ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ,কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরযে কেফায়া শীর্ষক আলোচনা করতে যেয়ে এক পর্যায়ে বলেনঃ
وَأَمَّا فَرْضُ الْكِفَايَةِ مِنْ الْعِلْمِ، فَهُوَ كُلُّ عِلْمٍ لَا يُسْتَغْنَى عَنْهُ فِي قِوَامِ أُمُورِ الدُّنْيَا كَالطِّبِّ وَالْحِسَابِ.........................إلي أن قال............................................................................... وَالْعِلْمِ بِأَعْمَارِهِمْ وَأُصُولِ الصِّنَاعَاتِ وَالْفِلَاحَةِ كَالْحِيَاكَةِ وَالسِّيَاسَةِ وَالْحِجَامَةِ.
ফরযে কেফায়া মূলক জ্ঞানার্জন হচ্ছে।
(কেফায়া মানে যা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করলে সবাই দায়মুক্ত হয়ে যায়)
ঐ সমস্ত জ্ঞান যা পৃথিবীতে জীবনাতিপাতের ভিত্তি যেমনঃচিকিৎসাবিজ্ঞান,হিসাববিজ্ঞান,............
এবং শিল্পবিজ্ঞান, কৃষিবিজ্ঞান, র্রাষ্টবিজ্ঞান,ও হেজমাত তথা তৎকালিন এক প্রকার চিকিৎসাবিজ্ঞান।
(দ্বীনের ফরয জ্ঞানার্জনের পর যা অর্জন করা কিছু সংখ্যক মুসলমানের উপর ফরয)
রদ্দুল মুহতার,১/৪২;
তাই বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।
১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১; বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-434
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার জন্য শিক্ষা গ্রহণ কখনো জায়েয হবে না।