আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমার বর্তমান বিয়ের বয়স তিন বছর। এবং বিয়ের পূর্ববর্তী জীবনে আমি অনেক গুনাহে লিপ্ত ছিলাম আল্লাহ মাফ করুন। আমার জীবন একসময় হারামে পরিপূর্ণ ছিল। এমনকি একটি মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল এবং তার সাথে আমার কাবিন ও হয়েছিল তার এবং আমার পরিবারের সম্মতিতে। পরবর্তীতে নানান কলহের কারণে মেয়ে পক্ষ থেকে আমাকে তালাকের কাগজ পাঠানো হয়। এবং তারপর থেকে আর আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমার বর্তমান স্ত্রীর সাথে আমার তিন বছর আগে বিবাহ হয়। তার ঠিক এক বছর আগেই আমি দিনের বুঝ পেতে শুরু করি আলহামদুলিল্লাহ, এবং সকল হারাম থেকে বের হয়ে যেতে চেষ্টা করি। আমার স্ত্রী মাশাআল্লাহ অনেক ভালো মানুষ এবং নেককার। তবে তাকে বিয়ের সময় আমি আমার আগের কাবিন সম্পর্কে জানাইনি আমি শুধু বলেছিলাম যে আমার এনগেজমেন্ট হয়েছিল। বিয়ের পর সে নামাজের মধ্যে হুট করে মনে করে যে আমি হয়তো বিবাহিত এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে যে আমার কাবিন হয়েছিল কিনা এবং তখন আমি তাকে জানাই যে হ্যাঁ আমার কাবিন হয়েছিল এবং আমাকে তালাক নামাও পাঠিয়েছিল। তখন তার সেটা মানতে অনেক কষ্ট হলেও সে সেটা মেনে নিয়েছিল। তারপর থেকে আমাদের মধ্যে আরো অনেক ঝামেলা হতো আমি যথাযথভাবে তার দায়িত্ব নিতে না পারার জন্য। এবং আমার স্ত্রী শারীরিকভাবে পরিপূর্ণ সুস্থ না হওয়ার কারণে আমি তাকে বলেছিলাম যে তার কোন কিছুই করতে হবে না সবকিছুই আমি করব যেটা আমি বিয়ের পর পরিপূর্ণভাবে মেইনটেইন করতে পারি নি। তাকে, সংসার, এবং বাহিরে চাকুরী সামলিয়ে সব ম্যানেজ করে আমি কখনোই চলতে পারিনি আর তাকে যথেষ্ট সময়ও দিতে পারিনি। বিয়ের পরে কয়েক মাস আমাদের সম্পর্ক ঠিক থাকলেও আস্তে আস্তে তার অবনতি হতে শুরু হয়। আমি তখন আর্থিক ভাবে পথ চলছিলাম না যার কারণে তারা আর্থিকভাবে তার বাবা-মায়ের সংসারের তুলনায় আমার সংসারে এসে অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। তার ভাষ্যমতে আমি তাকে ঠকিয়ে এবং মিথ্যা দেখিয়ে বিয়ে করেছি তাকে আমি খুবই জঘন্য ভাবে ঠকিয়েছি এবং যার জন্য সে আমাকে খুবই ঘৃণা করতে শুরু করে। এবং আমি তাকে যা যা বলে বা দেখিয়ে বিয়ে করেছি তার কোন কিছুই আমি ছিলাম না এবং তার ভাষ্যমতে তার সাথে আমার কোন দিক দিয়েই যায় না। কেননা সে চেয়েছিল কোন আলেম ওলামা তার স্বামী হবে আর সেখানে আমি সদ্য দিনে ফেরা একজন মানুষ ছিলাম। তাও পরিপূর্ণ রূপে শক্তভাবে হালাল মেইনটেইন করে চলতে পারতাম না। তাই তার ভাষ্যমতে আমি কোন দিক থেকেই তার যোগ্য ছিলাম না। সে আমাকে আগেও এ সম্পর্কে অনেক কথা জিজ্ঞেস করেছিল কিন্তু আমি সঠিক উত্তর দেইনি কারণ আমি পূর্বের গুনাহের সম্পর্কে তাকে জানাতে চাচ্ছিলাম না। বিয়ের পর অফিসের মেয়ে কলিগের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার কথা বলা নিয়েও আমাদের অনেক ঝামেলা হয়েছে, যদিও আমার বউ আগেই সেটা আমাকে মানা করেছিল কিন্তু আমি বেশ কয়েকবারই সেটা শুনিনি। পরে সে এ বিষয়ে জানতে পেরে আমাদের মধ্যে আরও কয়েকবার ঝামেলা হয়। এখন সে নাকি স্বপ্নে জানতে পেরেছে আগে যার সাথে আমার কাবিন হয়েছিল তার সাথে আমার আরো গভীর সম্পর্ক ছিল এবং হারাম অনেক কিছুই হয়েছিল। তারপর সে আমার ফোনে খুজে আগের মেসেজ এবং ছবি পায় এবং যার সাথে আমার কাবিন হয়েছিল তার সাথে ফোনে কথা বলে আরো অনেক বিষয়ে জানতে পারে। এখন সে আমাকে সেসব বিষয়ে জিজ্ঞেস করছে এবং স্পষ্ট করে বলতে বলছে আমি কি কি করেছি এবং তার কি কি হক নষ্ট করেছি এটা তাকে বলতেই হবে এবং এটা জানা তার হক।