আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (3 points)
আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমাদের পরিবারে মেয়েদের বিয়ে অনেক দেরিতে হচ্ছে। তাদের মধ্যে দুইজন আমার ফুফুর মেয়ে এবং বাকিরা আব্বুর চাচাতো/মামাতো ভাই-বোনদের মেয়ে। যদিও তাদের সাথে আমাদের তেমন কোনো যোগাযোগ নেই, তাদের বিয়ের পর এখন জানতে পারি যে, তাদের সবার বিয়ে দেরিতে হওয়ার কারণ নাকি তাদের বিয়ে না হওয়ার জন্য বান করে রাখা হয়েছে। বান কাটার পর নাকি তাদের বিয়ে হয়েছে। আমাদের বাড়িতে কোনো এক হুজুরের মাধ্যমে বান কাটানো হয়েছে।

এটা জানার পর আমার আব্বু এক হুজুরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেছেন, আমাকেও নাকি "বান করে রাখা হয়েছে", এজন্য বিয়ে হচ্ছে না। এরপর সেই হুজুর কিছু জিনিস দিয়েছেন
*পানিপড়া ও তেলপড়া দিনে ২ বার মাথায় দিতে,গোসল করতে আর খাইতে দিয়েছেন।
*একটি আয়না দিয়েছে এটাতে প্রতিদিন দেখতে বলেছেন ও একটি চিরুনি দিয়েছে চুল আচরানোর জন্য।
*লাল কালি দিয়ে আরবিতে লেখা কিছু কাগজ (যা প্রতিদিন পানিতে ভিজিয়ে খেতে বলেছেন)
*"ইয়া ফাত্তাহু" ও "ইয়া দাত্তাহ" – এই দুটি শব্দ ৪১ বার করে নামাজের পর পড়তে বলেছেন

আমি জানতে চাই -

১. ইসলাম ও হানাফি মাজহাব মতে, এসব আমল জায়েজ কি?
২. ইয়া ফাত্তাহু ও ইয়া দাত্তাহ এগুলোর অর্থ কী? এগুলো ৪১ বার পড়া সুন্নাহ বা বৈধ কি?
৩. যে কাগজে লাল কালি দিয়ে কিছু লেখা আছে তা পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ার নির্দেশ এর শরয়ি হুকুম কী?
৪. আয়না ও চিরুনির মাধ্যমে বন বা জাদু কাটানো ইসলামে কি এর কোনো ভিত্তি আছে?
৫. যদি এসব পদ্ধতি শরিয়তসম্মত না হয়, তাহলে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক বৈধ রুকইয়ার পদ্ধতি কী? আর এই জিনিসগুলোর কি করতে পারি?

হুজুর বলেছেন যে, এই জিনিসগুলো শুধু আমি ছাড়া আর কেউ যেনো না ধরেন। এর কারণ কী?আর আমাকে বলেছেন কেউ আসলে সামনে না যেতে বা কাউকে যেনো জড়িয়ে ধরতে না দি।
এছাড়াও, আমার মামি আমাদের ধারণা অনুযায়ী এইসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। আমার নানুমনি কয়েকবার রান্নাঘরের চুলার পাশে সন্দেহজনক কিছু জিনিস (যেমন: পেরেক,ছোট পুটলিতে সরিষা ইত্যাদি) পেয়েছেন।

বিস্তারিতভাবে উত্তর দিলে উপকৃত হবো।

জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (638,700 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/58

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
জন্ম মৃত্যুর বিয়ে শাদী বন্ধু বান্ধব ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে।তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যা লিখিত রয়েছে,তাই হবে।হ্যা তাকদীরে যা লিখা রয়েছে,তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।তাকদীর আল্লাহ লিখে রেখেছেন।এবং পরবর্তীতে আল্লাহ তাকদীরকে পরিবর্তনও করে দিতে পারেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/96932

আমার দেখা সবচেয়ে উপকারী আ’মল হল, ফুরকানের ৭৪নং আয়াত সম্ভলিত আ’মল, যা আমরা ইতিপূর্বে বর্ণনা করেছি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/13518

ইয়া ফাত্তাহু সকল আর ইয়া লতিফু বিকাল বেলা পড়তে পারেন। অন্য আমলগুলো করার রুখসত বা সুযোগ থাকলেও উপরোক্ত আমল গুলোই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
আসসালামুয়ালাইকু...

কিন্তু যে কাগজ গুলো পানিতে ভিজিয়ে খেতে বলেছে সেগুলো কি করবো? আর পড়া পানি ও তেল দিয়েছে যে তা ব্যবহার করতে পারবো? আর যেই চিরুনি দিয়েছে চুল আচড়ানোর জন্য এবং আয়না দিয়েছে দেখার জন্য এইগুলো কি করবো?
by (638,700 points)
উনি যেই তাবিজ দিয়েছেন, সেগুলো সম্পর্কে উনাকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিবেন যে, এগুলো কি কুরআন সুন্নাহ থেকে করা হয়েছে। যদি কুরআন  সুন্নাহ থেকে এগুলো করা না হয়ে থাকে, তাহলে এগুলি এখনই ফেলে দিবেন। নতুবা এগুলোর আমল করতে কোনো বাধা নাই। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...