আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি আর আমার স্বামী জানি যে, মাসিক চলাকালীন সময়ে সহবাস করা হারাম।।একদিন আমার মাসিক হয়ে যায় কিন্তু আমি সেটা বুঝতে পারিনা।।ওই অবস্থা তেই সহবাস করি।সহবাস করার পর বুঝতে পারি যে আমার মাসিক হয়ে গিয়েছে।।
২দিন পর আমার স্বামী আমায় বলে যে " ওইদিন আমাদের মধ্যে সব কিছু (সহবাস কে বুঝিয়েছেব)হারাম ছিলো। ওইদিন আমাদের সব কিছু( সহবাস) হারাম হয়ে গিয়েছে।।। সব কিছু হারাম।। ( সহবাসকে বুঝিয়েছেন যেহেতু মাসিক ছিলো)

নিয়ত এই ছিলো যে,  মাসিকে সহবাস করা তো হারাম।।তাহলে আমরা মাসিক এর মধ্যে  সহবাস করেছি তাই ওইদিন এর পুরো সহবাস হারাম।।।সবকিছু বলতে সহবাস ই বুঝিয়েন।।তালাক বা আলাদা হওয়ার নিয়তে বলেন নি।।।

প্রশ্ন ১। উক্ত বর্ননায় কি তালাক হয়ে গিয়েছে?

বি: দ্র: সহবাসে শারিরীক মিলন ছাড়াও স্বামী স্ত্রীর অন্য আদর সোহাগ থাকে।। চুম্বন থেকে শুরু করে অনেক কিছু।।।যেহেতু এখানে তিনি সবকিছু শব্দটা ব্যবহার করেছেন ( সবকিছুর মধ্যে তো অন্যান্য আদর যা করেন স্বামী স্ত্রীকে সহবাসের সময় তাও চলে আসে) হারাম বলেছেন তাহলে কি তালাক হয়ে গিয়েছে।।। তার উদ্দশ্য এটাই তিনি শারিরীক মিলনের ব্যপারটাকে বুঝিয়েছেন যে মাসিক অবস্থায় তা হারাম।।। বাকি সব কিছুর কথা ওতো ভেবে বলেন নি।।।

প্রশ্ন২।  উক্ত বর্ননায় তালাক হবে?? যদি তার সবকিছুর মধ্যে অন্য বিষয়গুলোও চলে আসে?? কিন্তু তার তালাকের নিয়ত ছিলো না।।। আর তার উদ্দেশ্য উপরে বর্ণনা করেছি।। সবকিছু হারাম বলায় তালাক হয়ে গিয়েছে??

note: আমার মনে পড়ে আমি এতোটুকুই শুনেছি।।। এমনই বলেছেন।।। কিন্তু তিনি বলেন যে তিনি এভাবে বলেননি।।।তিনি অন্যভাবে বলেছেন।।। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বড় মুফতি সাহেব বলেছেন সাক্ষী না থাকলে স্বামী যে বর্ননা দিবেন এই ব্যাপারে ওটাই গ্রহনযোগ্য।।।

1 Answer

0 votes
by (640,500 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েয অবস্থায় সহবাস করা কবিরা গোনাহ। এর জন্য স্বামী স্ত্রী উভয়কেই তাওবাহ ইস্তেগফার করতে হবে। মুস্তাহাব হল, এক দিনার তথা ৪.৩৭৪গ্রাম স্বর্ণ বা তার, অর্ধেক সদকাহ করা। স্বামী স্ত্রী উভয় সামর্থবান হলে, উভয়কেই এই সদকাহ করা মুস্তাহাব। সামর্থ্য না থাকলে তখন মুস্তাহাব হবে না।
"عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم في الذي يأتي امرأته وهي حائض، قال: يتصدق بدينار أو بنصف دينار ."
(كتاب الطهارة، باب كفارة من أتى حائضاً، رقم الحديث:640، ج:1، ص:120، ط:دار إحياء الكتب العربية)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/13832


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হায়েয অবস্থায় সহবাস হারাম। এই কথা বুঝানোই স্বামী উদ্দেশ্য, সুতরাং স্বামীর বক্তব্য " ঐদিন আমাদের মধ্যে সব কিছু (সহবাসকে বুঝিয়েছেন)হারাম ছিলো।  এদ্বারা কোনো তালাক পতিত হবে না।

عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إِلَى دُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ إِلَى امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إِلَى مَا هَاجَرَ إِلَيْهِ ".
আলক্বামাহ ইবনু ওয়াক্কাস আল-লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। আমি ’উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কাজ (এর প্রাপ্য হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে। তাই যার হিজরত হবে ইহকাল লাভের অথবা কোন মহিলাকে বিবাহ করার উদ্দেশে- তবে তার হিজরত সে উদ্দেশেই হবে, যে জন্যে, সে হিজরত করেছে।]- (সহীহ বোখারী-১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...