আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১, নেফাস ভালো হয়ে ৪২ তম দিন চলতেছে। তবে নেফাস ভালো হওয়ার দিন থেকেই ব্লিডিং এর মত হালকা দেখা যাচ্ছে যেটা মাসিক শুরু হওয়ার আগে হয়ে থাকে অল্প অল্প। এটা কি মাসিক ধরা হবে? নাকি ইজতেহাযা ধরে নামাজ পড়বে? আর ইজতেহাযা হলেও ভালো থাকার মেয়াদ কতদিন হবে?

২,আরেকটা বিষয়, বাচ্চা চাদরে পেশাব করেছে সেই চাদরের স্যাঁতসেঁতে ভেজা হালকা কিছু অংশ গায়ে লাগছে। এতে কি ঐ জায়গা নাপাক হয়েছে? ধুয়ে ফেলতে হবে? আমি ও জায়গায় মুছে ফেলেছি। প্রথমে ট্যাপের পানিতে হাত ভিজিয়ে হাত ঝেড়ে নিয়ে গায়ের সেই জায়গা মুছে ফেলেছি এরপর আবার হাত ধুয়ে এভাবে কন্টিনিউ তিনবার করেছি। এতে কি পাক হয়েছে নাকি ধুয়ে ফেলা জরুরি ছিল?

৩,আরেকটা বিষয় চাদর না লেগে যদি পেশাবই সরাসরি গায়ে লাগতো বা অন্য কোন নাপাকী তাহলে উপরের নিয়মে মুছে ফেললে কি পাক হতো নাকি ধুয়ে ফেলতে হতো?

৪,আরেকটা বিষয় অনেক সময় বাচ্চা কোলে নিয়ে থাকার জন্য বাচ্চা পেশাব পাঞ্জাবি ভেদ করে গায়ে লেগে যায় এতে কি গা ধুয়ে ফেলতে হবে নাকি জাস্ট পাঞ্জাবি চেঞ্জ করে অন্য পাঞ্জাবি পড়লেই নামাজ পড়া যাবে?

৫,আরেকটা বিষয় যে পাঞ্জাবিতে পেশাব লাগলো সেই পাঞ্জাবি যদি অন্য কোন কাপড়ের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেই কাপড়ও কি নাপাক হয়ে যাবে?

৬,আরেকটা বিষয় কয়েকটা নাপাক কাপড় যদি এক বালতিতে ভেজানো হয় তাহলে সেই কাপড় গুলো পাক করার পদ্ধতি কি? এখানে অদৃশ্যমান নাপাক বুঝানো হয়েছে। যদি এমন হয় প্রথমে এক বালতি পানি নিলাম সেখান থেকে সব কাপড় একসাথে উঠিয়ে নিলাম ভালো করে ধুয়ে এরপর চিপে নিলাম এভাবে তিনবার করার তাহলে কি সব কাপড় পাক হবে? কয়েকটা কাপড় একসাথে থাকলে কি একসাথেই বালতি থেকে তুলতে হবে? এভাবে তিনবার ধুতে হবে? নাকি এক বালতি পানি আছে সেখানে কাপড় ও আছে কয়েকটা প্রথমে একটা ধুয়ে নিলাম চিপে রাখলাম আবার আরেকটা তুললাম আবার চিপে রাখলাম। এভাবে সব কাপড় ধুয়ে নিলাম একবার। এরপর আবার সব কাপড় একত্রে করে এক বালতি নিয়ে পর্যায়ক্রমে একটা একটা করে কাপড় ধুলাম কিন্তু বাকিগুলো বালতিতেই থাকলো পর্যায়ক্রমে ধুয়ে নিলাম। এভাবে করলে কি পাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 
,

নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।
 কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি ৪১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরবেন।
এসময়ে নামাজ সহ অন্যান্য ইবাদত করবেন।

ব্লিডিং চলমান থাকলে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।
তারপর থেকে আপনি হায়েজ ধরবেন। এমতাবস্থায় আপনার পূর্বের মাস গুলোর  অভ্যাস এর দিন হিসেবে হায়েজ ধরবেন। 

(০২)
গায়ের ওই অংশে পেশাবের কোন চিহ্ন বা গন্ধ পাওয়া গেলে সেটি নাপাক।

এমতাবস্থায় সেটা শুধু মুছলে হবে না সে জায়গা ধুয়ে ফেলতে হবে।

আর যদি গায়ের ওই অংশে পেশাবের কোন চিহ্ন বা গন্ধ পাওয়া না যায়,সেক্ষেত্রে সেটি নাপাক হয়নি।
তাই পাক করার আবশ্যকীয়তা নেই।

(০৩)
ধুয়ে ফেলতে হবে।

(০৪)
যেহেতু পেশাব গায়ে লেগেছে,সুতরাং শুধুমাত্র পাঞ্জাবী চেঞ্জ করলেই হবেনা,শরীরের উক্ত জায়গা ধুয়ে ফেলতে হবে।

(০৫)
সেই কাপড়ে পেশাবের কোন চিহ্ন বা গন্ধ পাওয়া গেলে সেটি নাপাক হবে।
অন্যথায় সেটি পাক থাকবে।

(০৬)
উভয় পদ্ধতিই সহীহ।
আপনি প্রশ্নে উল্লেখিত যেকোনো এক পদ্ধতিতে কাপড় গুলো ৩ বার ধুয়ে নিতে পারেন।

আপনার কাপড় পাক হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...