আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
আমি বিবাহিত,আমার বিয়ে ১বছর ৩মাস।আমার স্বামী এখনো পড়াশোনা করে এবং বেকার।আমি আমার বাবার বাড়িতেই থাকি এবং সে তার বাড়িতে।বিয়ের সময় আগেই এই শর্ত ছিল তার পড়া শেষ হলে আমি তার বাড়িতে উঠবো,এবং এ বছরেই শেষ হবে।তো আমার স্বামীর সাথে আমার ফিজিক্যাল রিলেশনশিপ হয়নি সে হিসেবে।
বিয়ের পরেই সে আমাক জানায় যে সে পর্ন আসক্ত এবং একেবারে অনেক আগে থেকেই।এবং সে আমার কাছে সাহায্য চায় যেন আমি তাকে আমার সংবেদনশীল ছবি ভিডিও দিয়ে তাকে সাহায্য করি।আমি শুরুতে নাকোচ ছিলাম কিন্তু পরে বাধ্য হই,এবং আমার দিকে থেকে আমি ফুল একদম ১০০% সাপোর্ট দিয়েছি তাকে।
আমি তাকে যখন ই জিজ্ঞেস করেছি আল্লাহর কসম দিয়ে যে সে এখনো সেগুলো দেখে কি না।সে বলেছে কসম করে প্রতিবার যে সে দেখে না,এবং এসব ছেড়ে দিয়েছে।
কিন্তু গত বছর শেষের দিকে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৪বার ধরা খায় আমার কাছে।আমি তার থেকে জিমেইল পাস নিয়ে দেখি সে প্রতিনিয়ত পর্ন দেখে আসছে।

আমি পর্নের এইসব বিস্তারিত জগৎ চিনতাম না।সে আমাকে চিনিয়েছে।আমি শুরুতে এতো কিছু বুঝতে পারিনি।কিন্তু জানুয়ারিতে লাস্ট দেখলাম সে পর্ন বাদেও তার পছন্দের নোংরা পর্ন মডেলদের ভিডিও ও দেখে।এটা আমার সয্য করার মত না,প্রতিবার ভাবলেই আমার পায়ের তলার মাটি সরে যায়।আগে প্রচুর দোয়া করেছি তার জন্য এসব নিয়ে।।উল্লেখ্য আমার শারীরিক ত্রুটি আছে(আমার buker অংশ থেকে nabhi পর্যন্ত প্রায় ১৫% পুড়ে গিয়েছিল ছোট বেলাতেই।এখন সেগুলো দাগ আছ্র শুধু)।বিয়ের আগে তাকে জানানো হয়েছে।এবং সে এ অবস্থাতেই রাজি হয়।আমি জানিনা তাকে নিয়ে আমার অসন্তুষ্ট আছে কি না?সে বার বার না ই করে।

আমি অনেক সয্য করেছি,আমার সব দিক থেকে দিয়ে চেষ্টা করেছি।সে আমার হক্ব নষ্ট করেছে প্লাস দিনের পর দিন আমার সাথে মিথ্যা বলেছে।আমি তার সাথে আগের মত সম্পর্ক স্থাপ্ন করতে পারছিনা কেননা প্রতিবার তার অই নোংরা মেয়েদের দেখার কথা মনে পড়ে। আমি এবারে অনেক ভেংগে পড়েছি।২মাস চেষ্টার পরেও পারছিনা।
তাকে বলেছি অনেকবার আমাকে তালাক দিতে।সে রাজি হয়না কোনোভাবেই।এবং সে বলেছে আমাকে যা করার করে নিতে কিন্তু সে তালাক দিবেনা।আমি বাড়িতে কাওকে জানাইনি তার সম্মানের কথা ভেবে।
এটা হচ্ছে অনলাইন জগৎ, অফলাইন জগতে সে কেমন জানিনা,আল্লাহ মালুম(কিন্তু এমনি তাকে বাকি দ্বীনদ্বারি দিক থেকে ঠিকঠাক লেগেছে)।কিন্তু আমার আশংকা হয় সংসারের পরে যদি সে এমন চরিত্র নিয়ে অশান্তি করে?
এমন্তাবস্থায় আমার কি করনীর উস্তায?আমি কি তালাকের বিষয়ে অটল থাকবো?কি করা উচিত?
(আমি ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আমার ত্রুটি নিয়ে ভয় পাচ্ছি আর তার এমন চরিত্র নিয়ে।)
অনুগ্রহ করে আমাকে উত্তম পরামর্শ দিবেন,উস্তায,ফি আমানিল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/9968/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
নিয়মিত নামায আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে, তাঁকে স্মরণ করে, তাঁর কিতাব তেলাওয়াত করে স্বাদ অনুভব করতে হবে। 

আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنَ الْكِتَابِ وَأَقِمِ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاء وَالْمُنكَرِ وَلَذِكْرُ اللَّهِ أَكْبَرُ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম করুন। নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা আনকাবুত ৪৫)

একবার সাহাবারা রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলল, অমুক সাহাবী বিভিন্ন ধরনের খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, সে কি এখনো নামাজ পড়ে? সবাই বলল, হ্যাঁ, পড়ে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সে যদি নামাজ পড়তে থাকে তাহলে নামাজ তাকে অবশ্যই একদিন খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/৪৪৭)
,
★বেশি বেশি যিকির করতে হবে।
★মাঝে মাঝেই দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনতে সময় লাগাতে পারেন।
★বেশির ভাগ সময় মসজিদে কাটানোর চেষ্টা করুন।
★নিজের ভিতর থেকে হতাশা সম্পূর্ন ভাবে দূর করে দিন। আলোর পথে আসুন।
★নিজ মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেব,মুয়াজ্জিন সাহেব থেকে সাজেশন নেওয়ার চেষ্টা করুন।
তাদের সাথে ফ্রি হয়ে কিভাবে আমলের পথে চলা যায়,সেটা জানুন।
,
তাদেত সাথেই বেশিরভাগ সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।   
★অসৎ সাথীদেত সাথে ঘুরাফেরা বন্ধ করুন।
,
★যেই জায়গা,যেই কাজ করলেই ঐ বিষয় গুলো মাথায় আসে,সেই জায়গায় যাওয়া সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন।
,   
★হক্কানী শায়েখদের কাছে যান,তাদের দেওয়া সবক আদায় করতে পারেন।

★মাঝে মাঝে কবর যিয়ারত করবেন।

★কোনোভাবেই একাকী থাকা যাবেনা।
কিভাবে কাহারো সাথে থাকা যায়,সেই ব্যবস্থা করুন।
 
বিশেষ করে একাকী রাত কোনোভাবেই কাটানো যাবেনা। 
আপনার রুমে অন্য কাহারো থাকা নিশ্চিত করুন।
প্রয়োজন মেসে থাকতে পারেন।  
হাদিসে এসেছে নবী ﷺ কোন পুরুষকে একাকী রাত কাটাতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/৯১)

ঘুমানোর সময় ইসলামী আদবগুলো মেনে চলতে হবে। যেমন ঘুমানোর দোয়াগুলো পড়া, ডান পার্শ্বে কাত হয়ে শোয়া, পেটের উপর ভর দিয়ে না-ঘুমানো; যেহেতু এ সম্পর্কে নবী ﷺ-এর নিষেধ আছে।

★কাছে মোবাইল বা কম্পিউটার  রাখা যাবেনা,সেটি অন্য ঘরে রেখে আসতে হবে।

যথাসম্ভব মাগরিবের পর থেকেই মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে।
,
★রাতে খাবার খাওয়ার কমপক্ষে  এক দেড় ঘন্টা পর বিছানায় যাবেন।
,
★অনৈসলামিক কোনো কিছুই মোবাইল,কম্পিউটারে রাখা যাবেনা।
,
★নেটে এজাতীয় সাইটে কোনোভাবেই যাওয়া যাবেনা।   

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যেহেতু তার সাথে আপনার বিবাহ হয়েছে সুতরাং এক্ষেত্রে তালাকের আগে তাকে আরেকটু সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।

আপনি এখন থেকে তার কাছেই রাত্রীতে থাকবেন।

আপনার স্বামী যেনো নিয়মিত স্ত্রী সহবাস করে। স্ত্রী ছাড়া তিনি যেনো একাকী রাত না কাটান।
তিনি সর্বদা একাকিত্ব পরিহার করে চলবেন।
প্রয়োজনে তিনি স্মার্ট ফোন,কম্পিউটার ব্যবহার ছেড়ে দিয়ে সাধারণ সেট ব্যবহার করবেন।
উপরে উল্লেখিত পরামর্শ গুলো তিনি ভালোভাবে মেনে চলবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...