আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
Assalamalaikum.
I am doing my undergrad from IBA. I have further plan of Phd. Now suggest me which subjects are allowed in Islam or encouraged for further study & research. Like law and business are not allowed as there is Sharewah law which is the best. So, can you suggest me subjects that are doubt free & where we need not to judge or make decision by man made law? It would be great help. As I am going to make my application decisions abroad based on the Islamic rulings. I have no plan to settle in a nonmuslim country. Just going there for study purposes.Jazak Allah Khairan

1 Answer

0 votes
by (612,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

আইন পেশা সম্পর্কে পূর্বের অনেক ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,বর্তমান প্রচলিত আইনের সকল ধারা ইসলাম সম্মত নয়।আবার সবগুলো ইসলাম বিরোধীও নয়।প্রত্যেক জাতির নীতি আদর্শকে অটুট ও অক্ষুণ্ণ রাখতে সেই জাতির ঐতিহ্যগত আইনকে প্রয়োগ করা এবং বাস্তবায়ন করা নিতান্তই জরুরী।বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ইসলাম। এবং এই দেশের সিংহভাগ মানুষ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।এ হিসেবে অন্যান্য জাতির প্রতি সহমর্মিতা রেখে নিরবচ্ছিন্ন ইসলামী আইন বাস্তবায়ন হওয়াই এ দেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কুরআন-সুন্নাহ শুধু পড়ার জন্য নয়,বরং মানবতার কল্যাণ সাধনে প্রয়োজন মাফিক কুরআন সুন্নাহর আইনকে বাস্তবায়নও করতে হবে।কিন্তু আফসোসের সাথে বলতে হয় যে,আমাদের দেশ, বাংলাদেশে কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক আইন নেই।যেহেতু নেই তাই আমরা বলবো, কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইনকে কোনো উকিল কোর্টে পেশ করতে পারবেন না।এবং বিচারকও সেই আইনের ভিত্তিতে বিচার করতে পারবেন না।যেহেতু আইন পেশায় জড়িত না হলে ইসলাম এবং মুসলমানদেরকে আরো বিপর্যস্ত হতে হবে,তাই এ পেশাকে রিজেক্ট করার চেয়ে গ্রহণ করাই শ্রেয় হবে।তবে মিথ্যা, ঘুষ শরীয়া বিরোধী আইন থেকে বেঁচে থাকতে হবে।সর্বোপরি পাক্কা ঈমাদার ও দ্বীনদ্বার দের জন্য এ পেশায় এগিয়ে আসা নিরাপদ।যাদের নিজেদের  ব্যাপারে গোনাহে জড়িত না হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।

সুতরাং আমরা এ পরামর্শই দেবো যে,বক্ষমান পরিস্থিতে যাদের ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থের চিন্তা রয়েছে,শুধুমাত্র তাদের জন্যই এ পেশায় জড়িত হওয়ার রূখসত রয়েছে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2232

https://ifatwa.info/2041/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,  গতানুগতিক বৃটিশ আইন ও বিচার পদ্ধতিকে ইসলামিকরণ করার চেষ্টা-প্রচেষ্টার নিয়তে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করা ও তাতে চাকুরী করার রুখসত রয়েছে।

উকিল পেশা সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-598
বিচারক সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-623
সরকারী বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- 262

তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪) 

তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-

لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق

'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'

কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গতানুগতিক বৃটিশ আইন ও বিচার পদ্ধতিকে ইসলামিকরণ করার চেষ্টা-প্রচেষ্টার নিয়তে এবং ইসলাম দেশ ও মানবতার খেদমতের নিয়তে 'ল'(Law) সাবজেক্ট নিয়ে পিএইচডি করা এবং এডভোকেট হিসেবে জব করা জায়েজ আছে।

তবে সর্বদা হারাম ও নাজায়েজ কাজ হতে বেঁচে থাকতে হবে।
নাজায়েজ কাজের আদেশ মানা যাবেনা,নাজায়েজ কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকা যাবেনা। 
,
নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।

আপনি চাইলে ব্যবসা নিয়েও পিএইচডি করতে পারেন। এই বিষয় নিয়ে পিএইচডি করা নাজায়েজ নয়।

এ ছাড়া আপনার মনের মধ্যে যেই বিষয়ে জব করার চিন্তা আছে,সেই বিষয় নিয়ে পিএইচডি করতে পারেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ «إِنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ وَإِنَّمَا لِامْرِئٍ مَا نَوٰى فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُوْلِه فَهِجْرَتُهٗ إِلَى اللهِ وَرَسُولِه وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهٗ اِلٰى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوِ امْرَأَةٍ يَتَزَوَّجُهَا فَهِجْرَتُهٗ إِلٰى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ 

