ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রেরক ও প্রাপক হিসেবে হাদিয়া চার প্রকার যথা-
(১)প্রেরক- প্রাপক উভয়ের জন্য হালাল।যেমন- মহব্বত বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হাদিয়া যা সাধারণত প্রচলিত।
(২)প্রেরক-প্রাপক উভয়ের জন্য হারাম।যেমন-কারো উপর যুলুম করতে সঙ্গ দানের জন্য কাউকে হাদিয়া প্রদান।
(৩)শুধুমাত্র প্রাপকের জন্য হারাম।যেমন- কারো যুলুম থেকে নিষ্কৃতিলাভ হেতু তাকে হাদিয়া প্রদান।
(৪)নিজ জান-মাল,পরিবারবর্গ ও ইজ্জত-আব্রুকে হেফাজত করার উদ্যেশ্যে হাদিয়া প্রদাণ,প্রেরকের জন্য জায়েয।লক্ষণীয় যে,প্রেরকের জন্য হালাল হলেও প্রাপকের জন্য তা সম্পূর্ণই হারাম।
কারণ একজন মুসলমান থেকে ক্ষতিকে দূর করা অন্য মুসলমানের উপর ওয়াজিব।আর এ ওয়াজিব কাজ সম্পাদন করার জন্য বিনিময় গ্রহণ সর্বাবস্থায় নাজায়েয।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1382
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবাকে যদি তার বন্ধু কোনো জমির (বন্ধুর জায়গা) দলীলপত্র যাচাই করে দেয়। এবং আপনার বাবা যদি এই কাজে রাজি হয়। জমির মালিক (যার থেকে বাবার বন্ধু জমি কিনবে) আপনার বাবার কাছে জমির দলীল নিয়ে হাজির হয়, এবং সাথে হাদিয়া স্বরুপ খাবার পণ্য ইত্যাদি নিয়েও হাজির হয়, এই হাদিয়াগুলোকে ঘুষ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না যদি আপনার বাবা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে দিয়ে থাকেন। কিন্তু যদি যাচাই-বাছাই করতে যেয়ে কোনো অন্যায়ের আশ্রয় নেন, এবং এই দোষত্রুটিকে ঢাকার জন্যই ঐ ব্যক্তি হাদিয়া নিয়ে উপস্থিত হয়, তাহলে তখন এটা ঘুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। সর্বোত্তম হল, এই পরিস্থিতিতে কোনো প্রকার হাদিয়া কারো কাছ থেকে গ্রহণ না করা।