আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু
প্রথমেই বলি হুজুর এর দায়ভার থেকে আপনি মুক্ত। আমি ওয়াসওয়াসা রোগী৷ তারপরেও সববিষয় ওয়াসওয়াসা বলে উড়ানো যায় না। আপনি বুঝবেন বাকিটা পড়লে কেনো এমন বলছি।
গত রমজানে আমি হস্তমৈথুনের উপরে পড়ালেখা করি এবং একটা আলোচনা করি দ্বীনি ভাইদের সাথে। সেখানে অনেকে আসক্ত ছিলো। তাদের সব জানানোর পরে খুব খুশি হয়। যাইহোক সেখানে একটা ছেলে ছিলো যার কিছু সমস্যা ছিলো। যাইহোক সবগুলো সমস্যা না আসলে। তারসাথে এইসব বিষয় আলোচনা করি। সে অনেকটা চিন্তামুক্ত হয়। তার সমস্যাগুলো ভালো হয়ে যায়। যেমন প্রসাব করলে বাকি জ্বালাপোড়া করতো। আমি বলেছিলাম ভালো করে জল খেতে। তার অন্যন্য সমস্যা ছিলো, পাবলিক হওয়ার কারনে বলতে পারছি না। তো তার সব সমস্যা এ ভালো হয়ে যায়। যেমন স্বপ্নদোষ হতো বেশী। সেটা মাসে এখন চার পাচ বার হয়। বা সাপ্তাহে দুই বার হয়ে। যাইহোক আগের থেকে কমে গেছে। (আমি একটা পেজ থেকে পড়েছিলাম স্বপ্নদোষ সমস্যা না) অনেক বেশী হলেও। আমার কাছে এখনও ঐ বিষয়ে লেখগুলো আছে। যাইহোক তার সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। একদিন জানিয়েছিলো, তার এখন দুই/তিনমাসে একবার হয়। তারমানে সে ঠিক হয়ে গেছে। হঠাৎ করে একদিন কল দিয়ে বলে " ভাই আমার তো এই মাসে পাচবার হইসে"। তার যখন স্বপ্নদোষ কম হতো কোনো কল দেই নাই। আমিএ উল্টো খবর নিয়েছি। কারন আমার চিন্তা ধরে গিয়েছিলো। হুজুর তাই দায়মুক্ত হওয়ার জন্য আমি তাকে গতপরশু বলেছি, ভাই স্বপ্নদোষ চার পাচ বার হলে সমস্যা না। তারপরেও তোমার সমস্যা মনে হলে চিকিতসা নিতে পারো। হুজুর আমার উপর কী দায়ভার বর্তাবে বা গুনাহ হবে।( আরেকটা কথা সে তখন আয়ুর্বেদীক ঔষধ খেতো, আমার মনে নাই আমি বলেছিলাম কিনা ঔষধ খেতে, তবে সে নাকি আয়ুর্বেদীক ঔষধগুলো ফেলে দেয়, পরে সে ভালো ও হয়ে যায়।) আর আমিও বলেছি, চার/ পাচবার ও যদি সমস্যা মনে সে চিকিতাসা নিতে পারে। হুজুর আমার উপর কী গুনাহের ভার পরবে?( আমি অনেক চিন্তিত, আমার শরীরে চিন্তায় প্রেসার উঠে থাকে সারাদিন, কাউকে কিছু বলতেও পারি না, সইতেও পারি না।) সে কল করলে কল ধরে না, কেটে দেয়, তাই মেসেজেও জানিয়েছি৷ কল করেছিলো একবার, কিছু কলেও বলেছি)
আমার সারাক্ষন এগুলি মনে আসে মনটা ছোট হয়ে যায়। ভালো লাগে না কিছু। আমার এখন ও শরীরে প্রেসার উঠে রয়েছে?