আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
36 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (29 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ 

 

  1. সেজদায় আরবি দোয়া পড়তে গিয়ে যদি ভুল করি নামাজ কি আবার পড়তে হবে?  যেমন সেজদাতে আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলায়হি না পড়ে ভুল উচ্চারণ ওয়াতুবু ইলাইহি বললে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে?   আবার ধরেন আল্লাহুম্মা খিরলি ওয়াখতারলি এখানে ওয়াখতারলিতে এক্সট্রা আলিফ উচ্চারণ ভুলে করলে নামাজ কি আবার পড়তে হবে?  উল্লেখ্য আমি নফল ও সুন্নত নামাজে পড়েছি। আগে আগে ফরজ নামাজেও পড়তাম । এখন পড়িনা। 

 

২. রমাদানের রোযায় কি সেহরির সময় নিয়্যত করা লাগে?  আমি প্রথম দিন নিয়্যত করেছিলাম পরে আর করিনি আমার মনে থাকত না ভুলে যেতাম।তবে ঠিকই তারাবীহ পড়েছি সেহরি খেয়েছি। এখন করণীয় কি?

 

৩. স্কয়ারে কোম্পানিতে কাজিন কাজ করেন। বিভিন্ন সময় খাতা প্যাড পাঠান। হাদিয়া দেন। এগুলো ব্যবহার করা জায়েয কি না?  উনার ইনকাম হালাল কি না তাও জানিনা জানার সুযোগ ও নাই। এই খাতাগুলো কি করব যদি ব্যবহার করা জায়েয না হয়?

 

৪. নামাজে কোন ওয়াজিব ছুটে গেল কি না বুঝি না তখন দুই দিকে সালাম ফিরিয়ে সাহু সেজদা দেই নিশ্চিন্ত থাকার জন্য। প্রায় সময় সালাম ফিরিয়ে চুপ করে বসে থেকে হঠাৎ মনে হয় সাহু সেজদা দেই নি তখন বিলম্ব না করে ততকণাত দেই। এতে কি নামাজ আদায় হবে?  না কি আবার পড়তে হবে? 

 

৫. আবার মাঝে মাঝে  নামাজে তাসবীহ পড়তে গিয়ে কেমন একটা উচ্চারণ হয়ে যায়। ইচ্ছে করে হয় না। তখন কখনো কখনো আবার ঠিক করে পড়ি কখনো খেয়াল ছুটে যায় তখন তাসবীহ শেষে পড়ের সুরা বা যা থাকে পড়া শুরু করি এমন অবস্থায় আমার করণীয় কি!

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার নামাজ হয়ে যাবে।

তবে ভবিষ্যতে সর্তক থাকবেন,সঠিক ভাবে দোয়া পড়তে না পারলে সেই দোয়া পড়বেননা।

(০২)
https://www.ifatwa.info/1254 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে, 
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﺣُﻨَﻔَﺎﺀ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻳُﺆْﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺩِﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻤَﺔِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে।এটাই সঠিক ধর্ম।

قَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -:انما الأعمال بالنيات ،
وَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «لَا عَمَل َلِمَنْ لَا نِيَّةَ لَه -
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।শুধুমাত্র মূখে উচ্ছারণ করাকে জরুরী মনে করা বিদআত। তবে অন্তরে যা রয়েছে সেটাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা যাবে। এবং অন্তরের ইচ্ছাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।

وَاعْلَمْ أَنَّ النِّيَّةَ لَا تَتَأَدَّى بِاللِّسَانِ؛ لِأَنَّهَا إرَادَةٌ وَالْإِرَادَةُ عَمَلُ الْقَلْبِ لَا عَمَلُ اللِّسَانِ؛ لِأَنَّ عَمَلَ اللِّسَانِ يُسَمَّى كَلَامًا لَا إرَادَةً إلَّا أَنَّ الذِّكْرَ بِاللِّسَانِ مَعَ عَمَلِ الْقَلْبِ سُنَّةٌ فَالْأَوْلَى أَنْ يَشْغَلَ قَلْبَهُ بِالنِّيَّةِ وَلِسَانَهُ بِالذِّكْرِ
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)

অর্থ সহ আরবী তে মুখস্থ থাকলে ভালো।আরবীতেই বলবেন।তবে অর্থ জানা না থাকলে, মনের কথাকে বাংলাতেই জবান দ্বারা উচ্ছারণ করে নিয়ত করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ। 

★রোযা রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দুআ শরীয়তে নাই। মনে মনে নিয়ত করলেই চলবে। মনে এ নিয়ত রাখলেই হবে যে আমি আগামি কাল রোযা রাখব। রোযা রাখার নিয়তে সেহরি খাওয়াই রোযার নিয়ত হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার সমস্ত রোযা আদায় হয়েছে, চিন্তার কিছু নেই।

(০৩)
সেই হাদিয়া গুলি নেয়া যাবেনা।
এগুলো মূলত ডাক্তার দের হাদিয়া হিসেবে দেয়ার জন্য কোম্পানি দিয়ে থাকে।
নিজের আত্মীয়/বন্ধু বান্ধবদের জন্য নয়।

(০৪)
নামাজ হয়ে যাবে।
তবে ওয়াজিব তরক হওয়ার ব্যপার নিশ্চিত না হলে সাহু সেজদাহ দিবেননা।

(০৫)
ভালো ভাবে মনোযোগ সহকারে তাসবিহ পাঠ করবেন,তাহলে আর সমস্যা হবেনা, ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...