আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পবিত্রতা (Purity) by (51 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) কোন কোন পাখির মাংস খাওয়া হারাম? 


 

২) আমার বাসার বারান্দার ভিতরের রশিতে কদিন আগে কাপড় শুকাতে দিয়েছিলাম সেখান থেকে কাপড়ে সাদা কি জানি লেগেছে, হতে পারে সেটা পাখির বিষ্ঠা। এখন আমি আমার বারান্দাতে কয়েকবার কিছু ছোট পাখি দেখেছিলাম। এখন সে সকল পাখির নাম জানা নাই। সেগুলো দোয়েল আকৃতির। এখন আমার কাপড়ে যা লেগেছে তা কি পাক ধরবো? তবে এটা কোন পাখির বিষ্ঠা তা আমি একদম সঠিক না জানলেও এতটুকু তীব্র ধারণা করি যে সেটা দোয়েল আকৃতির যে পাখি আমি বারান্দায় দেখেছিলাম তার হতে পারে। 


 

৩) মুরগীর ডিমে অনেক সময় শক্ত হয়ে বিষ্ঠা লেগে থাকে যা পানি দিয়ে একবার ধুলেও সহজে যায় না। তা কতক্ষণ ধুলে যাবে তাও জানিনা। এখন এমন ডিমগুলো কিভাবে ফাটালে হাতে নাপাকি লাগবে না। আমার হাতের আঙুল কিছু ঘামে তাই ডিম না ধুয়ে খালি হাতে বিষ্ঠাযুক্ত ডিম ফাটাতে ইচ্ছে করে না। তাই এক্ষেত্রে করণীয় কি? 

 

৪) নিচের প্যারায় এককভাবে সাব্যস্ত করা বলতে কি বুঝানো হয়েছে? যেমনঃ আল্লাহ ক্ষমাশীল আবার রাসুল সাঃ ক্ষমাশীল আবার অনেক মানুষের মধ্যে দেখা যায় ক্ষমার গুন আছে। তাই একটু কনফিউজড। 

 

আল্লাহ যেসব সুন্দর নাম ও উন্নত গুণাবলী দ্বারা নিজেকে গুণান্বিত করেছেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যেভাবে আল্লাহর গুণাবলী উল্লেখ করেছেন হুবহু সেভাবে গুণগুলোকে আল্লাহর জন্য এককভাবে সাব্যস্ত করা এবং তার কোনো গুণ বা কর্ম কারো সাথে তুলনীয় নয় একথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। 

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
যেসব শিকারী পাখি থাবা বা নখর দিয়ে শিকার করে সেসব পাখি যেমন- ঈগল, চিল, শকুন, কাক, পেঁচা, বাজ পাখি ইত্যাদির গোশত ও ডিম খাওয়া নিষিদ্ধ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ.

আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জন্তু এবং ধারালো নখ বিশিষ্ট পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (সহীহ মুসলিম (১৯৩৪)-১৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫২৮০, নাসায়ী ৪৩৪৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৪, দারিমী ১৯৮২, আবূ দাঊদ ৩৮০৫, ৩৮০৩, ৩৮০৮; আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২৮১৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৪০, মিশকাত হা/৪১০৫)।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ ذِي نَابٍ منَ السِّباعِ فأكلُه حرامٌ» 

আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তীক্ষ্ণ দাঁতধারী যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম।
(সহীহ মুসলিম (১৯৩৩)-১৫, সুনান নাসায়ী ৪৩২৪, মুসনাদে আহমাদ ইবনু হাম্বাল ৭২২৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৪৭৫, সহীহুল জামি‘ ৪৫২৫, ইবনু মাজাহ ৩২৩৩, ইরওয়া ২৪৮৬, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৩৭,মিশকাত ৪১০৪)

হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ুই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী ইত্যাদি পাখি প্রজাতির প্রাণী ভক্ষণ করায় কোন বাধা নেই। কেননা এগুলি নখ দিয়ে শিকার করে না।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি উক্ত কাপড় ব্যবহার করতে পারবেন।
সেই কাপড়ে আপনার নামাজ হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৩)
পানিতে ৫/১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে আশা করি সেই বিষ্ঠা নরম হয়ে যাবে,তারপর সেটি হাত দিয়ে বা কোনো কাপড়ের সহায়তা নিয়ে তোলা যাবে।

তদুপরি ডিম ভাঙ্গার পর আপনার হাতে বিষ্ঠা লেগে না থাকলে কোনো সমস্যা নেই।

(০৪)
মহান আল্লাহর কিছু গুণাবলী, যাকে সাধারণ গুণাবলী বলা হয়, মাখলুকের মধ্যেও পাওয়া যায়। যখন এগুলো সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য উল্লেখ করা হবে, তখন এগুলো হাকীকি তথা প্রকৃত অর্থে ব্যবহৃত হবে এবং সৃষ্টি ও দেবত্বের মহিমা অনুসারে হবে। যখন মাখলুকের জন্য এগুলোর উল্লেখ করা হবে, তখন এগুলো রূপক এবং নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহার করা হবে।

কারণ মাখলুকের মধ্যে পাওয়া গুণাবলী আল্লাহর গুণাবলীর সাথে মোটেও সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, বরং আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রদত্ত। 

এই গুণাবলী মাখলুকের উপর দান করা হয়েছে যাতে যতদূর সম্ভব মহান আল্লাহর সর্বোচ্চ গুণাবলী জানার সহায়ক হতে পারে, যেন এই গুণাবলী আল্লাহর পরিচয় লাভের একটি উৎস এবং একটি মাধ্যম হয়ে উঠে। 

★সুতরাং রাসুল সাঃ কে যখন ক্ষমাশীল বলা হবে,তখন তাহা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হবে।

কারণ মাখলুকের মধ্যে পাওয়া গুণাবলী আল্লাহর গুণাবলীর সাথে মোটেও সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, বরং আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রদত্ত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...