আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমাদের পরিবারে মেয়েদের বিয়ে অনেক দেরিতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে দুইজন আমার ফুফুর মেয়ে এবং বাকিরা আব্বুর চাচাতো/মামাতো ভাই-বোনদের মেয়ে। যদিও তাদের সাথে আমাদের তেমন কোনো যোগাযোগ নেই, তাদের বিয়ের পর এখন জানতে পারি যে, তাদের সবার বিয়ে দেরিতে হওয়ার কারণ নাকি তাদের বিয়ে না হওয়ার জন্য বান করে রাখা হয়েছে। বান কাটার পর নাকি তাদের বিয়ে হয়েছে। আমাদের বাড়িতে কোনো এক হুজুরের মাধ্যমে বান কাটানো হয়েছে।
এটা জানার পর আমার আব্বু এক হুজুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেছেন, আমাকেও নাকি "বান করে রাখা হয়েছে", এজন্য বিয়ে হচ্ছে না। এরপর সেই হুজুর কিছু জিনিস দিয়েছেন
*পানিপড়া ও তেলপড়া দিনে ২ বার মাথায় দিতে,গোসল করতে আর খাইতে দিয়েছেন।
*একটি আয়না দিয়েছে এটাতে প্রতিদিন দেখতে বলেছেন ও একটি চিরুনি দিয়েছে চুল আচরানোর জন্য।
*লাল কালি দিয়ে আরবিতে লেখা কিছু কাগজ (যা প্রতিদিন পানিতে ভিজিয়ে খেতে বলেছেন)
*"ইয়া ফাত্তাহু" ও "ইয়া দাত্তাহ" – এই দুটি শব্দ ৪১ বার করে নামাজের পর পড়তে বলেছেন
আমি জানতে চাই -
১. ইসলাম ও হানাফি মাজহাব মতে, এসব আমল জায়েজ কি?
২. ইয়া ফাত্তাহু ও ইয়া দাত্তাহ এগুলোর অর্থ কী? এগুলো ৪১ বার পড়া সুন্নাহ বা বৈধ কি?
৩. যে কাগজে লাল কালি দিয়ে কিছু লেখা আছে তা পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার নির্দেশ এর শরয়ি হুকুম কী?
৪. আয়না ও চিরুনির মাধ্যমে বন বা জাদু কাটানো ইসলামে কি এর কোনো ভিত্তি আছে?
৫. যদি এসব পদ্ধতি শরিয়তসম্মত না হয়, তাহলে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক বৈধ রুকইয়ার পদ্ধতি কী? আর এই জিনিসগুলোর কি করতে পারি?
হুজুর বলেছেন যে, এই জিনিসগুলো শুধু আমি ছাড়া আর কেউ যেনো না ধরেন। এর কারণ কী?আর আমাকে বলেছেন কেউ আসলে সামনে না যেতে বা কাউকে যেনো জড়িয়ে ধরতে না দি।
এছাড়াও, আমার মামি আমাদের ধারণা অনুযায়ী এইসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। আমার নানুমনি কয়েকবার রান্নাঘরের চুলার পাশে সন্দেহজনক কিছু জিনিস (যেমন: পেরেক,ছোট পুটলিতে সরিষা ইত্যাদি) পেয়েছেন।
বিস্তারিতভাবে উত্তর দিলে উপকৃত হবো।
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।