বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
لَا بَأْسَ بِأَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْمُسْلِمِ وَالذِّمِّيِّ مُعَامَلَةٌ إذَا كَانَ مِمَّا لَا بُدَّ مِنْهُ
মুসলমান ও অমুসলমানের মধ্যে মু'আমালা তথা ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সংগঠিত হওয়াতে কোনো সমস্যা নাই ,যদি এছাড়া অন্য কোনো রাস্তা না থাকে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/94704
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিশেষ করে ইসরাঈলের পণ্যকে বর্জন করার কথা উলামাগণ এজন্য বলেন, যে তারা এ সব পণ্য থেকে অর্জিত মুনাফার একাংশকে ইসরাইলের সামরিক খাতে ব্যয় করে। এদ্বারা তারা নিরিহ ফিলিস্তিনি মুসলিমদের উপর বুলেট নিক্ষেপ করে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/96644
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অমুসলিম দেশের পণ্য ব্যবহার না হলে, বরং মুসলিম দেশের পণ্যকেই ব্যবহার করবেন। মুসলিম অধ্যুষিত দেশের পণ্যে হালাল লিখা না থাকলেও যতক্ষণ না হারাম উপাদানের নিশ্চিত কোনো সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে।
(১) কাদিয়ানীর পন্য ক্রয় করলে নাকি আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ এর সাথে মহব্বতে কোনো সমস্যা হবে না।তবে উত্তম হল, তাদের পণ্য ক্রয় না করলে গোনাহ হবে না।
(২) কাফেরদের পন্য আর কাদিয়ানীর পন্যর বিধান একই।
(৩) কাদিয়ানীদের পণ্য ক্রয় করা থাকলে সেগুলো ব্যাবহার করলে আল্লাহ পাক রাসুল সাঃ উনাদের মহব্বতে কোনো সমস্যা হবে না বা গোনাহও হবে না।
(৪) ধনীরা ৪০ বা ৫০০ বছর পর জান্নাতে যাবে তাদেরকে ঐসময় সাজা দেওয়া হবে না বরং হিসাবের কারনে এরকম হবে। যদি নেককার হয় আরশের নিচে ছায়া পাবে।
(৫) আল্লাহ পাক সৃষ্টির সাদৃশ্য থেকে পবিত্র মানে আল্লাহ পাক ছাড়া যা কিছু আছে সব কিছু যেরকম দেখতে এবং যা করে সব কিছু থেকে তিনি পবিত্র।