আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
দুইজন বাচ্চাকে দেখে "এমন বাচ্চা হওয়ার চেয়ে না হওয়া ভালো" এরকম ভেবে ফেলেছি মনে মনে (বাচ্চাদের অসুস্থ ভেবে) এটার জন্য মনে মনে খুবই অনুশোচনা হচ্ছে, এরকম ভাবা মোটেও উচুত হয় নি। ভয় হচ্ছে আল্লাহ যদি রাগ হন, আমি নিজেও সন্তান চাই। তাই খুবই ভয় হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি? কিভাবে ক্ষমা চাইব আল্লাহর কাছে?
by (9 points)
কিভাবে ক্ষমা চাইব আল্লাহর কাছে?

1 Answer

0 votes
by (612,390 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ دَخَلَ عَلَى أُمِّ السَّائِبِ أَو أُمِّ المُسَيِّبِ فَقَالَ مَا لَكِ يَا أُمَّ السَّائِبِ ـ أَوْ يَا أُمَّ المُسَيَّبِ ـ تُزَفْزِفِينَ ؟ قَالَتْ : الحُمَّى لاَ بَارَكَ اللهُ فِيهَا فَقَالَ لاَ تَسُبِّي الحُمَّى فَإِنَّهَا تُذْهِبُ خَطَايَا بَنِي آدَمَ كَمَا يُذْهِبُ الكِيْرُ خَبَثَ الحَدِيدِ رواه مسلم

জাবের (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) উম্মে সায়েব কিংবা উম্মে মুসাইয়িবের নিকট প্রবেশ ক’রে বললেন, হে উম্মে সায়েব কিংবা উম্মে মুসাইয়িব! তোমার কি হয়েছে যে, থরথর্ করে কাঁপছ?’’ সে বলল, ’জ্বর হয়েছে; আল্লাহ তাতে বরকত না দেন।’ (এ কথা শুনে) তিনি বললেন, ’’জ্বরকে গালি দিও না। জ্বর তো আদম সন্তানের পাপ মোচন করে; যেমন হাপর (ও ভাটি) লোহার ময়লা দূর করে ফেলে।
(মুসলিম শরীফ ৬৭৩৫)

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ أَبِي عُمَرَ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَسُبُّ الدَّهْرَ وَأَنَا الدَّهْرُ أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ " .

ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, সে সময়কে গালি দেয়, অথচ আমিই সময়, রাত ও দিন আমিই বিবর্তিত করে থাকি।
(মুসলিম ৫৬৬৮)

وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ، الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ يَقُولُ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ . فَلاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ يَا خَيْبَةَ الدَّهْرِ . فَإِنِّي أَنَا الدَّهْرُ أُقَلِّبُ لَيْلَهُ وَنَهَارَهُ فَإِذَا شِئْتُ قَبَضْتُهُمَا "

আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মহীয়ান-গরীয়ান আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, সে বলে, হায় সময়ের ফের-দুর্ভাগ্য! (আমার সময় মন্দ)! তোমাদের কেউ যেন ’হায় সময়ের ফের’ না বলে। কেননা আমিই তো সময়; আর রাত ও দিন আমিই পরিবর্তিত করে থাকি; যখন আমি ইচ্ছা করি, তখন তাদের দু’টিকে সংকুচিত করে দেই।
(মুসলিম ৫৬৬৯)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুস্থ সন্তান হওয়া বা অসুস্থ সন্তান হওয়া সবই আল্লাহ তায়ালার দান,এর উপর কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা বা অপছন্দ করা মহান আল্লাহ তায়ালার সিদ্ধান্তকেই অপছন্দ করার শামিল।

তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে খালেস দিলে তওবা করবেন, লজ্জিত অনুতপ্ত হৃদয়ে তওবা করবেন এবং আল্লাহর কাছে ওয়াদা করবেন যে ভবিষ্যতে আর এমন কোন কিছু বলবেন না,ভাববেননা।

ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনার তওবাকে কবুল করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...