কেননা সে আমার ফোনে আগের অনেক কনভারসেশন পেয়েছে যেখানে কাবিনের আড়াই বছর আগের প্রেমের বিভিন্ন কথোপকথন,কটেজে রিসোর্টে অনৈতিক সম্পর্ক করার স্বীকারোক্তিমূলক প্রমাণ ছিলো । কিন্তু আমি তাকে প্রেমের এবং নারী ফিতনা,হারামের প্রতি আসক্তির বিষয়েও অনেক মিথ্যা কথা বলেছি শুরু থেকেই।তার এবং তার পরিবারের কাছে যে ইমেজ দেখিয়েছি বা যে সমস্ত কথা বলেছি সে কথা ও কাজের কোনো মিল আমার স্বভাবে নেই।আমি কথা দিয়ে কথা রাখতে পারি না।আমার স্ত্রীর একটা বড় অভিযোগ সে আমাকে অনেক বিশ্বাস করে,মুসলমানের কথার দাম আছে,আল্লহকে ভয় করে চলতে হবে কিন্তু আমি সেটা পারি না।সবসময়ই কথার বরখেলাফ হয়ে যায়।মিথ্যা কথা বলা,সত্যকে গোপন করা,কৌশল করা,কথা দিয়ে কথা না রাখা,ওয়াদা ভঙ্গ করা, নিষিদ্ধ কাজ,গুনাহের কাজ নারী ফিতনাহর প্রতি আসক্তি আছে।ভুল হয়ে যায় বারবার জেনেবুঝেই। কিন্তু আমার এ স্বভাবচরিত্র কোনোকিছুই সে শুরু থেকেই জানতো না, কিন্তু বিয়ের পরেও বারবার গুনাহের কাজে সে আমাকে ধরে ফেলে,অবিশ্বাস এবং তিক্ততার শুরু হয়।আমার জিদ এবং ত্যাড়ামো স্বভাব,ইগো তাকে প্রচন্ড কষ্ট দেয় যেটা সে প্রায়ই বলে।বিয়ের পরেও আমি আমার অফিসের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও,ইসলামে পর্দার হুকুম থাকলেও,আমার বউয়ের বারংবার নিষেধাজ্ঞা ওয়াদা জারি,আল্লহর কসম করার পরেও আমি মুশরিক পরনারীর সাথে অনর্থক অপ্রয়োজনীয় আলাপে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছি গোপনে কৌশলে।বারবার ধরা খাওয়ার পরেও যখন আমি আল্লহকে ভয় করে চলিনি,পর্দা নষ্ট করে আমার স্ত্রীর বিশ্বাস ভঙ্গ করেছি তখন সে সংসার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলে যদি আমি আর একবার এমন করি।এর পরেও আমি বহুবার ধরা খাই এবং সে এমনিতেই দূর্বল ও অসুস্থ মানুষ,আমার এমন কাজকর্মে সে এতোটা কষ্ট পা যেনো সে বিধ্বস্ত একেবারে মরেই গেছে এমন।
আগে অতীত সম্পর্কে সে এভাবে জানতে চাইতো না,এতো সমস্যাও হতো না কিন্তু আমার এমন কাজকর্মে যখন সবদিক থেকে বিশ্বাস নষ্ট হয়ে গেছে সে আর মানতে পারছে না,এখন বিয়ের পরেও আমার মিথ্যা প্রতারণা পরনারীরূফিতনাহ এবং সে অতীতের এতো গভীর সম্পর্ক ছিল জানতে পেরে একেবারেই ভেঙে পড়েছে। এখন সে একটু স্বস্তি পাওয়ার জন্য, স্বাভাবিক হওয়ার জন্য,সত্যটা জানতে চাইছে যেনো আমার কাছ থেকে সত্যটা জেনে মাফ করে সংসার করতে পারে। আমি তার কোনো বিশ্বাস এবং ভালোবাসার মর্যাদা,ওয়াদা কিছুই রাখিনি। ভিত্তিটা একেবারেই নষ্ট করে ফেলেছি ,ও আমাকে অনেক ভালোবাসে,আমাকে ছাড়া কিছুই বোঝে না কিন্তু আমি ওর সাথে এমন করতে পারি এটা ও কখনোই মানতে পারে না। ও আল্লহর জন্য অনেক ছাড়,অনেক কুরবানী করেছে,অনেক কষ্ট করছে এখনোও,আমাকে ভালোবেসেই সংসার করতে চায় কিন্তু অবিশ্বাসের এই দেওয়াল ভেঙে আমাকে শেষ বারের মতো নতুন করে সুযোগ দিয়ে বিশ্বাস করার জন্য সত্যটা জেনে স্বস্তি পেতে চায়।
আমি অন্যান্য গুনাহের কথা তাকে বললেও, তার ভাষ্যমতে আমি পরিপূর্ণ হিদায়াতের পথে সঠিকভাবে চলতে না পারলেও স্বীকারোক্তিমূলক আমার মাধ্যমে অতীতের এবং বর্তমানের এই ঘটনাগুলোতে এতো বছরে এমনকি বিয়ের পরেও  যে তার হক্ব নষ্ট হয়েছে,কী হয়েছিলো কী করেছি যেগুলোর প্রমাণ সে নিজে দেখেছে  আমার ফোনে সেগুলো কী তাকে বলতে পারবো?
সবই ফাঁস হয়েছে কিন্তু আমি কিছুই বলিনা,প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ইগনোর করি  স্বীকার করিনা,মিথ্যা কথা বলি,কৌশলে প্রতারণা কি কিন্তু সে বুঝতে পারে,ধরতে পারে সে শুধু স্বীকারোক্তি চায়,সে সবসময় সুসম্পর্ক বিশ্বাস ভালোবাসা হক্ব দ্বীনদারিতা মেইনটেইন করতে চায়,আমি ভুল করলেও সে মাফ করতে রাজি,সে শুধু চায় আমি সঠিক পথে চলি,স্বীকার করি,তাওবাহ করি,চক্ষুশীতলকারী বিশ্বস্ত স্বামী হয়ে থাকি - তাকে যেনো না ঠকাই। আমাদের সম্পর্ক অনেক ভাও ছিল কিন্তু আমিই এটা রক্ষা করতে পারিনি ।

