জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
তারা যদি শরীয়ত সম্মত পন্থায় দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাক্ষীর সামনে বিবাহ পড়িয়ে নেয়, সেক্ষেত্রে সেই বিয়ে বৈধ হবে।
বিয়ের পরে ব্যাভিচারের গুনাহ চলতেই থাকবেনা।
(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنٰتِ یَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِہِنَّ وَ یَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَہُنَّ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَ لۡیَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِہِنَّ عَلٰی جُیُوۡبِہِنَّ ۪ وَ لَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اٰبَآئِہِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآئِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اَخَوٰتِہِنَّ اَوۡ نِسَآئِہِنَّ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُنَّ اَوِ التّٰبِعِیۡنَ غَیۡرِ اُولِی الۡاِرۡبَۃِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَظۡہَرُوۡا عَلٰی عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ ۪ وَ لَا یَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِہِنَّ لِیُعۡلَمَ مَا یُخۡفِیۡنَ مِنۡ زِیۡنَتِہِنَّ ؕ وَ تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ جَمِیۡعًا اَیُّہَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۳۱﴾
আর ঈমানদার নারীদেরকে বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, নিজেদের মহিলাগণ, স্বীয় মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনামুক্ত পুরুষ আর নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্যের কাছে নিজেদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
তাফসীরে জ্বালালাইনে বলা হয়,
ﺃَﻭْ اﻟﻄِّﻔْﻞ} ﺑِﻤَﻌْﻨَﻰ اﻷَْﻃْﻔَﺎﻝ {اﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﻢْ ﻳَﻈْﻬَﺮُﻭا} ﻳَﻄَّﻠِﻌُﻮا {ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻮْﺭَاﺕ اﻟﻨِّﺴَﺎء} ﻟِﻠْﺠِﻤَﺎﻉِ ﻓَﻴَﺠُﻮﺯ ﺃَﻥْ ﻳُﺒْﺪِﻳﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﻋَﺪَا ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦ اﻟﺴُّﺮَّﺓ ﻭَاﻟﺮُّﻛْﺒَﺔ
যে সমস্ত বালকরা নাবালক,এবং স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে জ্ঞাত নয়,তাদের সামনে হাটু থেকে নাভী পর্যন্ত ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রকাশ করা নাজায়েয নয়।তবে যারা নাবালক হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী সহবাস বুঝে,তারা সাবালক পুরুষের মতই।সাবালক পুরুষের সামনে যেভাবে পর্দা করতে হয়,ঠিক তেমনি তাদের সামনেও পর্দা করতে হবে।( সূরা নূর-৩১ এর তাফসীর)
(أَوِ الطِّفْلِ) এখানে এমন অপ্রাপ্তবয়স্ক বালককে বুঝানো হয়েছে, যে এখনো সাবালকত্বের নিকটবর্তীও হয়নি এবং নারীদের বিশেষ আকর্ষণ, কামনীয়তা ও গতিবিধি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর। যে বালক এসব অবস্থা সম্পর্কে সচেতন, সে ‘মোরাহিক’ অর্থাৎ সাবালকত্বের নিকটবর্তী। তার কাছে পর্দা করা ওয়াজিব।
যেহেতু সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যেই ফিতনা সংগঠিত হয়ে থাকে।তাই শরীয়ত বালিগ ও বালিগা পুরুষ-নারীর জন্য পর্দার বিধান আরোপ করা হয়েছে।যেহেতু ফিতনাই মূল বিবেচ্য বিষয়,তাই মুরাহিক/মুরাহিকা তথা এমন বালক/বালিকা যে,এখনও বালিগ হয়নি,তবে দেখতে বালিগ বালিগার মতই। তার সামনেও পর্দা করা ফরয হয়ে যায়।
তিন ধরণের অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে আছে: একজন সম্পূর্ণ অজ্ঞ, যাদের একেবারেই কোন বিচক্ষণতা নেই, এমনকি তাদের সামনে নগ্ন থাকাও জায়েজ, তারা জড় বস্তুর মতো।
দ্বিতীয়জন একটু হুশিয়ার,সতর্ক। ভালো মন্দ বুঝে, কিন্তু শাহওয়াত তথা লালসার সীমায় পৌঁছায়নি। নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত তার সামনে খোলা জায়েজ নয়, তবে বাকি অংশ জায়েজ।
তৃতীয়ত, বয়ঃসন্ধির কাছাকাছি থাকা ব্যক্তি,তার হুকুম আর প্রাপ্তবয়স্কদের হুকুম একই; তার সামনে পুরো শরীর ঢেকে রাখা ফরজ।
(ইমদাদুল ফাতওয়া)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যারা বালেগ হয়নি,তবে দেখতে বালেগ এর মতো মনে হয়,বা যারা নাবালক হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী সহবাস বুঝে, তারা সাবালক পুরুষের মতই।সাবালক পুরুষের সামনে যেভাবে পর্দা করতে হয়,ঠিক তেমনি তাদের সামনেও পর্দা করতে হবে।