ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থাৎ ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার নানা শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নন।অর্থাৎ এমন পরিস্থিতে শরীয়ত উনার উপর নামায-রোযার কিছুকেই ফরয করছে না। বরং এমতাবস্থায় সম্ভব হলে উনি যিকির করবেন।এবং তখন অন্যান্য আ'মলের চেয়ে যিকির করাই মুস্তাহাব।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1411
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রশ্নের বিবরণমতে ঐ ব্যক্তির উপর নামায ফরয নয়।
(২) সকল প্রকার নেক আমল করে মৃত বাবা মায়ের জন্য সওয়াব প্রেরণ করা যাবে।
(৩) ১দিন পর পর নফল নামাজ, নফল রোজা, এসব ইবাদত মৃত মা বাবার জন্য ঈসালে সওয়াব পাঠানো যাবে।
(৪) মৃত মা বাবার পক্ষ থেকে হজ্ব, উমরা করাতে চাইলে
এভাবে নিয়ত করবেন যে, আমি আমার বাবা/মায়ের পক্ষ থেকে উমরাহ করতেছি।
(৫) আগুনে পুড়ে মারা গিয়ে মারা গেলে হুকমি শহিদ বলে গণ্য করা হবে । শাহাদতের মর্যাদা সে পাবে। সওয়াল জবাব হবে, তবে আল্লাহই ভারো জানেন।
৬. মৃত্যুর পরে পরিবারের অন্যান্য মৃত নেককারদের সাথে ইল্লইয়িন দেখা হবে।