আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
22 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (50 points)
edited ago by
১/ শুধু শপথ,প্রতিজ্ঞা, ওয়াদা এই শব্দগুলো কি কসমের সমতুল্য, নাকি কসমের সমতুল্য গণ্য হওয়ার জন্য আল্লাহর নামে শপথ/প্রতিজ্ঞা /ওয়াদা এভাবে বলা আবশ্যক?

২/ কেউ যদি আল্লাহর নাম না নিয়ে শুধু শপথ /প্রতিজ্ঞা / ওয়াদা করে কোন কথা বলে সেটা ভঙ্গ করে তাহলে কি এর জন্য  কাফফারা দিতে হয়?

৩/ ঈলার ক্ষেত্রে কেউ যদি কসম শব্দটির স্থানে আল্লাহর নামে শপথ/প্রতিজ্ঞা/ওয়াদা না বলে শুধু শপথ/ প্রতিজ্ঞা / ওয়াদা এই শব্দগুলো ব্যবহার করে তাহলে কি ঈলা হিসেবে গণ্য হয়?

৪/অনলাইনে মাসয়ালা জানার জন্য  লিখে সার্চ / প্রশ্ন করতে হয়। মাসয়ালা জানতে চাওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া যেমন- ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করার আগে অন্য কোথাও খসড়া করে নেওয়া, লেখা,এডিট, সংযোজন, বিয়োজন, ব্যাকস্পেস দেওয়া ইত্যাদি করার সময় অনেক সময় অনেক সিরিয়াস বাক্য এবং অর্থ তৈরি হয়ে যেতে পারে।
মাসয়ালা জানতে চাওয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়ার যে কোন অংশে তৈরি হওয়া বাক্যের বা অর্থের জন্য কি প্রশ্নকর্তার উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হয় ?

1 Answer

0 votes
ago by (641,250 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কসম সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণনা করা হয় যে,
(أَمَّا تَفْسِيرُهَا شَرْعًا) فَالْيَمِينُ فِي الشَّرِيعَةِ عِبَارَةٌ عَنْ عَقْدٍ قَوِيَ بِهِ عَزْمُ الْحَلِفِ عَلَى الْفِعْلِ أَوْ التَّرْكِ كَذَا فِي الْكِفَايَةِ.
ইয়ামিন বা কসম হল, যে ইবারত বা বাক্যমালার দ্বারা কসমকারী কোনো জিনিষ করা বা না করার শপথ করবে,
وَهِيَ نَوْعَانِ: يَمِينٌ بِاَللَّهِ تَعَالَى، أَوْ صِفَتِهِ، وَيَمِينٌ بِغَيْرِهِ، وَهِيَ تَعْلِيقُ الْجَزَاءِ بِالشَّرْطِ كَذَا فِي الْكَافِي.
(أَمَّا الْيَمِينُ بِغَيْرِ اللَّهِ فَنَوْعَانِ) : أَحَدُهُمَا الْيَمِينُ بِالْآبَاءِ، وَالْأَنْبِيَاءِ، وَالصَّوْمِ، وَالصَّلَاةِ، وَسَائِرِ الشَّرَائِعِ، وَالْكَعْبَةِ، وَالْحَرَمِ، وَزَمْزَمَ، وَنَحْوِ ذَلِكَ، وَلَا يَجُوزُ الْحَلِفُ بِشَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ.
، وَالثَّانِي الشَّرْطُ، وَالْجَزَاءُ، وَهَذَا النَّوْعُ يَنْقَسِمُ إلَى قِسْمَيْنِ: يَمِينٌ بِالْقُرَبِ، وَيَمِينٌ بِغَيْرِ الْقُرْبِ أَمَّا الْيَمِينُ بِالْقُرَبِ فَهُوَ أَنْ يَقُولَ: إنْ فَعَلْت كَذَا فَعَلَيَّ صَوْمٌ، أَوْ صَلَاةٌ، أَوْ حَجَّةٌ، أَوْ عُمْرَةٌ، أَوْ بَدَنَةٌ، أَوْ هَدْيٌ، أَوْ عِتْقُ رَقَبَةٍ، أَوْ صَدَقَةٌ، أَوْ نَحْوُ ذَلِكَ، وَأَمَّا الْيَمِينُ بِغَيْرِ الْقُرَبِ فَهِيَ الْحَلِفُ بِالطَّلَاقِ، وَالْعَتَاقِ هَكَذَا فِي الْبَدَائِعِ.
কসম দুই প্রকারঃ (১) আল্লাহ বা তার সিফাতের উল্লেখপূর্বক কসম করা (২) আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা। আর তা হচ্ছে, শর্ত ও জাযা ।
আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কিছু দ্বারা কসম করা আবার দুই প্রকার। যথাঃ (১) বাপ,দাদা ও নবী এবং নামায রোযা ইত্যাদির নাম উল্লেখপূর্বক কসম করা। এটা নাজায়েয। (২) শর্ত এবং জাযা উল্লেখপূর্বক কসম করা। তা আবার দুই প্রকার, যথা- (ক) যেখানে জাযা কোনো প্রকার ইবাদত থেকে হবে, যেমন যদি আমি ঐ কাজ করি, তাহলে আমার উপর রোযা ওয়াজিব। (খ) অথবা জাযা ইবাদতের মধ্য থেকে হবে না। যেমন, আমি যদি ঐ কাজ করি তাহলে আমার স্ত্রী তালাক বা আমার গোলাম আযাদ। 
(وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِاَللَّهِ) فَذِكْرُ اسْمِ اللَّهِ، أَوْ صِفَتِهِ، وَأَمَّا رُكْنُ الْيَمِينِ بِغَيْرِهِ فَذِكْرُ شَرْطٍ صَالِحٍ، وَجَزَاءٍ صَالِحٍ كَذَا فِي الْكَافِي
«الفتاوى الهندية» (2/ 51)
কসমের রুকুন হল, আল্লাহ শব্দ বা আল্লাহর কোনো সিফাত তাতে উল্লেখ থাকা। আর বিশুদ্ধ ও উপযোক্ত শর্ত এবং জাযা উপস্থিত থাকা। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-২/৫১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3101

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) শুধু শপথ,প্রতিজ্ঞা, ওয়াদা এই শব্দগুলো কসমের সমতুল্য হবে না। কসমের সমতুল্য গণ্য হওয়ার জন্য আল্লাহর নামে শপথ/প্রতিজ্ঞা /ওয়াদা এভাবে বলা আবশ্যক।

(২) কেউ যদি আল্লাহর নাম না নিয়ে শুধু শপথ /প্রতিজ্ঞা / ওয়াদা করে কোন কথা বলে, এবং সেটা ভঙ্গ করে, তাহলে এর জন্য কাফফারা দিতে হবে না।

(৩) ঈলার ক্ষেত্রে কেউ যদি কসম শব্দটির স্থানে আল্লাহর নামে শপথ/প্রতিজ্ঞা/ওয়াদা না বলে শুধু শপথ/ প্রতিজ্ঞা /ওয়াদা এই শব্দগুলো ব্যবহার করে, তাহলে ঈলা হিসেবে গণ্য হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6302

(৪) প্রশ্নের বিবরণমতে তৈরি হওয়া বাক্যের বা অর্থের জন্য প্রশ্নকর্তার উপর শরীয়তের বিধান আরোপিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...