জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যেসব শিকারী পাখি থাবা বা নখর দিয়ে শিকার করে সেসব পাখি যেমন- ঈগল, চিল, শকুন, কাক, পেঁচা, বাজ পাখি ইত্যাদির গোশত ও ডিম খাওয়া নিষিদ্ধ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَكُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ.
আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তীক্ষ্ণ দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র জন্তু এবং ধারালো নখ বিশিষ্ট পাখি খেতে নিষেধ করেছেন’ (সহীহ মুসলিম (১৯৩৪)-১৬, সহীহ ইবনু হিব্বান ৫২৮০, নাসায়ী ৪৩৪৮, ইবনু মাজাহ ৩২৩৪, দারিমী ১৯৮২, আবূ দাঊদ ৩৮০৫, ৩৮০৩, ৩৮০৮; আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২৮১৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৪০, মিশকাত হা/৪১০৫)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ ذِي نَابٍ منَ السِّباعِ فأكلُه حرامٌ»
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তীক্ষ্ণ দাঁতধারী যে কোন হিংস্র জন্তু খাওয়া হারাম।
(সহীহ মুসলিম (১৯৩৩)-১৫, সুনান নাসায়ী ৪৩২৪, মুসনাদে আহমাদ ইবনু হাম্বাল ৭২২৩, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৪৭৫, সহীহুল জামি‘ ৪৫২৫, ইবনু মাজাহ ৩২৩৩, ইরওয়া ২৪৮৬, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯৮৩৭,মিশকাত ৪১০৪)
হাঁস, মুরগী, তিতির, হুদহুদ, রাজহাঁস, বক, সারস, উটপাখি, ময়ুর, চড়ুই, কোয়েল, ঘুঘু, কবুতর, পানকৌড়ী ইত্যাদি পাখি প্রজাতির প্রাণী ভক্ষণ করায় কোন বাধা নেই। কেননা এগুলি নখ দিয়ে শিকার করে না।
(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি উক্ত কাপড় ব্যবহার করতে পারবেন।
সেই কাপড়ে আপনার নামাজ হবে।
আরো জানুনঃ-
(০৩)
পানিতে ৫/১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে আশা করি সেই বিষ্ঠা নরম হয়ে যাবে,তারপর সেটি হাত দিয়ে বা কোনো কাপড়ের সহায়তা নিয়ে তোলা যাবে।
তদুপরি ডিম ভাঙ্গার পর আপনার হাতে বিষ্ঠা লেগে না থাকলে কোনো সমস্যা নেই।
(০৪)
মহান আল্লাহর কিছু গুণাবলী, যাকে সাধারণ গুণাবলী বলা হয়, মাখলুকের মধ্যেও পাওয়া যায়। যখন এগুলো সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য উল্লেখ করা হবে, তখন এগুলো হাকীকি তথা প্রকৃত অর্থে ব্যবহৃত হবে এবং সৃষ্টি ও দেবত্বের মহিমা অনুসারে হবে। যখন মাখলুকের জন্য এগুলোর উল্লেখ করা হবে, তখন এগুলো রূপক এবং নির্দিষ্ট অর্থে ব্যবহার করা হবে।
কারণ মাখলুকের মধ্যে পাওয়া গুণাবলী আল্লাহর গুণাবলীর সাথে মোটেও সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, বরং আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রদত্ত।
এই গুণাবলী মাখলুকের উপর দান করা হয়েছে যাতে যতদূর সম্ভব মহান আল্লাহর সর্বোচ্চ গুণাবলী জানার সহায়ক হতে পারে, যেন এই গুণাবলী আল্লাহর পরিচয় লাভের একটি উৎস এবং একটি মাধ্যম হয়ে উঠে।
★সুতরাং রাসুল সাঃ কে যখন ক্ষমাশীল বলা হবে,তখন তাহা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হবে।
কারণ মাখলুকের মধ্যে পাওয়া গুণাবলী আল্লাহর গুণাবলীর সাথে মোটেও সাদৃশ্যপূর্ণ নয়, বরং আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রদত্ত।