আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
১)রশিতে নাপাকি লাগলে পাক কীভাবে করতে হবে?রশি তিনবার ধোয়ার সময় কী প্রত্যেকবার শুকিয়ে তারপর আবার ধুয়ে আবার শুকিয়ে এভাবে তিননার ধোয়া লাগবে পাক করার জন্য?
রশি তো টানানো থাকে সেগুলো তো আর নামিয়ে খুলে ধোয়া যাবেনা।
২)রশি নাপাক মনে করার কারণ পরিবারের মানুষজন্য পরিষ্কার হলেও এক সদস্য পাক নাপাক সম্পর্কে জানেন কম।উনাকে বুঝানো যাবেনা,উনাকে এগুলো বলে বুঝানো যাবেনা এটা আমি জানি।
এখন রশিতে উনি নাপাক কাপড় দিবেন ই,আমি সেটা বন্ধ করতে পারবোনা।এখন রশি শুকিয়ে গেলে কি পাক হয়ে যায় না?রশি বারান্দায় দেয়া তাই বৃষ্টির পানি লাগবে না রশিতে।এখন সবসময় রশি ধুয়া তো সম্ভব না,আমি একবার ধুইলাম পরের বার অন্য কেউ নাপাক কাপড় দিয়ে দিলো,বা আমার কাপড় সরিয়ে নাপাক রশিতে দিলো।রশিতে যদি ভেজা নাপাক কাপড়ের ফলে নাপাক হয়েও যায় সেই রশি শুকালে কি পাক হয় না?এভাবে সবকিছু তো কঠিন লাগে।আমি মানা কর‍তে পারবোনা কারণ রশি আমার একার না,কাপড়ও আমার একার না যে আলাদা রাখবো রশি।
এটার সমাধান দেন একটু।৩)আমি কাপড় ৩ বার ধুয়ে ভালোভাবে নিংড়িয়ে তারপরই রশিতে দিই।এখন শুকনো নাপাক রশিতে আমার এই নিংড়ানো ভেজা কাপড় দিলে কাপড় কি নাপাক হয়ে যাবে?
৪)নামাজে তাজওয়ীদে খুব সমস্যা হয়,হা উচ্চারণে বা অন্য কোনো হারফ উচ্চারণে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা হয়,এতে নামাজে সেই শব্দ বা আয়াতের কিছু অংশ রিপিট করা লাগলে নইলে ভুল পড়া হয়ে যাবে এখন এতে কি নামাজ হবে না ফরজ নামাজে এভাবে রিপিট করলে?এটা তো নিজের আয়ত্বের বাইরে।বার বার এভাবে তুতলানো বা জড়তা আসার ফলে রিপিট করাই লাগে। কি করণীয়?প্রতি রাকাতেই হয় বলা যায়।প্রতি রাকাত এর তো আর সাহু সিজদা দেয়া যায় না।
৫)৩,৪ টা কাপড় ধুয়ে পাক করে  নিংড়িয়ে বালতিতে রাখার পর যদি হাত থেকে কিংবা অন্য কোনোভাবে নাপাক ১,২ ফোটা পানি সেই বালতিতে পড়ে তাহলে বালতির নিংড়ানো কাপড়গুলো কি আবার নাপাক হয়ে যাবে?
৬)প্লাস্টিকের RFL এর চেয়ার নাপাক হওয়ার পর পানি দিয়ে ৩ বার ধুয়ে ফেললে কী পাক হবে না?নাকি প্রতিবার শুকিয়ে ৩ বার ধুয়া লাগবে?আমরা ৩ বার পানি দয়ে ধুইলেই পাক মনে করি।এখন প্রত্যেকবার তো শুকাই নাই।
চেয়ার,টেবিল কাঠের বা প্লাস্টিকের এগুলো তিনবার ধুইলেই পাক হবে না?নাকি প্রত্যেকবার শুকিয়ে ৩ বার করে ধুয়া লাগবে?
৭)পাপোষ,কম্বল এগুলো প্রত্যেকবার না শুকিয়ে শুধু ৩ বার ধুইলেই পাক হবেনা?৩ বার ধুয়ে শেষে জাস্ট একবার শুকাতে দিলে?মোবাইলের ক্ষেত্রেও তিনবার ধুয়ে শুধু শেষের বার ধুয়ার পর শুকালে পাক হবে না?
৮)কোন কোন জিনিস প্রতিবার শুকিয়ে শুকিয়ে ৩ বার ধুয়ে পাক করা লাগে নইলে পাক হয় না?
৯)একজনের রাগ উঠেছে কিন্তু সে মনে মনে বলছে বা মুখে নিজে নিজে উচ্চারণ করে বলছে যে আল্লাহর কসম আমার রাগ হয়নি, তার এই কথাটা মিথ্যে, এখন এর জন্য কি তাকে কসম ভঙের কাফফারা রোজা রাখতে হবে?এই কসমের ব্যাপারটা সে আমাদের জানিয়েছেও।আর ওর ওয়াসওয়াসার সমস্যার ফলে প্রায় ই কসম করে ফেলে নিজে নিজে।
আর আল্লাহর কসম করে নিজ মনে যদি কেউ কোনো কাজ না করার জন্য বলে যে অমুক কাজ করবো না বা চেষ্টা করবো না করার তারপর যদি করে ফেলে তাহলে কসমের কাফফারা দেয়া লাগবে?
১০)আমি IOM এর ই একজন স্টুডেন্ট।পাক নাপাকির জন্য আমার আত্মহত্যা করতেও মন চায়।কোনো ভালো আলেমের শরণাপন্ন হওয়াও সহজ না আমার জন্য।এখন এই পাক নাপাকি সম্পর্কে বিস্তারিত কীভাবে জানবো আমি অনলাইনের মাধ্যমেই?
আর এটা আমার শুধু ওয়াসওয়াসা না কারণ ফ্যামিলির সবাই পাক নাপাক বুঝেনা তাই এটাকে ওয়াসওয়াসা বলাও যায় না।কি করবো আমি?

