আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
edited by
আমাদের অফিস থেকে একটি ইন্সুরেন্স দেয়া হচ্ছে এমপ্লয়িদের। এখানে এমপ্লয়িদের থেকে কোন টাকা কাটা হবে না। অফিস নিজে একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে তার ইমপ্লয়ীদের ব্যাপারে। এখানে সুবিধা হল -

.
১/ যদি এমপ্লয়ি অসুস্থ হয়, এবং হাসপাতালে ভর্তি হয় তাহলে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পাওয়া যাবে।
২/ যদি মরণঘাতী কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মারা যায় সে ক্ষেত্রে এমপ্লয়ি এর পরিবার ১২ মাসের বেতনের পরিমাণ টাকা পাবে
৩/ যদি এক্সিডেন্ট করে মারা যায় তাহলে ২৪ মাসের বেতনের সমপরিমাণ টাকা পাবে
৪/ এবং ঔষধ পত্রের জন্য প্রেসক্রিপশন থাকা সাপেক্ষে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পাবে

.
উল্লেখ্য যে এটার চুক্তি হবে অফিস এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানির মাঝে। এমপ্লয়ি থেকে একটি টাকাও কাটা হবে না বা নেয়া হবে না। অর্থাৎ ইমপ্লয়ীদের কোন আর্থিক অংশগ্রহণ থাকবে না. অফিসের পক্ষ থেকে এই সুবিধা টা দেয়া হচ্ছে, সে নিজেই ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাথে চুক্তি করবে বা মাসে মাসে টাকা দিবে। আমার প্রশ্ন হল, যেহেতু আমার কোন আর্থিক অংশগ্রহণ থাকবে না এখানে, তাই এই ক্ষেত্রে এমন সুবিধা নেয়া জায়েজ হবে কিনা.?
.

তবে এটা বাধ্যতামূলক নয়, কেউ চাইলে অফিসকে নিষেধ করলে তবে তার পক্ষ থেকে অফিস ইন্সুরেন্স কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হবে না।

1 Answer

0 votes
by (612,540 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

যদি শর্তসমূহ তা’ই হয়, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে। তাহলে উক্ত ইনস্যুরেন্স সুবিধা আপনার গ্রহণ করা জায়েজ আছে। কোন সমস্যা নেই। কারণ এটি আপনার জন্য কোম্পানী কর্তৃক একটি সুবিধা হিসেবে গণ্য হবে। এতে আপনার কোন চুক্তিবদ্ধতা বা দায়বদ্ধতা নেই।

তাই এটিকে কোম্পানীর পক্ষ থেকে প্রদত্ব অফিস কর্মকর্তাদের জন্য হাদিয়া হিসেবে গণ্য হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ ”

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (تَهادُوا تَحابُوا)

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তোমরা পরস্পর হাদিয়া দাও ও পরস্পর ভালবাসার সম্পর্ক রাখো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৫৯৪}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 223 views
...