আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন (১) কোন বেনামাজির হাতের রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২)যদি কোন ব্যক্তি মসজিদে ভিতরে ইত্তেকাফে বসা অবস্থায় মোবাইলে দেশের খবর দেখার সময় হঠাৎ করে মোবাইলের স্ক্রিনে বেপর্দা নারীকে দেখে তার মনে কামভাব নিয়ে সামান্য কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে সেই মুহূর্তে তার শরনে  ছিল যে মসজিদের  ভিতরে এটা দেখা অনেক  বড় পাপ তারপেরও কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিল , তারপরে আর দেখেনি এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। এখন প্রশ্ন তার স্মরণে ছিল মসজিদে দেখা পাপ তবু দেখেছে এতে কি সেই ব্যক্তি কাফের হবে?

এখানে তো মসজিদ  অবমাননা করা হয়েছে যদি কাফের না হয় তার কারণ কি  দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (607,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
বেনামাজির রান্না করা খাবার খাওয়া নাজায়েজ নয়,বরং জায়েজ আছে।

তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে যদি তাদেরকে নামাজের দাওয়াত দেওয়া উদ্দেশ্য থাকে,তাহলে তার রান্না করা খাবার খাবে।
আর যদি সেই উদ্দেশ্য না হয়,তাহলে তাকওয়ার খাতিরে না খাওয়াই ভালো।       
কারন এক্ষেত্রে আমলের উচ্চতর লেভেলে পৌছাতে সেটা বাধাদান কারী হতে পারে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا وَقَعَتْ بَنُو إِسْرَائِيلَ فِي الْمَعَاصِي نَهَتْهُمْ عُلَمَاؤُهُمْ فَلَمْ يَنْتَهُوا فَجَالَسُوهُمْ فِي مَجَالِسِهِمْ وَوَاكَلُوهُمْ وَشَارَبُوهُمْ فَضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ وَلَعَنَهُمْ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ " . قَالَ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ مُتَّكِئًا فَقَالَ " لاَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ حَتَّى تَأْطِرُوهُمْ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا "

আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বানু ইসরাঈল গৰ্হিত কাজে জড়িত হলে তাদের বিজ্ঞ আলিমগণ তাদেরকে বাধা দেন। কিন্তু তারা (পাপাচার থেকে) ক্ষান্ত হয়নি। এতদসত্ত্বেও তাদের আলিমগণ তাদের সাথে তাদের সাথে মজলিসে উঠাবসা ঠিক রাখে এবং তাদের সাথে এক সংগে খানা পিনা করে। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের কারো হৃদয়সমূহ অন্য কারো (পাপীদের) হৃদয়ের সাথে একাকার করে দিলেন এবং দাউদ (আঃ) ও ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ)-এর যবানীতে তাদেরকে অভিসম্পাত করলেন। কেননা তারা বিরুদ্ধাচারী হয়ে গিয়েছিল এবং সীমালংঘন করেছিল। রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। তিনি এবার সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেনঃ কসম সেই সত্তার যার হাতে আমার জান! ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা মুক্তি পাবে না যতক্ষণ না তোমরা পথভ্রষ্ট লোকদের (শক্তভাবে) বাধা দিচ্ছ।

(তিরমিজি ৩০৪৭, ইবনু মাজাহ (৪০০৬)

তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন তাদের বাসায় খাওয়াকে অপছন্দ করেননি,তারা বলেছেন যে সব সময় দ্বীনের দাওয়াতের উদ্দেশ্য খাবে।
,
(০২)
এতে সেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...