১১)আগে কার্পেটের বিষয় জানতাম না ভেজা পায়ে নাপাক শুকনো কার্পেটেই হেটেছি এখন সেটা জেনেছি,রশির ব্যাপারও আগে জানতাম না শুকনো নাপাক রশিতে ভেজা পাক কাপড় দিয়েছি,হাত শুকালেই পাক হয়ে যায় ভাবতাম,এভাবে একেক সময় একেকটা জানছি এতে মাথায় সমস্যা হচ্ছে।হাতে নাপাক পানির ফোটা লেগে শুকিয়ে গেলে সেই হাত দিয়ে ভেজা কিছু ধরলে সেই জিনিস বা হাত দুইটাই কি নাপাক হয়ে যায়?

১২)মেহমানের বাড়িতে গেলে কাপড় ধুয়া হলে তাদের বাড়ির রশি পাক কি নাপাক সেটা তো আর আমি বুঝবো না।তবে এতটুকু জানি তাদেরও পাক নাপাকের ধারণা খুব কম।

তাদের রশি ধুয়ে দিয়েও তো লাভ নেই কারণ ছাদে গেলে বা উঠানে কে কোন সময় কাপড় সরাবে বা নাপাক কাপড় দিবে সারাদিন তো দেখতে পারবো না।করণীয় কি?
১৩)মাসিক আল কাউসারে দেখেছি আমি যে, রশিতে যদি নাপাকি লেগে রশি নাপাক হয়েও যায় আর তারপর সেই রশি শুকিয়ে গেলে সেখানে ভালোভাবে নিংড়িয়ে পাক কাপড় মেলে দিলে সেটা নাপাক হবে না।
১৪)জায়নামাজ না শুকিয়ে শুধু ৩ বার ধুয়ে নিংড়িয়্ব শেষের দিকে একবার শুকালেই পাক কি হবে না?সবকিছু তো প্রতিবার শুকানোও যাবে না?শুকাতে হলে সেটা কই রেখে শুকাবো?কারণ একবার ধুয়ে শুকাবো যেখানে বা যেখানেই ফোটা পড়বে সেটাও তো নাপাক হয়ে যাবে।যেকোনো কিছু এক সাথে ৩ বার ধুয়ে শেষে একবার শুকালে কি পাক হয় না?

১৫)কোনো ছেলেকে যদি ছোটবেলায় তার চাচির দুধ খাওয়ানো হয় একদিন কিংবা দুইদিন অথবা একবার হলেও যদি নিজের মা ব্যাতীত অন্য কারো দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে সেই মহিলার সাথে তার পর্দার বিধান কি?সে কি তার দুধ মা,মাহরাম হয়ে যায়?আর তার ছেলে মেয়ে অর্থাৎ চাচাতো ভাই বোন কি তার মাহরাম হয়ে যায়?আর চাচির দুধ খেলে সেই চাচির কি সেই ছেলের উপর কোনো হক্ব আছে?মানে মা ছাড়া অন্য কারো দুধ একবারও পান করালে কি কি বিধান কার্যকর হয়ে যায়?
আফওয়ান এত প্রশ্নের জন্য।

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ ثِیَابَکَ فَطَہِّرۡ ۪﴿ۙ۴﴾ 
আর আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র করুন।
(সুরা মুদ্দাচ্ছির ০৪)

الدر المختار: لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ، تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا
সারমর্মঃ 
কোনো নাপাক কাপড় যদি পানি দ্বারা ভিজে যায়,এক্ষেত্রে সেই ভেজা কাপড়ের সাথে পবিত্র কাপড় স্পর্শ করলে উক্ত নাপাক কাপড় যদি নিংড়ানোর দ্বারা নিংড়ানো যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
আর যদি উক্ত নাপাক কাপড় পেশাব ইত্যাদি মিশ্রিত হয়,তাহলে সেই পবিত্র কাপড়ে নাপাকির চিন্হ,গন্ধ পাওয়া গেলে সেই পবিত্র কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
নতুবা নয়।