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিয়্যাতের উপরই কাজের ফলাফল নির্ভরশীল। মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী ফল পাবে। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্য হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির জন্যই গণ্য হবে। আর যে ব্যক্তি দুনিয়ার স্বার্থপ্রাপ্তির জন্য অথবা কোন মহিলাকে বিবাহের জন্য হিজরত করবে সে হিজরত তার নিয়্যাত অনুসারেই হবে যে নিয়্যাতে সে হিজরত করেছে।
বুখারী ১, মুসলিম ১৯০৭, তিরমিযী ১৬৩৭, নাসায়ী ৭৫, আবূ দাঊদ ২২০১, ইবনু মাজাহ্ ৪২২৭, আহমাদ ১৬৯, ৩০২।


★পাশাপাশি সময় সুযোগ মোতাবেক ফরজ আইন পরিমান ইলমে দ্বীন শিক্ষা অর্জনের পরামর্শ থাকবে। 


https://ifatwa.info/11294/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে ,

হযরত আনাস ইবনে মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত,নবীজী সাঃ বলেনঃ

ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ : ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲِّ ﺻﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋﻠﻴﻪِ ﻭﺳﻠَّﻢ ﺃﻧﻪ ﻗﺎﻝَ : ( ﻃَﻠَﺐُ ﺍﻟﻌِﻠْﻢِ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔٌ ﻋَﻠَﻰْ ﻛُﻞِّ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ) . ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﻪ ( 224  .

রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেনঃ দ্বীনি জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।

,

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে  

وَفَرْضٌ عَلَى كُلِّ مُكَلَّفٍ وَمُكَلَّفَةٍ بَعْدَ تَعَلُّمِهِ عِلْمَ الدِّينِ وَالْهِدَايَةِ تَعَلُّمُ عِلْمِ الْوُضُوءِ وَالْغُسْلِ وَالصَّلَاةِ وَالصَّوْمِ، وَعِلْمِ الزَّكَاةِ لِمَنْ لَهُ نِصَابٌ، وَالْحَجِّ لِمَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ وَالْبُيُوعِ عَلَى التُّجَّارِ لِيَحْتَرِزُوا عَنْ الشُّبُهَاتِ وَالْمَكْرُوهَاتِ فِي سَائِرِ الْمُعَامَلَاتِ. وَكَذَا أَهْلُ الْحِرَفِ،

প্রত্যেক মুকাল্লাফ-মুকাল্লাফাহ (আক্বেল-বালেগ নর-নারী) এর উপর দ্বীনের প্রয়োজনীয় জ্ঞানার্জনের পর ফরয হচ্ছেওজুগোসলনামায এবং রোযাএর জ্ঞান অর্জন করা এবং নেসাবপ্রাপ্ত মালের মালিকের উপর যাকাতের জ্ঞান অর্জন করা এবং যার উপর হজ্ব ফরযতার জন্য হজ্বের বিধি-বিধান অর্জন করা এবং ব্যবসায়ীদের উপর ব্যবসা সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা। এজন্য ফরযযাতে তারা উক্ত বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন অস্পষ্টতাসন্দেহ ও অপছন্দনীয় দিবসসমূহ থেকে অনায়াস বেছে থাকতে পারে। ঠিকতেমনিভাবে পেশাজীবীদের জন্য সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করা ফরয।

,

ফরযে আইন ইলম হলোঃ

আল্লাহর ফরয হুকুমকে ঠিক ঠিক ভাবে অনুসরণ করতে এবং নিষিদ্ধ বিষয় থেকে বাঁচতে যত বিষয় সম্পর্কে যতটুকু ইলমের প্রয়োজন ততটুকু ইলম শিক্ষা ফরয। যেমননামায আল্লাহর ফরয বিধাননামায পড়ার জন্য পবিত্রতা অর্জন শর্ত। তাই পবিত্রতার ইলম অর্জন ফরয। ঠিক তেমনি কেরাত ফরযতাই কেরাত শিক্ষা ফরয। ঈমান আনয়নের জন্য শিরক মুক্ত হয়ে মনেপ্রাণে একমাত্র আল্লাহকে বিশ্বাস করা ও তার বিধি-বিধান কে মান্য ফরয। তাই এ সম্পর্কীয় ইলম অর্জন ফরয এবং রোযা আল্লাহর ফরয বিধান। রোযা রাখতে হলে তার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয।অর্থাৎ যতটুকু ইলম হলে রোযাকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়ততটুকু পরিমাণ ইলম অর্জন ফরয। ইত্যাদি ইত্যাদি।

 

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/3709/

https://ifatwa.info/3782/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 169 views
...