আমার স্ত্রী মিথ্যা, হারাম এবং জুলুম কোনোকিছুই সহ্য করতে পারেনা।

আমি অর্ধেকদ্বীন ডট কমের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করি তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে কিন্তু আমি নিজেকে যেমন দেখিয়েছি তার কিছুই যখন বাস্তবের সাথে মিল পায়নি,আমার কথা কাজের মিল পায়না, নিজেকে সংশোধন করতে পারিনা আর এমন অভিযোগেই মনোমালিন্য এবং সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে যার জন্য তার মানসিক, শারীরিক,আত্মিক সকল অবস্থাই অনেক খারাপ সে আর হজম করতে পারেনা আমার মনমর্জি অনিয়ন্ত্রিত চলাফেলা।
আমি যে অন্যায় করার পর এমন অস্বীকার করি,মিথ্যা বলি,গোপন করি, কৌশল করি,প্রতারণা করি,প্রমাণ থাকার পরেও চুপ করে থাকি বা নিজের ভুল এড়িয়ে চলি  এতে সে অসম্ভব রকম কষ্ট পায়- এখন আমার কী করা উচিৎ?

হঠাৎ করে মাঝে মাঝে নিজেরও মনে হয় আমি তাকে ঠকিয়েছি কিন্তু তার এতো চোখের পানি,এতো কান্না,এতো আবেগ,তার ভারসাম্যহীন এই পরিস্থিতি আমার সহ্য হয়না,ভালো লাগে না,রাগ উঠে।আমার এতো কথা সহ্য হয় না,আমি এগুলো মানতে পারিনা।আমার তার কাছে ভুল  স্বীকারও করতে ইচ্ছা করেনা,জিদ ওঠে,রাগ ওঠে,নিজে ভুল করে অন্যায়ভাবে তাকে তালাকের হুমকিও দিয়েছি।
এই অবস্থায় সে শর্ত হিসেবে জানতে চেয়েছে অতীতের মেসেজ এবং ছবিগুলোর প্রমাণ সম্পর্কে,কী কী ঘটেছিলো। আমি কী তাকে জানাবো?

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলার বাণী,
قُلۡ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسۡرَفُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُواْ مِن رَّحۡمَةِ ٱللَّهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغۡفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًاۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ-
‘হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের ওপর যুলম করেছো তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সকল গুনাহ মাফ করবেন। তিনি ক্ষমাশীল দয়ালু।’ (সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৫৩)

এ আয়াতটি মহান পালনকর্তার অনুগত ও আজ্ঞাবহ তাওবাকারীদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।

আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا- 
‘যে গুনাহ করে কিংবা নিজের ওপর যুলম করে অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তখন সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল ও করুণাময় পাবে।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১১০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে তারপর স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিন। তারপর অত্যান্ত সতর্কতার সাথে চলাফেরা করুন। তাওবাহ করে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে আহাজারি করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...