যদি রশিতে নাপাক কাপড় দেওয়ার পর এর নাপাক পানিতে রশি এত বেশি ভিজে যায় যে, তা চিপলে এর থেকে পানি ঝরবে অথবা রশিতে নাপাকীর গন্ধ বা রং প্রকাশ পায় তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত রশি নাপাক গণ্য হবে। অবশ্য এক্ষেত্রেও উক্ত রশি শুকিয়ে যাওয়ার পর তাতে পাক কাপড় ভালোভাবে চিপে শুকাতে দিলে উক্ত কাপড় নাপাক হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
রশিতে নাপাকি লাগলে বৃষ্টির পানি দ্বারা রশি পবিত্র হয়ে যায়।
অথবা এতো বেশি পানি যদি তার উপর প্রবাহিত করা হয়,যে নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হয়ে যান,সেক্ষেত্রে রশি পাক হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নাপাক কাপড়গুলো পাক করে না ধুলেও যেহেতু সেগুলো ভালোভাবে চিপে রশিতে দেওয়া হয়, তাই এক্ষেত্রে ঐ রশি হালকা ভিজে গেলেও যদি তাতে নাপাকীর গন্ধ বা রং প্রকাশ না পায়, তবে ঐ রশি নাপাক গণ্য হবে না। সুতরাং এরপর তাতে পাক কাপড় শুকালে ঐ কাপড়ও নাপাক হবে না।

(০৩)
উক্ত রশি শুকিয়ে যাওয়ার পর তাতে পাক কাপড় ভালোভাবে চিপে শুকাতে দিলে উক্ত কাপড় নাপাক হবে না।

(০৪)
এক্ষেত্রে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবেনা।

আপনি নামাজের মধ্যে যেসব সুরা তেলাওয়াত করবেন সেগুলো কোন শুদ্ধ তেলাওয়াত কারীর নিকট মশকো করে ঠিক করে নিবেন তাহলে আশা করি উপরোক্ত সমস্যার সম্মুখীন আর হতে হবে না।

(০৫)
এক্ষেত্রে নাপাক ১,২ ফোটা পানি যেই কাপড়ে পড়বে,সেই কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।

যদি সেই বালতিতে পানি থাকে, আর সেই পানির মধ্যে যদি পাক কাপড় গুলো থাকে, এমতাবস্থায় নাপাক এক দুই ফোঁটা পানি বালতি পানির মধ্যে পড়ার দরুন সব পাক কাপড়ই তো নাপাক পানির সাথে মিশ্রিত হয়ে যাবে, তাই ওক্ষেত্রে সমস্ত পাক কাপড় বলে নাপাক হয়ে যাবে।

(০৬)
বেশি করে পানি দিয়ে ভালোভাবে যদি একবার ডলে ধোয়া হয়, যাতে নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিত হোন, তাহলে সেটি পাক হয়ে যাবে।

(০৭)
পাপোষ/কম্বল যদি নিংড়ানো যায়,তাহলে তিনবার ধুবেন,প্রত্যেকবার ভালো ভাবে নিংড়িয়ে নিবেন।

আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে তাহা পাক করার পদ্ধতি জানুনঃ- 

মোবাইলে নাপাকি লাগলে তাহা পাক করার পদ্ধতি জানুনঃ- 

(০৮)
যেগুলো নিংড়ানো সম্ভব নয়,সেগুলো।

(০৯)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে কাফফারা দিতে হবেনা।

(১০)
আত্মহত্যা করলে নিশ্চিত জাহান্নামে যেতে হবে।
আর নাপাকির মধ্যে থেকে সারাজীবন অতিবাহিত করলেও ক্ষমা পেয়ে জান্নাতে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সুতরাং আত্মহত্যার কথা মুখ দিয়ে কোনোদিন বের না করার পরামর্শ থাকবে। 

★আপনি বাংলা ভাষায় অনূদিত নুরুল ইযাহ,কুদুরী,আল ফিকহুল মুয়াসসার,ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী (বাংলা)
এসব গ্রন্থ সংগ্রহে রাখতে পারেন।

(১১)
হাতে নাপাক পানির ফোটা লেগে শুকিয়ে গেলে সেই হাত দিয়ে ভেজা কিছু ধরলে সেই জিনিস বা হাত দুইটাই নাপাক হয়ে যায়।

(১২)
আপনি আপনার কাপড় ভালোভাবে চিপে সে রশিতে শুকাতে দিতে পারেন।

(১৩)
এটা সহীহ।

(১৪)
ঐ জায়নামাজ প্রতিবার নিংড়িয়ে নিলে এক্ষেত্রে সেটি পাক হবে।
অন্যথায় নয়।

(১৫)
এক্ষেত্রে ২ বছর বয়সের মধ্যে তাকে তার চাচির দুধ খাওয়ানো হলে তার চাচি তার দুধ মা হবে।
মাহরাম হবে। তার সাথে তার পর্দার করতে হবেনা

সে তার দুধ মা,মাহরাম হয়ে যায়।

আর তার ছেলে মেয়ে অর্থাৎ চাচাতো ভাই বোন তার মাহরাম হয়ে যায়।

আর চাচির দুধ খেলে সেই চাচির সেই ছেলের উপর কোনো হক্ব নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...