আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।।
আমি ফেসবুক এবং ইউটিউব কনটেন্ট বানাই (শর্টস এবং রিলস যেগুলেতে অ্যাড আসে না । কনটেন্ট গুলো ইসলামিক ক্যাটাগরির। ইসলামিক মোটিভেশন, ইসলামিক ফ্যাক্টস, নবীজির বাণী (স), ইসলামিক ইতিহাস ইত্যাদি এই টাইপের কনটেন্ট।।
ইউটিউব ফেসবুকে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম আসে। ঘরে থেকে করার জন্য কোন ইনকামের উৎস খুঁজতে গিয়ে মাথায় এসেছে কনটেন্টের।
এটা করার উদ্দেশ্য হলো বাসায় বসে কিছু টাকা ইনকাম করা।
কিন্তু কোন হারাম কনটেন্ট না দিয়ে ইসলামের আদলে দেয়ার চেষ্টা করি।
কিছু কিছু মিউজিক এটার মধ্যে এড করতে হয়। মিউজিকগুলোর ক্যাটাগরি এরকম, এগুলো হয় এরাবিক নাসিদ উর্দু নাশীদ বাংলা নাসিদ যেগুলোর লিরিক্স ভালো এবং কোন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও সুর নেই। সামান্যতম সুরেরও অবকাশ নেই।।
যে ধরনের ইসলামিক উপদেশ কনটেন্ট এর মধ্যে লিখি, তা অবশ্যই নিজে পালন করার চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ
আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই কনটেন্ট দিয়ে ইনকাম করি এটা কি আমার জন্য হালাল হবে।

যদি হালাল না হয় তাহলে আমি কি করতে পারি??

##### আমি কোন ভিডিও পাবলিশ করবো না যেখানে বিজ্ঞাপন আসে বা এডসেন্স চালু হয়
শুধুমাত্র পাঁচ ছয় সেকেন্ডের শর্টস  এবং রিলস।
যদি হালাল হারাম নিয়ে সন্দেহ আসে তাহলে আমি চাই এখান থেকে আসা পুরোটা টাকা দান করে দিতে। এটা কতটুকু অনুমোদিত।

1 Answer

0 votes
by (612,540 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/8205/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ নয়,সে সব ভিডিও আপলোড দেওয়া,তা থেকে ইনকাম করা, সেসব ভিডিও আপলোড করে  ইউটিউব থেকে রিওয়ার্ড হিসেবে ভিডিও ক্রিয়েটরদের প্লে বাটন নেওয়া কোনোটাই জায়েজ নেই।

অন্যায় কাজ নিজে করা যেমন বৈধ নয়, তেমনি সহযোগিতা করাও বৈধ নয়। 
তাই কোনো নাজায়েজ ভিডিও আপলোড করে  ইউটিউব থেকে রিওয়ার্ড হিসেবে ভিডিও ক্রিয়েটরদের প্লে বাটন নেওয়া জায়েজ নেই।

আল্লাহ তায়ালা বলেন  

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★যেসব ভিডিও দেখা জায়েজ,সেসব ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে ভিডিও ক্রিয়েটরদের প্লে বাটন নেওয়া জায়েয আছে।   

যদি নাজায়েজ ভিডিও না হয়,তাহলে নিম্নের শর্তের ভিত্তিতে   টাকা ইনকাম করা জায়েজ আছে। 

★আমাদের জানতে হবে, ইউটিউব এর মাধ্যমে  যে টাকা আয় করা হয় তার সোর্স কী, কেন আমাকে গুগল টাকা দিচ্ছে!

মূলতঃ গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিস–গুগল এডসেন্স। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করে। আর ওখান থেকে একটা নির্ধারিত একটা অংশ তারা ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।

সুতরাং বিজ্ঞাপনগুলো যদি অশ্লীল ও হারাম পণ্যের হয় তাহলে তা থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। বরং, হারাম অর্থ হওয়ার পাশাপাশি হারামের প্রচার ও সহযোগিতা করার গোনাহ হবে।

মহান আল্লাহ বলেন,

 إِنَّ الَّذِيْنَ يُحِبُّوْنَ أَنْ تَشِيْعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِيْنَ آمَنُوْا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ-  

‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, নিশ্চয়ই তাদের জন্য ইহকালে ও পরকালে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’।  (নূর ১৯)
,

নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত

 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ

নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯) 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ভিডিও গুলোতে নারী কন্ঠের ব্যবহার ও বাদ্য-বাজনার ব্যবহার না থাকলে আপনার ইনকাম হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...