আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
রোজার সময় দুয়া করলে নাকি দুয়া কবুল হয়।আমি রোজায় দুয়া করি কিন্তু দুয়া গুলো কবুল হচ্ছেনা।২২সালে দুয়া করি আব্বু, আম্মু যেনো সুস্থ থাকে,আমাদের ঋন গুলা যেনো পরিশোধ হয়।

২২সালেই আব্বু অসুস্থ হয়,আম্মুও। সাথে এতো ঋন করা লাগে।আমি যাই দুয়া করা সেগুলা উল্টো হয়ে ফিরে আসে কেনো?

আমি সেই ২১ সাল।থেকেই আমার নিজের জন্য দুয়া করে আসছি।দিন শেষে ফলাফল শুন্য।

আমি ইস্তেগফার,হাজত এর নামাজ,দরুদ পড়েও ফল পাইনা।তার উপর বদনজর, জীনের সমস্যা দুয়া করেও কেনো ফল পাইনা?

মাঝে মধ্যে দুয়া করা আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। দুয়া করতে ভয় লাগে যদি উল্টো কিছু হয়।আমি কি করলে আমার দুয়া গুলা কবুল হবে????

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত,
(وعن أبي سعيد الخدري - رضي الله عنه - أن النبي - صلى الله عليه وسلم - قال: " «ما من مسلم يدعو بدعوة ليس فيها إثم ولا قطيعة رحم إلا أعطاه الله بها إحدى ثلاث: إما أن يعجل له دعوته، وإما أن يدخرها له في الآخرة، وإما أن يصرف عنه من السوء مثلها " قالوا: إذا نكثر، قال: " الله أكثر» " (رواه أحمد) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কোনো মুসলমান যদি এমন প্রকারের দু'আ করে, যাতে গোনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতার প্রসঙ্গ উল্লেখ না থাকে, তাহলে তিনটি প্রকারের যেকোনো এক প্রকার প্রতিদান আল্লাহ তাকে দান করবেন। (১) হয়তো আল্লাহ তা'আলা অতিসত্বর তার দু'আ-কে কবুল করে ফেলবেন।
(২)নতুবা আখেরাতের জন্য সেই দু'আকে সংরক্ষিত করে রাখবেন।(দুনিয়াতে সেই দু'আ কবুল করা তার জন্য মঙ্গলজনক নয়,সেইজন্য আখেরাতে দিবেন)
(৩) কিংবা সেই পরিমাণ কোনো মন্দ জিনিষ তার থেকে ফিরিয়ে রাখবেন। সাহাবায়ে কেরাম বললেন,তাহলে আমরা অবশ্যই বেশী বেশী করে দু'আ করবো। রাসূলুল্লাহ সাঃ  বললেন, অাল্লাহও অধিক অধিক দু'আ কবুল কারী এবং দানকারী।(সুতরাং তোমরা বেশী বেশী দু'আ করলে আল্লাহও বেশী বেশী দিবেন)(মিশকাতুল মাসাবিহ-২২৫৯)
 
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
কুরআন হাদীসের দৃষ্টিতে এটাই সাব্যস্ত যে, দু'আ করা পৃথক একটি ইবাদত।বান্দা দু'আ করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।এবং দু'আ কারী ব্যক্তিকেই আল্লাহ পছন্দ করেন।বান্দা দু'আ না করলে আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট হন।আল্লাহ পাক অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সবকিছুই জানেন।তাই কোন জিনিষটি কার জন্য কখন উপকারী হবে,আল্লাহ পাক সেটা ভালো করেই জানেন।কোনো জিনিষ বান্দার জন্য যখন উপকারী হবে,সেই জিনিষ আল্লাহ পাক তখন উক্ত বান্দাকে দান করেন।নতুবা তার উপকারী কিছু তাকে দান করেন।সেজন্য আমাদের উচিৎ বেশী বেশী করো দু'আ করা।কেননা মু'মিনের কোনো দু'আ-ই বৃথা যায় না,বরং সকল দু'আই কবুল হয়।কবুলের ধরণ হয়তো ভিন্ন হবে বা একটু দেড়িতে কবুল হবে।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/987

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার মা বাবার সুস্থ হওয়ার জন্য দু'আ এবং নিজ ঋণ পরিশোধের জন্য দু'আ,  হয়তো দেড়িতে কবুল হওয়া বা এর বিপরীতে অন্য কিছু আপনার জন্য কল্যাণকর, সেজন্য আল্লাহ আপনার দু'আকে এই মুহূর্তে কবুল করছেন না। সুতরাং আপনার দায়িত্ব হল, দু'আকে চালিয়ে যাওয়া এবং দু'আ করা। হতাশ বা নিরাশ না হওয়া। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...