ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েয অবস্থায় সহবাস করা কবিরা গোনাহ। এর জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়কেই তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে। মুস্তাহাব হল, এক দিনার তথা ৪.৩৭৪গ্রাম স্বর্ণ বা তার, অর্ধেক সদকাহ করা। স্বামী স্ত্রী উভয় সামর্থবান হলে, উভয়কেই এই সদকাহ করা মুস্তাহাব। সামর্থ্য না থাকলে তখন মুস্তাহাব হবে না।
"عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم في الذي يأتي امرأته وهي حائض، قال: يتصدق بدينار أو بنصف دينار ."
(كتاب الطهارة، باب كفارة من أتى حائضاً، رقم الحديث:640، ج:1، ص:120، ط:دار إحياء الكتب العربية)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েয অবস্থায় সহবাস হারাম। এই কথা বুঝানোই স্বামী উদ্দেশ্য, সুতরাং স্বামীর বক্তব্য " ঐদিন আমাদের মধ্যে সব কিছু (সহবাসকে বুঝিয়েছেন)হারাম ছিলো। এদ্বারা কোনো তালাক পতিত হবে না।
عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)