে, তাই একটা ১ বৎসর বয়সের মধ্যম ধরণের একটি খাসির মূল্য সদকাহ করতে হবে। এটাই  মূল বিধান বা নিয়ম। তবে যদি কেউ খাসির মূল্য সদকাহ করার পরিবর্তে বরং একটা খাসিই জবাই করে ফকির মিসকিনকে দিয়ে দেয়, তাহলে তার কুরবানির কাযা আদায় হয়ে যাবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কুরবানীর মূল্য সদকাহ করতে হবে।
এক্ষেত্রে কুরবানী দেয়ার মতো পূর্ণ এক বছর বয়সী ছাগল/খাসী মূল্য গরিব মিসকিনদের মাঝে সদকাহ করে দিবেন।

অথবা সেই ছাগল/খাসী জবাই করে গোশত গরিব মিসকিনদের দিয়ে দিবেন।

এটি যেকোনো দিন যেকোনো সময়ে দিতে পারেন। জিলহজ্ব মাসেই দিতে হবে,এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...