ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
كسر عظم الميت ككسره حيا
মৃত মানুষের হাড্ডিকে ভাঙ্গা জীবিত মানুষের হাড্ডি ভাঙ্গার মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩০৪)
সুতরাং মৃত্যুর পর হাসপাতালে অঙ্গদান জায়েয হবে না।অবশ্যই এতে গোনাহ হবে।
জীবিতদের জন্য বিশেষ প্রয়োজনে অঙ্গ ক্রয় জায়েয হলেও বিক্রি করা কখনো জায়েয হবে না।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-৫/৪৫)
"وَالْآدَمِيُّ مُحْتَرَمٌ بَعْدَ مَوْتِهِ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ فِي حَيَاتِهِ. فَكَمَا يَحْرُمُ التَّدَاوِي بِشَيْءٍ مِنْ الْآدَمِيِّ الْحَيِّ إكْرَامًا لَهُ فَكَذَلِكَ لَا يَجُوزُ التَّدَاوِي بِعَظْمِ الْمَيِّتِ. قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «كَسْرُ عَظْمِ الْمَيِّتِ كَكَسْرِ عَظْمِ الْحَيِّ»" . ( شرح السیر الکبیر(1 /89)
তাছাড়া মানুষ তার নিজের শরীরের মালিক নয় বরং সে তার নিজের শরীরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে, সুতরাং সে তার নিজের শরীর কাউকে দিতে পারবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/3223
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনি আপনার বোনকে কিডনি দিতে পারবেন না। এভাবে অঙ্গদান জায়েয হবে না।
(২) মানুষ মরে যাওয়ার আগে তার চোখ,কিডনি,লিভার,ব্রেইন এগুলা অন্য কাউকে বা কোনো সংস্থাকে দান করে যেতে পারবে না।
(৩) স্বপ্নে বিশাল বড় দিঘি পারাপার হওয়ার অর্থ হল, আপনারা পেরেশানি মুক্ত হবেন, ইনশাআল্লাহ।