আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
42 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম

১. আগুনে পুড়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী হয়ে ৪দিনের দিন মারা গেছে। এই অবস্থায় শেষ ১দিন রমাদানের রোজা রাখতে পারেনি। এবং শেষ ৪দিন ফরজ নামাজ পড়তে পারেনি। এর জন্য কি করতে হবে? ১ ফিতরা সমান কত টাকা?

২. মৃত বাবা মায়ের জন্য কী কী ঈসালে সওয়াব পাঠানো যাবে? দুরূদ, ইস্তিগফার, সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন যিকির করে, কুরআন তিলাওয়াত এসব করে কি সেটার সওয়াব পাঠানো যাবে? আর এক্ষেত্রে কীভাবে নিয়্যাত করতে হবে?

৩. ১দিন পর পর নফল নামাজ, নফল রোজা, এসব ইবাদত কি মৃত মা বাবার জন্য ঈসালে সওয়াব পাঠানো যাবে?

৪. মৃত মা বাবার পক্ষ থেকে হজ্ব, উমরা করলে কিরকম নিয়ত করতে হবে?

৫. আগুনে পুড়ে মারা গেলে কি শহিদি মর্যাদা পাবে? এক্ষেত্রে শহিদদের কবরের হালত কেমন হবে? সওয়াল জবাব কি দিতে হবে?

৬. মৃত্যুর পরে কি পরিবারের অন্যান্য মৃত নেককারদের সাথে কবরে দেখা হবে?

1 Answer

0 votes
by (644,970 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থাৎ ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার নানা শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নন।অর্থাৎ এমন পরিস্থিতে  শরীয়ত উনার উপর নামায-রোযার কিছুকেই ফরয করছে না। বরং এমতাবস্থায় সম্ভব হলে উনি যিকির করবেন।এবং তখন অন্যান্য আ'মলের চেয়ে যিকির করাই মুস্তাহাব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1411


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে ঐ ব্যক্তির উপর নামায ফরয নয়। 

(২) সকল প্রকার নেক আমল করে মৃত বাবা মায়ের জন্য সওয়াব প্রেরণ করা যাবে। 

(৩)  ১দিন পর পর নফল নামাজ, নফল রোজা, এসব ইবাদত মৃত মা বাবার জন্য ঈসালে সওয়াব পাঠানো যাবে।
(৪) মৃত মা বাবার পক্ষ থেকে হজ্ব, উমরা করাতে চাইলে 
এভাবে নিয়ত করবেন যে, আমি আমার বাবা/মায়ের পক্ষ থেকে উমরাহ করতেছি।

(৫) আগুনে পুড়ে মারা গিয়ে মারা গেলে হুকমি শহিদ বলে গণ্য করা হবে । শাহাদতের  মর্যাদা সে পাবে।  সওয়াল জবাব হবে, তবে আল্লাহই ভারো জানেন। 
৬. মৃত্যুর পরে  পরিবারের অন্যান্য মৃত নেককারদের সাথে ইল্লইয়িন দেখা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 165 views
...