আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
খুব পেরেশানিতে আছি।এটার সঠিক সমাধান জানলে একটু নিশ্চিন্ত হতাম।তাই একটু বিস্তারিত লিখাতে বড় হয়ে গেছে।আফওয়ান

আমার পিরিয়ড শুরু থেকেই নিয়মিত ছিল আলহামদুলিল্লাহ।শুরুর দিকে অনেক বছর নিদিষ্ট তারিখের পাঁচ/সাতদিন আগে বা পরে (লালব্লাড) এমন হত।এখন কয়েকবছর হল একদম নিদিষ্ট তারিখে বা দুইদিন আগে লালব্লিডিং শুরু হয়।তবুও দুই পিরিয়ডের মাঝে আমার ধারনামতে পবিত্রতাকাল পনেরো দিন পার হত।ধারনা মতে বলার কারণ যখন লালব্লিডিং দেখতে পেতাম তখন থেকেই ধরতাম।কখনো সন্দেহ হয়নি দেখে টিস্যুতে চেক করে দেখি নাই। কিন্তু গত দুই তিনমাস যাবত হালকা সন্দেহ হওয়ায় নিদিষ্ট তারিখের কিছুদিন আগেই সাদাস্রাব টিস্যুতে নিয়ে পরীক্ষা করি।তেমন স্পষ্ট বোঝা যায় না হলুদ নাকি সাদা।তাই রেখে দিয়েছিলাম শুকানোর পরে দেখি স্পষ্ট হলুদ।এখন মাসে পনেরো দিনও পবিত্রতা পার হচ্ছে না।এই মাসেও মাত্র সাত কি আটদিনের মত ভাল ছিলাম এরপর হলুদস্রাব শুরু হয়।এটাকে ইস্তিহাযা ধরে সবকিছু করেছি।এপ্রিলের এক তারিখ সকাল থেকে ১৬ তম দিন শুরু হয়েছে।এখন থেকে তো আমাকে হায়েজ ধরতে হবে।অথচ আমার লালব্লিডিং শুরু হবে আরও কিছুদিন পরে।এবং সেটাও ১০ দিন মতো চলে।আমার হায়েজের সময়কাল ও ১০ দিন মতই নিদিষ্টি আগে থেকেই।গতমাসে ৭ তারিখ সকালে হলুদস্রাব খেয়ালে আসায় পরামর্শ দিয়েছিলেন ৩ দিন ৩ রাত অপেক্ষা করার।অপেক্ষা করার পর ৭ তারিখ সকাল থেকেই হায়েজ ধরার ফলে ১০ দিন হয়ে যাওয়ায় ১৭ তারিখ সকালে  ব্লিডিং চলা অবস্থায়ই পবিত্র হয়ে  ইস্তিহাযা ধরে নামাজ রোজা শুরু করি।

কিন্তু সমস্যা হল ইস্তিহাযার সময় বা 16 তম দিনের শুরু থেকে যে হলুদ স্রাব দেখা যায় তা আবার মাঝে মধ্যে এক বা দুই ওয়াক্ত একেবারেই দেখি না(আল্লাহ্ ভালো জানেন)।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে -

1) হলুদ স্রাব দেখা যাওয়ার সময় যে এক বা দুই ওয়াক্ত কোন স্রাবই দেখি না তখন সর্বনিম্ন 3 দিন 3 রাতের হিসাব কিভাবে করব?
3 দিন 3 রাতের মধ্যে কোন একওয়াক্তে কোন স্রাব দেখা না গেলে এবং দুই বা এক ওয়াক্ত পরেই আবার হলুদ স্রাব দেখা গেলে সেটাকে অব্যাহত 3 দিন 3 রাত হিসাব ধরে হায়েজ ধরব?নাকি কোন ওয়াক্তে স্রাব দেখা না গেলেই ইস্তিহাযা ধরে নামাজ পরব এবং 3 দিনের মধ্যেই আবার যখন থেকে হলুদ স্রাব দেখব তখন থেকে 3 দিন হিসাব করব?

1 Answer

0 votes
by (611,730 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এটি যদি আসলেই হলুদ স্রাব হয়,সেক্ষেত্রে ৩য় দিনেও এমন স্রাব আসলে বা ১০ দিনের মধ্যে আবারো স্রাব আসলে সেক্ষেত্রে পুরো এই দিন গুলিকে হায়েজ ধরবেন।

3 দিন 3 রাতের মধ্যে কোন একওয়াক্তে কোন স্রাব দেখা না গেলে এবং দুই বা এক ওয়াক্ত পরেই আবার হলুদ স্রাব দেখা গেলে সেটাকে অব্যাহত 3 দিন 3 রাত হিসাব ধরে হায়েজ ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...