ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।
কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে?
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফরয রোযা রাখার পর ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে কা'যার সাথে সাথে কাফফারা ও আদায় করতে হয়।
রোযার কাফফারা
(ক)একজন গোলাম আযাদ করা,(খ)সম্ভব না হলে লাগাতার ৬০টি রোযা রাখা,(গ)সেটিও সম্ভব না হলে ৬০জন মিসকিনের প্রত্যেককে একটি ফিতরা সমপরিমাণ মাল দিয়ে দেওয়া।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একটি রোযার কাফফারা শেষ পর্যন্ত ৬০ টা রোযা বা ৬০জন মিসকিনের প্রত্যেককে একটি ফিতরা পরিমাণ মাল দিয়ে আদায় করতে হবে।সুতরাং এ হিসেবে একটি রোযার কাফফারার জন্য ৬০টা ফিতরা আদায় করতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1752
৬০ জন মিসকিনকেই দিতে হবে। অথবা একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দিতে হবে।৬০ মিসকিনের টাকা কোনো ফান্ড বা নলকুপ স্থাপনের জন্য দিলে কাফফারা আদায় হবে না। বরং মিসকিনের হাতেই দিতে হবে। এতো মিসকিন একসাথে না পেলে কোনো এতিমখানায় বা কওমি মাদরাসায় যোগাযোগ করতে পারবেন।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/102
রোযা অবস্থায় স্বামী স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে, উভয়জনকেই কাফফারা আদায় করতে হবে।